নিঃসঙ্গতা বাড়ায় চ্যাটবট

অলকানন্দা রায়
অলকানন্দা রায়
শেয়ার
নিঃসঙ্গতা বাড়ায় চ্যাটবট

আপনি কি কখনো একা অনুভব করেন? যখন মনে হয় মন খুলে কথা বলার মতো কেউ নেই। তখন কি চুপি চুপি ফোনটা হাতে তুলে চ্যাটজিপিটিকে ‘হাই!’ বলেন? আপনিও হয়তো অনেকের মতোই ভাবছেন, ‘এআই তো অন্তত শুনছে, বিরক্তও করছে না।’ এই বন্ধুত্ব কি নিঃসঙ্গতার ওষুধ, না এর আসক্তি?

ওপেনএআই আর এমআইটি মিডিয়া ল্যাব মিলে ঠিক এই প্রশ্ন ঘিরেই চালিয়েছে এক বিশাল গবেষণা। কয়েক হাজার ব্যবহারকারীর প্রায় চার কোটি চ্যাটজিপিটি ইন্টারঅ্যাকশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা যা পেয়েছেন, তা একটু চিন্তা করার মতো।

দুটি পৃথক গবেষণা চালানো হয়েছে—প্রথমটিতে ছয় হাজার হেভি ইউজারকে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যারা চ্যাটজিপিটির অ্যাডভান্সড ভয়েস মোডে তিন মাস প্রচুর সময় কাটিয়েছে। দ্বিতীয়টিতে ৯৮১ জন অংশগ্রহণকারীকে ২৮ দিন ধরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ মিনিট চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে বলা হয়। এরপর মানসিক অবস্থা মাপা হয় তাদের।

প্রাথমিক ফলাফল, যারা আগে থেকেই একা ছিল, তারা যত বেশি এআই ব্যবহার করেছে, ততই তাদের একাকিত্ব বেড়েছে।

অন্যদিকে যারা স্রেফ এটা টুল হিসেবে আবেগ ছাড়াই ব্যবহার করেছে, তাদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়নি। গবেষকরা বলছেন, এটা ঠিক সোশ্যাল মিডিয়ার মতোই এক দুষ্টচক্র। যারা একা বোধ করে, তারাই এআইকে সঙ্গী করে—হয়ে পড়ে নির্ভরশীল। কমিয়ে দেয় সামাজিক মেলামেশা, বাড়ে একাকিত্ব।
এভাবেই একসময় মনে হয় ‘মানুষ বুঝবে না, মেশিনই ভালো’।

একটা দারুণ ব্যাপার বেরিয়ে এসেছে ভয়েস মোড নিয়ে। শুরুতে উপকারী মনে হলেও ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বরং একাকিত্ব আরো বাড়ে। এক ধরনের আবেগিয় নির্ভরতাও তৈরি হয়। চ্যাটবটের কণ্ঠ মানুষের মতোই, তাই মানব মস্তিষ্ক একে রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবেই কল্পনা করে নেয়।

যুক্তরাজ্যের সারি ইনস্টিটিউট ফর পিপল-সেন্টারড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু রোগয়স্কি বলেছেন, যন্ত্র যদি মানুষের মতো কথা বলে, যন্ত্রকে রক্ত মাংসের মানুষ ভাববে ব্যবহারকারী। তখন মানুষের মনে হবে চ্যাটবট নয়, সময় কাটাচ্ছি আপনজনের সঙ্গে।

কিছু ভয়ংকর ঘটনাও এ থেকে ঘটেছে, যেমন—২০২৩ সালে এক বেলজিয়ান ব্যক্তি জিপিটি ৪ চ্যাটবটের সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথনের পর আত্মহত্যা করে বসে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, চ্যাটবট ব্যবহার যাতে মানবিক সম্পর্কের বিকল্প না হয় দাঁড়ায়।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্মার্টফোনের সঙ্গী-সাথী

