তাইকিচিরো মোরি ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। ৫৫ বছর বয়সে শিক্ষকতা ছেড়ে গড়ে তোলেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। জীবনের পরবর্তী ৩৩ বছর কাজে লাগিয়ে তিনি শতকোটি ডলার আয় করেন। বর্তমানে কম্পানিটির বাজারমূল্য ৩৪ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার।
তাইকিচিরো মোরি ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। ৫৫ বছর বয়সে শিক্ষকতা ছেড়ে গড়ে তোলেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। জীবনের পরবর্তী ৩৩ বছর কাজে লাগিয়ে তিনি শতকোটি ডলার আয় করেন। বর্তমানে কম্পানিটির বাজারমূল্য ৩৪ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার।
শিক্ষক থেকে ব্যবসায়ী : জাপানের রিয়েল এস্টেট মোগল তাইকিচিরো মোরির জন্ম হয় ১৯০৪ সালে। তাঁর বাবা চালের ব্যবসা করতেন। এর পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গাজমিও ছিল। এ কারণে সম্পত্তি কিভাবে দেখাশোনা করতে হয়, তা খুব ছোট বয়সেই শিখে যান তাইকিচিরো মোরি।
তিনি স্নাতক করেন ১৯২৮ সালে টোকিওর হিতোত্সুবাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে ইয়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। নিশ্চিত ক্যারিয়ার গড়তে পারিবারিক ব্যবসার বদলে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর বাধ্য হয়েই তাঁকে পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরতে হয়।
গড়তে চেয়েছিলেন আধুনিক শহর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে জাপানের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগোতে শুরু করে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন মোরি। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকেও টোকিও ছিল ছোট ছোট কাঠের বাড়ি ও সরু গলির শহর। উচ্চতল ভবন বানিয়ে এই শহরকে আধুনিক রূপ দেন মোরি। ১৯২৩ সালে জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এর ভয়াবহতা নিজ চোখে দেখেছিলেন তিনি। ভূমিকম্পের কারণে কাঠের বাড়িঘর আগুনে পুড়ে যায়। মৃত্যু হয় এক লাখ ৪২ হাজার মানুষের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও একের পর এক বোমা মেরে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে কাঠের বদলে স্টিল ও কংক্রিটের ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন মোরি। টোকিওর তোরানোমোন জেলায় গিয়ে মানুষকে বোঝাতে শুরু করেন ভবনে থাকার সুবিধা কতখানি। আশির দশকে জমির দাম বাড়তে শুরু করে। টোকিওতে বাড়তে থাকে ডেভেলপারদের বিনিয়োগ। ধীরে ধীরে কম্পানিটি টোকিওর শহরতলি তোরানোমোন এলাকায় জায়গা কিনে বড় পরিসরে নির্মাণকাজ শুরু করে। বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল জমিতে মোরি বিল্ডিংস গড়ে তোলে ৮৩টি উচ্চতল ভবন।
সাদামাটা জীবন দর্শনেই শীর্ষ ধনী : টোকিওতে ‘ওআইয়ে-সান’ নামে পরিচিত ছিলেন তাইকিচিরো মোরি। জাপানি এই শব্দের অর্থ বন্ধুসুলভ জমিদার। তুমুল সাফল্যের পরও আড়ালে থাকতেন। অভ্যস্ত ছিলেন সাধারণ জীবনযাপনে। মদ্যপান ও ধূমপান থেকেও দূরে থাকতেন। অফিসে যেতেন জাপানের ঐতিহ্যগত পোশাক কিমোনো পরে। ফোর্বসের তালিকায় ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব অর্জন করেন তিনি। ১৯৯১ সালে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার, বর্তমানে যা ২৯.৯ বিলিয়ন ডলারের সমতুল্য। ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩ বিলিয়ন ডলার। দেরিতে ব্যবসায় নামলেও অর্থনীতি বিষয়ে ধারণা রাখার কারণে তিনি খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতেন। জীবদ্দশায় তাইকিচিরো মোরি কখনো বিশাল অঙ্কের ঋণ নেননি। মোরি বিল্ডিং কম্পানির মালিকানাও কখনো হাতছাড়া করেননি। তিনি যে ব্যাবসায়িক মডেল তৈরি করেছিলেন, সেটির নির্দিষ্ট একটি ধরন ছিল। দ্রুত বিক্রি নয়, বরং জায়গা কিনে দীর্ঘদিন ধরে রেখে বিশাল সাফল্য পান তাইকিচিরো মোরি। তাই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় মোরির দূরদর্শিতাকে উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়।
বর্তমানে মোরি বিল্ডিংয়ের ব্যবসা সামলাচ্ছে তাঁর পুত্রবধূ ইয়োশিকো মোরি। আরেক ছেলে আকিরা মোরি ট্রাস্টের ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। মোরি ট্রাস্টের আওতায় ১০১টি ভবন ও ২১টি হোটেল পরিচালিত হচ্ছে। এই হোটেলগুলোর তালিকায় সাংরিলা ও ম্যারিয়ট হোটেলও আছে। পুরো জাপানে বিনিয়োগের বদলে টোকিওর কেন্দ্রস্থলে অফিস টাওয়ার, আবাসিক ভবন, শপিং সেন্টার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থল তৈরি করেছে মোরি বিল্ডিং কম্পানি। সূত্র : ফোর্বস, গ্রোউইথঅল
