আন্তর্জাতিক মঞ্চে গত বছর গোলের জন্য হাহাকার করেছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। রাকিব হোসেন, ফয়সাল হোসেন ফাহিম, শেখ মোরসালিনরা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। বছরজুড়ে আট ম্যাচ খেলে গোল করেছেন স্রেফ তিনটি। এর দুটি আবার এসেছে মিডফিল্ডারদের পা থেকে, অন্যটি ভুটানের বিপক্ষে মোরসালিনের।
আগামীকাল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাই আলোচনায় আক্রমণভাগ। এবার গোল হবে তো?

হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তিতে শক্তি বেড়েছে বাংলাদেশের। তবে তিনি তো আর প্রতি ম্যাচে গোল পাবেন না। তাঁর কাজ প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভেঙে সতীর্থদের আক্রমণের সূত্র ধরিয়ে দেওয়া।
তাই গোল এনে দেওয়ার কাজটা করতে হবে রাকিব হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিনদের। এক বছরেরও বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফেরা ইব্রাহিম মনে করিয়ে দিলেন ফরোয়ার্ড লাইনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা, ‘আসলে গোল পাওয়াটা টিম ওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে। আমরা সবাই চেষ্টা করব। যে সুযোগ পাবে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে কোচ যে পরিকল্পনা করছেন, সেটা বাস্তবায়ন করা। তবে আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
গত দুই বছর প্রথাগত স্ট্রাইকার ছাড়া খেলিয়েছেন হাভিয়ের কাবরেরা। এবার দলে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে আছেন আল আমিন। মৌসুমের প্রথম পর্বে তাঁর নামের পাশে আছে ৯টি গোল। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এই স্ট্রাইকার এবার আশা দেখাচ্ছেন।
শুধু বক্সে বলের জন্য অপেক্ষা করা নয়, আচমকা থ্রু বলে তিনি দুর্দান্ত গতির কারণে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে পেছনে ফেলতে জুড়ি নেই। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে ‘ট্রানজিশনে’ তিনি দারুণ কার্যকর। মাঝমাঠ থেকে হামজা পাস বাড়াবেন, আর সেটা জালে পাঠাবেন আল আমিন—এমন কল্পদৃশ্য এরই মধ্যে এঁকে ফেলেছে ফুটবলপ্রেমীরা।
তবে ভারতের শক্তিশালী রক্ষণের বিপক্ষে রাকিব-ইব্রাহিমদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা প্রস্তুত বলছেন ইব্রাহিম, ‘সবাই চাচ্ছে ভালো কিছু করতে। জয় নিয়ে ফিরতে। আমরা প্রস্তুত আছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’ লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরে একাদশে সুযোগ পেতে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন ইব্রাহিম। রাকিব, আল আমিন, মোরসালিন আছেন। লেফট উইংয়ে ইব্রাহিমের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শাহরিয়ার ইমন ও ফয়সাল আহমেদ। ইব্রাহিম তাই বলছিলেন, ‘সব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। ওই চ্যালেঞ্জটা নিয়েই এত দূর এসেছি আমি। দেখা যাক, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। যদি খেলতে পারি, তাহলে অবদান রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’