    নতুন ফোন কেনার সঙ্গে চাই এর নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় কভার ও গ্লাস। অনেক ফোনের সঙ্গে এখন চার্জারও দেওয়া হয় না, আলাদা করে কিনে নিতে হয়। ফোনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক কী কী কেনা উচিত, পরামর্শ দিচ্ছেন ইসহাক হিরক
শেয়ার
স্মার্টফোনের সঙ্গী-সাথী
এখন স্মার্টফোনের সঙ্গে আলাদা করে কিনতে হয় চার্জার ছবি : সংগৃহীত

ডিসপ্লে প্রোটেক্টর

ফোন কেনার পর প্রথমেই ডিসপ্লের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত। আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লে সুরক্ষায় গরিলা গ্লাস বা ড্রাগনটেইলের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও অল্প ধুলাবালিতেও সহজেই ডিসপ্লেতে দাগ পড়তে পারে। বাজারে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকার দামি গ্লাসও পাওয়া যাচ্ছে। মূল্যের এ বিশাল তফাত কেন—তা সহজেই বেশির ভাগ ক্রেতা বুঝে উঠতে পারে না।

  ব্র্যান্ডের পাশাপাশি এর স্বচ্ছতা, গ্লাসটি কতটা শক্ত, আঙুলের ছাপ নিরোধী ওলিওফোবিক কোটিং আছে কি না—এর ওপরও দাম নির্ভর করছে।  একেবারে কম বাজেটের গ্লাসগুলো শুধু হালকা দাগ থেকেই সুরক্ষা দেবে, অল্প আঘাতেই ফোনের স্ক্রিনসহ ফেটে যেতে পারে। তাই অন্তত নাইনএইচ হার্ডনেসের গ্লাস ব্যবহার করা উচিত। ডিসপ্লের মধ্যেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর থাকলে গ্লাস কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেন্সরের কর্মপ্রক্রিয়ায় সমস্যা করে কি না।
ফোনের ডিসপ্লেতে কার্ভ থাকলে ইউভি গ্লুযুক্ত প্রোটেক্টর ব্যবহার করার পরামর্শ দেন অনেক বিক্রেতা। এ ধরনের প্রোটেক্টর পরবর্তী সময় বদল করা কঠিন, তাই না কেনাই ভালো। শখের স্মার্টফোনটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অনেকটাই বদলে দেবে মানসম্মত প্রোটেক্টর, তাই এটি কেনার সময় অন্তত ৫০০ টাকা বাজেট রাখা উচিত।

 

ক্যামেরা প্রোটেক্টর

প্রায় সব স্মার্টফোনের ক্যামেরাই বডি থেকে একটু উঁচু হয়ে থাকে, যেটাকে বলা হয় ক্যামেরা বাম্প।

ফোন ডেস্কে কিংবা ব্যাগে রাখলে এতে ঘষা লেগে দাগ পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই উচিত ক্যামেরা প্রোটেক্টর ব্যবহার করা। বাজারে বেশির ভাগ প্রচলিত মডেলের জন্য ক্যামেরা প্রোটেক্টর পাওয়া যায়, দাম শুরু ১০০-১৫০ টাকা থেকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রোটেক্টরের জন্য যাতে ক্যামেরার মান নষ্ট না হয়, কিছু অর্থ সাশ্রয় করার বিনিময়ে ঘোলা ছবি একেবারেই কাম্য নয়।

 

কভার বা কেস

স্মার্টফোন সুরক্ষায় একটা জিনিস না হলেই নয়, সেটা হচ্ছে কভার বা কেস।

বাজারে হরেক রকমের কভার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী কভারের ধরন বেছে নেওয়া উচিত।

 

সিলিকন কভারকে জাতীয় কভার বলা যায়। স্মার্টফোনের বক্সেই এ ধরনের কেস সরবরাহ করে অনেক নির্মাতা। এ ধরনের কভার ফোনের ডিজাইনকে দৃশ্যমান রাখে, তবে খুব একটা শক-প্রোটেকশন দেয় না ও বেশিদিন ব্যবহারের পর রং পরিবর্তন হয়ে যায়। দামও অবশ্য কম, ১০০-৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