সম্পর্কিত খবর
চাল রপ্তানিতে ভারতের আয়ের পরিমাণ দুই বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হওয়ায় রপ্তানিতে ভাটা পড়েছে। ভারতের সিদ্ধ চালের (৫ শতাংশ ভাঙা) প্রতি টনের দাম এখন ৪০৯ থেকে ৪১৫ ডলার। ২০২৩ সালের জুনের পর এটিই সর্বনিম্ন দাম।
অন্যদিকে সাদা চালের (৫ শতাংশ ভাঙা) দাম এখন প্রতি টন ৩৯০ থেকে ৪০০ ডলার। শুধু বিশ্ববাজারে চাহিদা কমে যাওয়া নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও চাল উৎপাদন নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গত ১২৪ বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারির তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।
ভিয়েতনামের মেকং বদ্বীপের এক চাল ব্যবসায়ী জানান, ভিয়েতনামের বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। চাহিদা থাকলেও দাম কমছে।
একসময় যে জমিটি ছিল জঙ্গলে ঘেরা পরিত্যক্ত, যে জায়গাটিকে মালিক বছরে একবারও তাকিয়ে দেখতেন না; সেই পরিত্যক্ত জমিতে এখন সবুজের বিপ্লব শুরু হয়েছে। পরিত্যক্ত এসব জমিতে এখন চোখে পড়ে সবুজ পানের বরজ।
উৎপাদন খরচ কম ও বহুবর্ষজীবী হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বরগুনার বামনা উপজেলায় ব্যাপক হারে পান চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে পান চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে পাইকারি পানের বাজার। প্রতি হাটে লাখ লাখ টাকার পান কেনাবেচা হয়।
পান চাষ একটি দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক ফসল।
চাষাবাদ পদ্ধতিতে পান চাষে প্রথমে কাটিং সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করতে হয়। এরপর এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ডাল থেকে সবুজ লতা বের হয়ে ছেয়ে যায় পানপাতায়। এরপর শুরু হয় চাষিদের পান সংগ্রহ।
বগুড়ায় শিল্প পার্ক স্থাপন করা গেলে চীন থেকে পণ্য আমদানি কমে যাবে ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ বগুড়াতেই ৫০ শতাংশ পণ্য উৎপাদন করা হবে। পাল্টে যাবে বগুড়াসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র। যদিও এই মুহূর্তে উৎপাদন এবং সরকারকে রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বগুড়ার অবস্থান শীর্ষে এবং বিনিয়োগ ও কারখানাভিত্তিক কর্মসংস্থানে দ্বিতীয়।
সূত্র দাবি করে, এখানকার শিল্প মালিকরা উৎপাদনব্যবস্থা আধুনিকায়নে বরাবরই মনোযোগী। শত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও দমে যাননি তাঁরা। স্বল্প পুঁজি নিয়েই বিসিকের অল্প জায়গা কাজে লাগিয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করেন।
বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিল্টন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী আজিজুর রহমান মিল্টন জানান, বগুড়ার গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত এখানে বিসিক শিল্প পার্ক করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কামাল মেশিনারিজের স্বত্বাধিকারী কামাল পাশা জানান, বগুড়া এত দিন অবহেলিত ছিল।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বামমা) জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেদুর রহমান রাজু জানান, দেশের অনেক বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট ফাঁকা পড়ে আছে। অথচ বগুড়ায় শিল্প স্থাপনের জন্য উদ্যোক্তারা জায়গা পাচ্ছেন না। বিসিক শিল্পনগরীকে সম্প্রসারণ অথবা শিল্প পার্ক স্থাপিত হলে শুধু বগুড়া নয়, সারা দেশে এর প্রভাব পড়বে। ২০৩০ সালের মধ্যে চীন থেকে পণ্য আমদানি ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বগুড়াতেই ৫০ শতাংশ পণ্য উৎপাদন করা হবে। পাল্টে যাবে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কার্যালয় এবং বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ১৯৬০ সালে উত্তরাঞ্চলের সর্বপ্রথম বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠে বগুড়ায়। দুই বছর পর ১৯৬২ সালে রাজশাহী, পাবনা ও দিনাজপুরে এবং ১৯৬৭ সালে রংপুরে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার মধ্যে ১১টি জেলায় ১৯৮৪ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিসিক শিল্পনগরীগুলো গড়ে ওঠে। বিনিয়োগ, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থানসহ সরকারকে রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি বিসিক শিল্পনগরীর মধ্যে বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও রংপুর অন্য ১১টির চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বিসিক শিল্পনগরী থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, পণ্য উৎপাদন এবং সরকারকে রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বগুড়ার অবস্থান শীর্ষে। বগুড়ায় শিল্প খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৮৬৫ কোটি টাকা। মাত্র ৩৩.