<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ শাসনের শেষ পর্বে একমাত্র কট্টর আওয়ামী লীগপন্থী ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষ সরকারের প্রতি বিরক্ত ছিল। পরিবর্তন দেখতে চেয়েছে মানুষ, কিন্তু সবাই দ্বিধান্বিত ছিল দুটি বিষয়ে। প্রথমত, আওয়ামী লীগ ও এর সরকার চারদিকে যে আধিপত্যের বিশাল বলয় সৃষ্টি করেছিল, কোনো অস্বাভাবিক সরকার ক্ষমতা দখল ছাড়া হাসিনা সরকারের বিদায়ের পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, রাজনীতির ময়দানে বিকল্প খুঁজে পায়নি মানুষ। যে বড় রাজনৈতিক দলগুলো দৃশ্যমান ছিল তার মধ্যে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অতীতে সরকার গঠন করলেও দৃশ্যমান সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে কেউ হাঁটেনি। গণতন্ত্রহীন আচরণ সবাই করেছে এবং তাদের অন্যায় ও দুর্নীতি মানুষকে একইভাবে বিরক্ত করেছিল। এমন এক বাস্তবতায় ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা কোনো পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যখন মাঠে নামে, তখন রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষকে নিবৃত্ত করতে পারেনি শেখ হাসিনা সরকার। বিশাল রক্তমূল্যেই কিনতে হয়েছে ৫ আগস্টের মুক্তি। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ নতুন ভোর দেখল, নতুন সরকার কি সেই প্রত্যাশা পূরণের পথে হাঁটতে পারছে? </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনে দিনে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যেন তৈরি হচ্ছে। ক্রমে দলান্ধতা, ধর্মান্ধতা ও জ্ঞানান্ধতা বিপন্ন করে তুলছে যেন দেশটিকে। দলান্ধতার প্রসঙ্গেই আগে আসি। আমরা যারা কোনো রাজনৈতিক দলের আনুগত্যে নেই, তাদের পক্ষে দলান্ধদের অন্ধত্ব পরিমাপ করা কঠিন অথবা সহজও। সম্ভবত জনকল্যাণমূলক কাজ না করে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণতন্ত্রের স্লোগান মুখে রেখে অগণতান্ত্রিক আচরণ করেও রাজনৈতিক দলগুলো টিকে থাকে দলান্ধদের কারণে। কারণ তাদের মুক্তবিবেক কাজ করে না। যাচাই করার সুযোগ থাকলেও নিজ দলের অন্যায়গুলো তারা এড়িয়ে যায়। এত যে আর্থিক দুর্নীতির মহাভারত রচনা করল, নেতা-নেত্রীরা বিপুল অর্থ পাচার করেছে বলে সবল প্রচারণা রয়েছে, সরকারি ছত্রচ্ছায়ায় বিশাল দুর্নীতিবাজরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে <img alt="দলান্ধতা থেকে মুক্ত হোক দেশের রাজনীতি" height="259" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11. january/11-01-2025/2.jpg" style="float:left" width="333" />দেশান্তরি হলো; আওয়ামী লীগে নাম লেখানো কোনো বুদ্ধিজীবী কি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, নাকি সত্যাসত্য বিচার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন? আমি গত সরকারের আমলে প্রকাশিত সরকারের দুর্নীতি নিয়ে আমার লেখা অন্তত ২৬টি কলামের খোঁজ করতে পারলাম, যা  সে সময় দলের কাছে বিবেক জমা দেওয়া অনেক বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদের ভালো লাগেনি। নানাভাবে তখন আমাকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুপথে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ফেরার চাপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের পতন ঘটার পর সংগত কারণেই বিএনপি নেতাদের কণ্ঠ এখন বেশি সরব। বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিরই সামনে আসার কথা। আশার কথা, সময়ের বাস্তবতা মাথায় রেখে বিএনপি নেতাদের মুখে এখন সাবধানী শব্দচয়ন। তারেক রহমানের বক্তব্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি পরিপক্ব এবং মার্জিত। কিন্তু দলীয় সমর্থক, দলীয় বুদ্ধিজীবী কখনো কি দলীয় নেতাদের অনৈতিহাসিক স্লোগান ব্যবহার ও কপট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা তুলেছেন? কেউ কি বলেছেন জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতে কেন তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়নি? স্বয়ং জিয়াউর রহমান নিজেও এই সংবাদটি জেনে যেতে পারেননি। সম্ভবত ১৯৭২ বা ১৯৭৩ সালে অধুনা লুপ্ত দৈনিক বাংলা পত্রিকায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি জাতির জন্ম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামে প্রবন্ধ লিখে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। এসব কেন বিএনপির দলান্ধ শিক্ষিতজনরা একবারও উল্লেখ করেন না? ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে হঠাৎ বিএনপি নেত্রীর নতুন জন্মদিন ঘোষিত হলো সেই দিনটিতেই। শেষ পর্যন্ত যখন হালে পানি পাওয়া গেল না, তখন এই নতুন জন্মদিনের উত্সব নিষ্প্রভ হয়ে যেতে থাকল। এসব অনাসৃষ্টির কাজ থেকে বিএনপির এক শ্রেণির নেতাকে ক্ষান্ত করার জন্য বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা এগিয়ে এলেন না। এমন আচরণ শেখ হাসিনাকেও হয়তো প্রভাবিত করেছিল। আওয়ামী লীগের আগের শাসনকালেও শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন নেছাকে স্বাভাবিকতা অতিক্রম করে অনেক উচ্চতায় তুলে ধরার প্রবণতা দেখা যায়নি। কিন্তু এবার যখন ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার প্রবণতা পেয়ে বসল, তখন শেখ হাসিনা তাঁর মাকে বঙ্গবন্ধুর সমপর্যায়ে নিয়ে আসার প্রকল্প হাতে নিলেন। বেগম ফজিলাতুন নেছা হয়ে গেলেন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গমাতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএনপিপন্থী আমার এক স্নেহভাজন শিক্ষককে একবার বলেছিলাম, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান কেন রাজাকার শাহ আজিজকে তাঁর প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন? প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কেন বেছে বেছে যুদ্ধাপরাধী নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন? এ প্রশ্ন তোমরা করো না কেন? সার্টিফিকেটে শিক্ষিত এই শিক্ষক বলেছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্যার, এসব বললে কি দলে টেকা যাবে!</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্ধত্ব কারো জন্যই কল্যাণের নয়। আমাদের ক্ষমতাধর নেতারা সাধারণ মানুষকে যতটা বোকা ভাবেন, সাধারণ মানুষ মোটেও তা নয়। সময় এলে মানুষ যথাযোগ্য জবাব দিতে পারে। কিন্তু সংকটে পড়ার আগ পর্যন্ত দলান্ধ নেতারা তা কখনো বুঝতে চান না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধর্মান্ধ মানুষ একই রকম অকল্যাণকর। ধার্মিক সব সময়ই মানবকল্যাণের পক্ষে। ধর্মকে তাঁরা হৃদয়ের অনুভূতি দিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে ধারণ করতে চান। আর ধর্মান্ধ মানুষ ধর্মের নাম ভাঙিয়ে অকল্যাণকে আলিঙ্গন করে। রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা ধর্মান্ধদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। সাধারণ ধর্মপ্রবণ মানুষকে নানা সময়েই বিভ্রান্ত করতে চায়। তবে ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমরা অনেকটা নির্ভার এই জন্য যে দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে যেভাবে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা হয়েছে, তাতে এ দেশের সাধারণ মানুষকে ধর্মান্ধ করে ফেলাটা কঠিন হবে। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষ ধার্মিক হলেও এ দেশের ধর্মীয় দলগুলো নির্বাচনে সাধারণ মানুষের সমর্থন খুব একটা পায় না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জ্ঞানান্ধ মানুষ, যারা জ্ঞানচর্চার ভুবনে তেমন বিচরণ না করার কারণে সেই গল্পের হাতুড়ে ডাক্তারের মতো নির্বিচারে অপারেশন করে ফেলতে পারে। কিন্তু জ্ঞানের শক্তির কাছে একসময় পর্যুদস্ত হয়। বর্তমান বাংলাদেশে গৌরবময় জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতনের পর নতুন করে যাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন, তাঁদের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার অন্ত ছিল না। কিন্তু দুই মাস না যেতেই পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে, ঘরের দাওয়ায়, চায়ের আড্ডায় মানুষ অস্বস্তি প্রকাশ করতে থাকে। পাঁচ মাসের মধ্যে প্রত্যাশার পারদ নেমে গেছে অনেকটা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ দেশের একটি বড় প্রত্যাশার জায়গা বর্তমান প্রজন্ম। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া কিশোর-তরুণ প্রজন্ম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০০ বছর নেতৃত্ব দেবে এ দেশের। আমরা প্রবীণরা ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে হারিয়ে যাই, তাতে দেশের বড় কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু বিশাল তরুণ প্রজন্ম পথ হারালে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জ্ঞানচর্চা বিমুখ হলে অন্ধকার সুড়ঙ্গের পথেই হাঁটবে স্বদেশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, আহত হয়ে ধুঁকছেন, তাঁরা তো অতশত বিচার করে মাঠে নামেননি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে যখন গুলি হলো, আহত-নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকল, তখন সরকারবিরোধী আন্দোলন আরো প্রবল হয়েছিল। এখন কোনো কোনো মহল বলার চেষ্টা করছে, এই আন্দোলন নাকি দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। স্বৈরাচারী সরকার নাকি ফাঁদে পা রেখেছিল। তাই সব গুলিবর্ষণের দায় পতিত সরকারকেই বহন করতে হচ্ছে। এক সমন্বয়কের বক্তব্যে জানা যায়, মেট্রো রেল, সেতু ভবন, টিভি স্টেশনে আগুন দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের দ্রুত সাফল্যের জন্য। যাক, এ আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারের পাশাপাশি ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়েও সমালোচনা বাড়ছে তরুণদের মধ্য থেকেই। সমন্বয়কদের অনেকেই ছাত্ররাজনীতিতে সুপরিচিত ছিলেন না। তবু একটি প্রত্যাশা নিয়ে তাঁদের নেতৃত্ব ছাত্ররা মেনে নিয়েছিল। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, ছাত্রদের সমন্বিত শক্তি সমাজের নানা অনাচারের বিরুদ্ধে যেমন দাঁড়াবে, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপের মধ্যে রাখবে, যাতে কেউ পথভ্রষ্ট না হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুরুর দিকে তেমনটি হয়েছিল। বিভিন্ন মার্কেটে চাঁদাবাজদের ওপর চড়াও হয়েছিল ছাত্ররা। ওদের কাছে মানুষের আশাও বেড়েছিল। কিন্তু যখন থেকে সমন্বয়কদের কেউ কেউ সরকারের অংশ হয়ে গেলেন, কেউ কেউ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দামি গাড়িতে চড়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশ সফর শুরু করলেন, তখন বিপ্লবী ছাত্রদের অনেকেই হোঁচট খেতে লাগল। কী এক আপসে নতুন চেহারার চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব শুরু হয়ে গেল। ছাত্রনেতাদের ঘোষণা ভিন্ন হলেও দেশের নানা প্রতিষ্ঠানের শূন্য গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দলীয় মানুষকে দিয়েই পূর্ণ হতে থাকল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন গোলমেলে অবস্থায় অনিয়ন্ত্রিত বাজারে বিধ্বস্ত মানুষের আস্থা কি ধরে রাখতে পারবে আমাদের আরাধ্য অন্তর্বর্তী সরকার? এমন সংকটে আমরা চাই, সব ধরনের অন্ধত্বের বলয় থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষ স্বস্তির দেখা পাক।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">shahnawaz7b@gmail.com</span></span></span></span></p>