 

রাবার ও টিপিইউ কভার : সিলিকনের চেয়ে শক্ত ও টেকসই, শক শোষণ করতে পারে, ফোন হাত থেকে পড়লে ভালো প্রটেকশন দেয়। এটাও দামে সস্তা ও হালকা। এ ছাড়াও কাস্টোমাইজড ডিজাইনের অভাব নেই এই কভারের। ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে মিলবে।

রাগেড কভার : এই ধরনের কভার আপনার ফোনকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ১০-১২ ফুট উচ্চতা থেকেও ফোন রক্ষা পেতে পারে। এই ধরনের কভার একটু ভারী ও মোটা হয়ে থাকে, আর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে যারা খুব রাফটাফ ফোনকে ব্যবহার করেন এবং আপনার ফোনের সর্বোচ্চ সুরক্ষা চান তাঁদের জন্য এই ধরনের কভার একেবারে পারফেক্ট। এর জন্য খরচ হবে হাজার টাকার ওপর।

 

চার্জার

এখন বেশির ভাগ ফোনের সঙ্গে চার্জ করার অ্যাডাপ্টার দেওয়া হয় না। আইফোন, পিক্সেল বা স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ক্ষেত্রে ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি সমর্থিত চার্জার নেওয়া উচিত। এ মডেলের ফোনগুলো পিডি চার্জার ব্যবহারে অনেক দ্রুত চার্জ হয়। ডিভাইসের প্রয়োজন অনুযায়ী ভোল্টেজ ও এম্যাম্পিয়ার প্রদান করে পিডি চার্জার। তবে অনার, শাওমি, অপ্পো বা ওয়ানপ্লাসের মতো ফোনের চার্জিং সিস্টেম আলাদা, তাই সেসব ডিভাইসের সঙ্গে কাজ করে এমন চার্জারই কেনা উচিত, নইলে দ্রুত চার্জিং কাজ করবে না।

অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের মনে রাখতে হবে, চার্জার ও ক্যাবল অবশ্যই ‘মেড ফর আই’ বা এমএফআই সার্টিফায়েড হতে হবে। চার্জার ও ক্যাবলের জন্য বাজেট রাখা উচিত অন্তত দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা। খেয়াল রাখতে হবে, চার্জার ও ক্যাবলে টাকা বাঁচানো যেন ডিভাইসের ক্ষতির কারণ না হয়।

 

মন্তব্য

এলো নিন্টেন্ডো সুইচ ২

    ভিডিও গেম নির্মাতা নিন্টেন্ডো উন্মোচন করেছে নতুন কনসোল। এর উন্নত হার্ডওয়্যারকে স্বাগত জানালেও গেমগুলোর বাড়তি দাম নিয়ে ইন্টারনেটে চলছে সমালোচনার ঝড়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মোস্তফা শাহরিয়ার
শেয়ার
এলো নিন্টেন্ডো সুইচ ২

প্রায় এক দশক পর নতুন প্রজন্মের কনসোল উন্মোচন করেছে নিন্টেন্ডো, যার নাম ‘সুইচ ২’। ২ এপ্রিল এক অনলাইন ইভেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে কনসোলটি উন্মোচিত হয়েছে। ইভেন্টটিতে সুইচ ২ এর হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ফিচার, মূল্য ও শুরুতে কী গেম খেলা যাবে—তা জানা গেছে। এটি বাজারে আসছে আগামী ৫ জুন।

 

হার্ডওয়্যার

সুইচ ২ এর ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে ৭.৯ ইঞ্চি আইপিএস প্রযুক্তির এলসিডি প্যানেল। এর রেজল্যুশন ১০৮০পি এবং রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। হাই ডাইনামিক রেঞ্জ (এইচডিআর) এবং  ভ্যারিয়েবল রিফ্রেশ রেট সমর্থনও এতে থাকবে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে এনভিডিয়ার তৈরি প্রসেসর।