১৭ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত বগুড়া বিসিক শিল্পনগরীতে সচল ৯০টি প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। বছরে রাজস্ব আসে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা।
এখানকার মানুষ উৎপাদনমুখী হওয়ায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা পঞ্চাশের দশকে সাবান, বস্ত্র, লৌহ, কাচ, সিরামিক, দিয়াশলাই এবং ট্যোবাকো খাতে অর্ধশত কলকারখানা গড়ে তোলেন। বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠার আগেই বগুড়া ‘শিল্পের শহর’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়। পরবর্তী সময়ে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় প্রথমে ১৪.৫০ একর জায়গায় বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়। ব্যাপক চাহিদার কারণে ১৯৮০ সালে আরো ১৮.৬৭ একর জায়গা সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু বর্ধিত শিল্পনগরীর প্লটগুলো কলকারখানায় ভরে যায়। এর পর থেকেই শিল্প স্থাপনের জন্য উদ্যোক্তারা জায়গা পেতে বিসিকে ধরনা দিতে থাকেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জরুরি এ বিষয়ে কর্ণপাত না করায় বাধ্য হয়েই উদ্যোক্তারা ফসলি জমিতে কলকারখানা স্থাপন করেন। এতে করে একদিকে যেমন ফসলি জমি কমতে থাকে, তেমনি পরিবেশদূষণও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালে বিসিক কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় শিল্পনগরী স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। সেটিও মুখ থুবড়ে পড়লে ২০১৮-তে শাজাহানপুর উপজেলায় ৩০০ একর জমিতে ‘উত্তরাঞ্চল কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প পার্ক’ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে জমি অধিগ্রহণসহ ৬৪০টি প্লট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৯২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রস্তাবনাটি পরিকল্পনা কমিশনে গেলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তা আটকে দেওয়া হয়।
বিসিকের পরিচালক মীর শাহে আলম জানান, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন পেলেই দ্রুত অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইরুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার শাসনামলসহ দীর্ঘ ১৬ বছর বগুড়া ছিল উপেক্ষিত ও বঞ্চিত। এখানে শিল্প পার্ক স্থাপন করা হলে অর্থনীতিতে বিরাট বিপ্লব ঘটবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম মাহফুজুর রহমান জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে অর্থনীতির গতিশীলতা নতুন মোড় পাবে এবং বগুড়া অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গতকাল শনিবার প্রতি আউন্সের দাম বাড়ে ৬.৮৭ ডলার। এতে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৯৮৬.৫ ডলার। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়াই মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ।
গত ৩০ দিনে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে ৬৩.১৪ ডলার। এর মধ্যে গত ৯ দিনে বেড়েছে প্রায় ৫৮ ডলার। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ সব দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। সোনার মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আছে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির চাপ এবং তার জেরে শুল্কযুদ্ধের আশঙ্কা।
ট্রাম্প যেভাবে শুল্ক আরোপ করছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। এটাই সোনার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কারণ বলে মনে করেন জো কাভাতোনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে। গত তিন বছরে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি সোনা কিনেছে। এর মধ্যে গত বছর সর্বোচ্চ ৯০ টন সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ২০ বছরে সোনার দাম বেড়েছে দুই হাজার ৫৩৮.৪২ ডলার।