<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৃত্যুর মুখ থেকে বারবার বেঁচে ফিরে জীবনের মানে বুঝেছেন সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্লিকআপ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর প্রতিষ্ঠাতা জেব ইভান। প্রডাক্টিভিটি বা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর প্ল্যাটফরমটি যাত্রা করে মাত্র সাত বছর আগে। ৩৪ বছরের জেব ইভানস একাধারে স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পণ্য বিভাগের প্রধান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথম স্টার্টআপ দাঁড় করানোর সময় তার না ছিল মূলধন, না ছিল ব্যবসাবিষয়ক কোনো ডিগ্রি। এর পরও তিনি এখন  ৪০০ কোটি ডলারের স্টার্টআপের মালিক। শূন্য থেকে শুরু করা জেব ইভানের অফিস আছে যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো, সল্টলেক সিটি এবং আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্ঘটনায় মোড়া জীবন : ১৯৯৯ সালে</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মাত্র ১০ বছর বয়সে নৌদুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এর পরের কয়েক মাস কাটে হাসপাতালের বিছানায়। হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ই অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যায় তার। একদম শেষ মুহূর্তে শনাক্ত হওয়ায় বেঁচে যান। এর পরের ঘটনাটি আরো ভয়াবহ। ২০১২ সালে তার বাসায় ডাকাতি হয়। সে সময় এক ডাকাত তার মাথায় গান (পিস্তল) তাক করে। কিন্তু গুলি না করায় বেঁচে যান তিনি। জীবনটা যে অন্যের অধীনে চাকরি করে কাটাতে চান না সেটা তিনি গান পয়েন্টের মুখোমুখি হওয়ার পরই বুঝে গিয়েছিলেন। সে সময় ইভানের মনে হয়েছিল, জীবনে যা চেয়েছেন তা এখনো করতে পারেননি। এই উপলব্ধি থেকে পরের দিনই ভার্জিনিয়া টেক থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের আশা বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সংগ্রামে নামেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ্যোক্তা হওয়ার হাতেখড়ি : প্রথমে</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফাস্ট ফলোয়ার্জ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ফার্ম দাঁড় করান। চার বছর পর তিনি বুঝতে পারেন, মানুষের অহংবোধ ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়া খাতের ব্যবসা চলে। সামাজিকভাবে কেউ এতে উপকৃত হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের ব্যবসা বিক্রি করে তিনি সিলিকন ভ্যালিতে চলে যান। সেখানে মিমরি নামের একটি স্টার্টআপ দাঁড় করান। ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অ্যাপটি তৈরির লক্ষ্য ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অহংকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির বৈশিষ্ট্য থেকে বের হয়ে আসা। কিন্তু এই কাজে ব্যর্থ হওয়ায় বছর খানেকের মধ্যেই স্টার্টআপটি গোটাতে বাধ্য হন। তবে জেব ইভানসের মতে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিমরি যদি প্রতিষ্ঠা না করতাম তবে ক্লিকআপেরও জন্ম হতো না। প্রথমবার টেক স্টার্টআপ দাঁড় করাতে গেলে মানুষ অনেক কিছু শেখে। নিজের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কতটুকু সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। স্টার্টআপ দাঁড় করানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না গেলে আপনি কোনো কিছু শিখতে পারবেন না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমস্যা থেকে ক্লিকআপের জন্ম : মিমরির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কাজ করার সময় তিনি ভালোমানের প্রডাক্টিভিটি অ্যাপের অভাব অনুভব করেন। অনেক ধরনের প্রডাক্টিভিটি টুল থাকলেও সেগুলোতে সব সুবিধা একসঙ্গে থাকে না। এর ফলে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের টুল ব্যবহার করতে হয়। এতে সময় বাঁচিয়ে কাজ করা যায় না। বাজারে ভালো প্রডাক্টিভিটি অ্যাপের অভাব যে রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। এর পরই ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন প্রডাক্টিভিটির অল-ইন-ওয়ান-সলিউশন ক্লিকআপ। প্রথম দিকে তার অফিস ছিল সিলিকন ভ্যালির দোতলা একটি ভবনে। প্রথম তলায় ছোট্ট একটি টিম নিয়ে কাজ করতেন। দ্বিতীয় তলায় ঘুমাতেন। শুরু থেকেই লাভজনক ছিল ক্লিকআপ। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই প্রডিস নামের একটি সংগঠন থেকে সেরা প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট পণ্যের পুরস্কার পায় ক্লিকআপ। এর সূত্র ধরেই প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজের ব্যবসা সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেন ইভান। ক্লিকআপ লাভজনক এবং এটি চালানোর খরচ কম হওয়ায় বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখান। এর পরের দুই বছরে ফুলেফেঁপে বড় হয় ক্লিকআপের ব্যবসা।<br /> সূত্র : ফাউন্ডার, ফাস্টকম্পানি</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>