তবে প্রসেসরের মডেল, জিপিইউ বা র‌্যামের বিষয়ে নিন্টেন্ডো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। এতে থাকছে ইউএফএস প্রযুক্তির ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার স্টোরেজ, গেম রাখার জন্য বাড়তি স্টোরেজ হিসেবে মাইক্রোএসডি এক্সপ্রেস কার্ডও ব্যবহার করা যাবে। ডিজিটাল গেম ডাউনলোডের পাশাপাশি গেম কার্ট্রিজ ব্যবহারের জন্যও স্লট থাকছে। হেডফোন জ্যাক ও দুটি ইউএসবি সি পোর্টও এতে দেওয়া হয়েছে।
ব্যাটারির ধারণক্ষমতা ৫২২০ এমএএইচ, গেমের গ্রাফিকসের মানভেদে দুই থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। কনসোলের উভয় পাশে ম্যাগনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকছে দুটি জয়কন। এগুলো চাইলে মাউস হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। টিভিতে গেম খেলতে চাইলে কনসোলটির নিজস্ব ডক ব্যবহার করতে হবে। জয়কনের পাশাপাশি নতুন প্রো কনট্রোলারও বাজারে আসছে, তবে বাড়তি বাটন ছাড়া বর্তমান মডেলের সঙ্গে নতুনটির তেমন তফাত নেই।
বাড়তি অ্যাকসেসরি হিসেবে জয়কন ২ গ্রিপ, স্ট্র্যাপ এবং ওয়েবক্যামও বাজারে আনছে নিন্টেন্ডো।

 

সফটওয়্যার

সুইচ ১ এর কিছু গেম সরাসরি সুইচ ২-তে খেলা যাবে। বাকি গেমগুলো ধীরে ধীরে সুইচ ২-এর জন্য নতুন করে রিমাস্টার বা রিমেক করার পরিকল্পনার কথা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। এর পাশাপাশি নিন্টেন্ডোর অনলাইন সেবার অংশ হিসেবে পুরনো বেশ কিছু নিন্টেন্ডো গেমও এতে খেলার ব্যবস্থা আছে। বরাবরের মতোই ওয়েব ব্রাউজিং, অডিও-ভিডিও চালানো এবং কিছু অ্যাপ এতে ব্যবহার করা যাবে। নতুন ফিচার হিসেবে আসছে নিন্টেন্ডো চ্যাট। ব্যবহারকারীরা গেম খেলার সময় একে অন্যের সঙ্গে অডিও বা ভিডিও কলে সংযুক্ত থাকতে পারবে। ভিডিও কলের জন্য ওয়েবক্যাম লাগবে আলাদা। গেমের দৃশ্য লাইভ স্ট্রিমও করা যাবে। বলা যায়, জনপ্রিয় যোগাযোগ প্ল্যাটফরম ডিস্কর্ডের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করছে নিন্টেন্ডো। গেম শেয়ার নামেও একটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, এতে একটি গেম দুই থেকে চারজন নিজেদের কনসোলে খেলতে পারবে। তবে একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে থাকতে হবে সব কনসোল। আপাতত থিম বা অন্যান্য কাস্টোমাইজ করার সুবিধা থাকছে না, ভবিষ্যতে আপডেটের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে।

 

