ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপিতে দলাদলি

আবদুস সাত্তার, ফটিকছড়ি
আবদুস সাত্তার, ফটিকছড়ি
শেয়ার
ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপিতে দলাদলি

উপজেলা বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি নেতা সরওয়ার আলমগীর। অপর গ্রুপে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছালাউদ্দিন। বর্তমান কমিটিতে সভাপতি দুজন এবং সম্পাদকও দুজন! সরওয়ার গ্রুপে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল হুদা চৌধুরী আর সম্পাদক শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক।

ছালাউদ্দিন গ্রুপে তিনি নিজেই সভাপতি আর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বেলাল উদ্দিন।

জানা গেছে, দলের গত কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন ছালাউদ্দিন আর সম্পাদক শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক। ফারুকের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সম্পাদকের পদ থেকে এক বছর আগে অব্যাহতি দেন ছালাউদ্দিন। সম্প্রতি একই অভিযোগ এনে ছালাউদ্দিনকেও সভাপতির পদ থেকে বাদ দিয়ে নুরুল হুদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেন বিরোধীরা।

উত্তর জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর বলেন, 'ইতিমধ্যে দলের কোন্দল নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুযোগসন্ধানী এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়দের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।' তিনি বলেন, 'এখন অনেকটা হ য ব র ল অবস্থায় চলছে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম।'

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক বলেন, 'নিজের ইচ্ছায় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন ছালাউদ্দিন।

এ জন্য তিনি দলের হাই কমান্ডসহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে সমালোচনার পাত্র হয়েছেন। তাই সমপ্রতি তাকে উপজেলা নির্বাহী কমিটির এক সভায় বহিষ্কার করা হয়। প্রবীণ নেতা নুরুল হুদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'

তবে সভাপতি ছালাউদ্দিন বলেন, 'এখনো দলের সভাপতি পদে বহাল আছি আমি। সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুককে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে জেলা কমিটি এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফারুকের কারণেই দলের দুরবস্থা। এছাড়া দলে ব্যাপক অশান্তি সৃষ্টি করছে উত্তর জেলার এক নেতা।'

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী বলেন, 'সাকা পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির ফলাফল হল গ্রুপিং। আমরা সিনিয়র নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছি। শিগগিরই গ্রুপিং নিরসন হবে। অশুভ হাত থেকে মুক্ত করে বিএনপিকে সুসংগঠিত করা হবে।'

উল্লেখ্য, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী ও সরওয়ার আলমগীরের বাড়ি ফটিকছড়িতে।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফেনীতে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসে দুই শ্রমিক নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী প্রতিনিধি
শেয়ার
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসে দুই শ্রমিক নিহত

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার থানা পাড়া এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে থানাপাড়া এলাকায় কুয়েত প্রবাসী শহিদুলের নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন-বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার সাংদিয়া গ্রামের রবীন্দ্র দাশের ছেলে বিকাশ চন্দ্র দাশ আকাশ, খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানার করইয়া বাগান এলাকার ছেরাজুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বিকেল থেকে ওই দুইজনের মোবাইলে কল দেন স্বজনরা।

এসময় সাড়া না পেয়ে ঠিকাদারকে জানায় তারা। গতকাল সকালে ঠিকাদার তাদের খোঁজ করতে ঘটনাস্থলে গেলে মেঝে তাদের স্যান্ডেল দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক খোঁজাখুঁজির পর সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তাদের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। সেপটিক ট্যাংকটি এক মাসের বেশি বন্ধ থাকায় সেখানে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
এই কারণে দুই শ্রমিক কাজ করার জন্য ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করলে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়।

গতকাল তাঁরা ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ছাদে সেন্টারিং খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে এ সময় জমে থাকা গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে সেখানেই মারা যান। ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ভেঙে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

চট্টগ্রামে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু রোগী ৩৮৯২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু রোগী ৩৮৯২

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১৪৩ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত নয় মাসে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে নগর ও জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন আছে ৩৯৩ জন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে ডেঙ্গুর এসব তথ্য পাওয়া যায়।

জানা যায়, গত মাসে (সেপ্টেম্বর) মোট ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে নগরে ৬ হাজার ৭৭৫ জন ও জেলায় ২ হাজার ৯০৪ জন। গত মাসে ২১ জনসহ চলতি বছরের এই পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭৪ জন। এর মধ্যে শিশু ২৬, নারী ২৫ ও পুরুষ ২৩ জন। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে গত আগস্ট মাসে (২৮ জন)।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওচ বলেন, ‘আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মৃত্যু কিছুটা কমলেও আক্রান্ত বেশি। আগস্ট মাসে হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছিল ৩ হাজার ১১ জন। আর সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ৮৯২ জন। আগস্ট মাসে প্রতিদিন গড়ে ৯৭ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ জন ভর্তি হয়।

মন্তব্য
বিজিসি ট্রাস্ট সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী

পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে শিক্ষার্থীদের

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে থিওরিটিক্যাল পড়াশোনা করানো হয় তা চাকরির জন্য পর্যাপ্ত নয়। আমাদের ছেলেদের থিওরিটিক্যাল নলেজ ভরপুর। কিন্তু বাস্তবিক জ্ঞান বা দক্ষতা কম। চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হলে বহুমাত্রিক দক্ষতা ও ভাষা জানা জরুরি।

পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সফট স্কিল অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে বিশ্ব বাজারের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষানবিশ বা বিনা বেতনে হলেও কাজে লেগে যেতে হবে। তাহলে একটা সময় দক্ষতার জোরে বিশ্ববাজারে কদর বাড়বে।

চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের গতকাল শনিবার দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

চন্দনাইশে নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। 

এবারের সমাবর্তনে ৩টি অনুষদের অধীনে ৫টি বিভাগের মোট ৪ হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ৫ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ডমেডেল, ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ডমেডেল ও ৬ জনকে চেয়ারম্যান গোল্ডমেডেল প্রদান করা হয়।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমদ ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব।

মন্তব্য

ছাগল চরাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল শিশু

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
ছাগল চরাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল শিশু

কক্সবাজারের টেকনাফে ওমর সাদেক (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। ওই শিশু উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়া এলাকার সব্বির আহমদের ছেলে এবং শাহপরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ নাফনদের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ধানক্ষেতের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। এর আগে শিশু সাদেক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই স্থানে ছাগল চরাতে যায়।

বিকেলের পর থেকে ছাগল তিনটি পাওয়া গেলেও সাদেক নিখোঁজ ছিল।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. জোবাইর সৈয়দ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আট বছরের এক শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই আমি একটি টিমসহ ওই শিশুর বাড়িতে এবং ঘটনাস্থলে যাই। পরে তার মৃতদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহতের মা ছমিরা বেগম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে সাদেক বাসায় ফিরে না এলে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেছি। পরে রাত আটটার দিকে ছাগল চরানোর স্থানে আত্মীয়স্বজনরা খুঁজতে গিয়ে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার গলা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল, অণ্ডকোষ ফেটে রক্ত বেরিয়েছে।  নাক থেকেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