শুরুতে কী গেম আসছে

৫ জুন কনসোল কিনেই মোট ৪১টি গেম খেলতে পারবে গেমাররা। এর মধ্যে আছে নতুন গেম মারিও কার্ট ওয়ার্লড, ডংকি কং ব্যানানজা, মেট্রোয়েড প্রাইম ৪: বিয়ন্ড ও পোকেমন: এ টু জেড-এর মতো নিন্টেন্ডোর নিজস্ব সব গেম। ফ্রমসফটওয়্যারের তৈরি দ্য ডাস্কব্লাডস, সিডি প্রজেক্ট রেডের সাইবারপাংক ২০৭৭ এবং ডব্লিউবি গেমসের হগওয়ার্টস লেগেসির মতো অন্যান্য বড় সব স্টুডিওর গেমও এই কনসোলে খেলা যাবে। প্রতিটি গেম অন্তত ১০৮০পি রেজল্যুশনে ৩০ এফপিএস ফ্রেমরেটে খেলা যাবে দাবি নিন্টেন্ডোর।

 

মূল্য এবং সমালোচনা

সুইচ ২-এর দাম ৪৪৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৬ হাজার টাকা)। ডিজিটাল গেমের দাম ৮০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার টাকা) আর গেম কার্ট্রিজের দাম ৯০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার টাকা) হওয়া একেবারেই অযৌক্তিক, বাজার বিশ্লেষকরাও এমনই বলছেন। নিন্টোন্ডোর দেখাদেখি অন্যান্য গেম নির্মাতারাও এভাবেই দাম বাড়িয়ে দেবে আশঙ্কা করছে তারা। পুরো বিশ্ব যেখানে অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি, সেখানে এভাবে গেমিংয়ের খরচ বাড়ানোয় হতাশ হয়েছে নিন্টেন্ডো ফ্যানরা।

 

মন্তব্য

নিজেই বানান হোমল্যাব

    নেটফ্লিক্সে সিনেমা-টিভি সিরিজ দেখা থেকে শুরু করে গুগল ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ব্যাকআপ করা, প্রতিটি অনলাইন সেবার জন্যই গুনতে হয় ফি। গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তায় এসব প্রতিষ্ঠান গাফিলতি করে, গোপনীয় তথ্য চলে যায় মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের হাতে। ফলে পুরো বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হোমল্যাব। নিজস্ব ওয়েবসেবা হোস্টিংয়ের বিস্তারিত জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ
শেয়ার
নিজেই বানান হোমল্যাব
হোমল্যাব তৈরিতে অনেকে পুরনো অফিস পিসি ব্যবহার করে। ছবি : সংগৃহীত

নিজের ‘ক্লাউড’ বা হোমল্যাব তৈরি করা খুব কঠিন নয়। তবে এ জন্য কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে কিছু বিশেষ জ্ঞান প্রয়োজন। একবার সেটআপ করার পর আর তেমন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন নেই। চ্যাটজিপিটি, জেমিনি-এর সাহায্য নিয়ে ও রেডিটের মতো ফোরামের পোস্টের গাইডলাইন দেখেও হোমল্যাব বানানো যেতে পারে।

শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেরও প্রয়োজন নেই। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থাকতে হবে।

 

হার্ডওয়্যার

অনেকেই পুরনো ল্যাপটপ ব্যবহার করে তৈরি করে হোমল্যাব। এ কাজে ডেস্কটপ ব্যবহার করা উচিত, এতে স্টোরেজ বাড়ানো সহজ হবে।

বেশ কিছু ওয়েবসেবার জন্য ইন্টেল প্রসেসর বেশি কার্যকর, সঙ্গে  থাকতে হবে অন্তত ৮ থেকে ১৬ জিবি র‌্যাম। স্টোরেজ লাগবে অন্তত দুটি ড্রাইভ। অপারেটিং সিস্টেমের (ওএস) জন্য ১২০ জিবি এসএসডি যথেষ্ট, ফাইল রাখার জন্য অন্তত একটি আলাদা হার্ড ডিস্ক লাগবে। তথ্য নিরাপত্তার জন্য তিনটি সমান ধারণক্ষমতার হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করা উচিত।
ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা ইউএসবি হার্ড ডিস্ক কাজে লাগাতে পারে। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য সরাসরি ইথারনেট কেবল ব্যবহার করা উচিত, তবে ওয়াই-ফাই দিয়েও কাজ চলবে।

 

সফটওয়্যার

হোমল্যাব তৈরিতে উইন্ডোজ ব্যবহার সম্ভব, তবে প্রক্রিয়াটি জটিল। প্রক্সমক্স, আনরেইড বা ট্রুন্যাস স্কেলের মতো অপারেটিং সিস্টেম এ কাজে জনপ্রিয়। প্রতিটি ওএস বিনা মূল্যে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ওএস ইনস্টল করার পর আর মনিটর বা কি-বোর্ড-মাউসের প্রয়োজন নেই, সরাসরি কম্পিউটারের ওয়েব পোর্টাল থেকেই সব নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ট্রুন্যাস স্কেল বা আনরেইড ব্যবহার করা সবচেয়ে সহজ, দুটির ওয়েব পোর্টাল ইন্টারফেসও কাছাকাছি। প্রক্সমক্স আরো বেশি ফিচারসমৃদ্ধ হলেও ব্যবহার করা আরো জটিল। ওয়েব পোর্টালে প্রথম প্রবেশের পর ফাইল রাখার জন্য হার্ড ডিস্কগুলো প্রস্তুত করে নিতে হবে। এরপর পোর্টাল থেকেই অ্যাপ ইনস্টলের মতো এক ক্লিকেই সেটআপ করা যাবে বিভিন্ন ওয়েবসেবা। 

 

ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা

নেটফ্লিক্সের মতো ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা তৈরির জন্য জনপ্রিয় সেবা প্লেক্স, এমবি এবং জেলিফিন। জেলিফিনের তুলনায় প্লেক্স বা এমবি ফিচারে অল্পবিস্তর এগিয়ে থাকলেও বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে না। তাই জেলিফিনের জনপ্রিয়তাই বেশি। ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে জেলিফিন ইনস্টল করার পর ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর জেলিফিন লাইব্রেরিতে যুক্ত করতে হবে সিনেমা, টিভি সিরিজ ও সংগীতের ফোল্ডার। জেলিফিন নিজ থেকেই সিনেমা ও টিভি সিরিজের যাবতীয় তথ্য ও ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে তৈরি করবে লাইব্রেরি। ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোন বা টিভিতে জেলিফিন অ্যাপ ইনস্টল করে নেটফ্লিক্সের মতোই সিরিজ বা সিনেমা দেখতে পারবে। একাধিক ব্যবহারকারীও একসঙ্গে স্ট্রিম করতে পারবে, বলা যায় নেটফ্লিক্সের প্রায় সব সুবিধাই জেলিফিনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। প্লেক্স বা এমবি ইনস্টল করার পদ্ধতিও প্রায় এক।

 

মিউজিক স্ট্রিমিং

যদিও জেলিফিন, এমবি বা প্লেক্সের মাধ্যমে ভিডিওর পাশাপাশি গানও স্ট্রিম করা যায়, এ সেবাগুলো গানের অ্যালবাম বা প্লেলিস্ট তৈরির জন্য আদর্শ নয়। সে জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ন্যাভিড্রোম। জেলিফিনের মতোই, পোর্টাল থেকে ইনস্টল করে, নতুন ইউজার তৈরির পর মিউজিক লাইব্রেরির ফোল্ডার যুক্ত করলেই কাজ শেষ। স্মার্টফোন অ্যাপ বা পিসি থেকে স্পটিফাইয়ের মতোই ন্যাভিড্রোমের মাধ্যমে করা যাবে মিউজিক স্ট্রিমিং। এটিও নিজে থেকেই শিল্পী, অ্যালবামের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে লাইব্রেরি সাজিয়ে নিতে সক্ষম।

 

ফাইল স্টোরেজ

ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মতো ফাইল স্টোরেজ সেবা ওউনক্লাইড ও নেক্সটক্লাউড। এর মধ্যে নেক্সটক্লাউড বেশি জনপ্রিয়। এটিও ইনস্টল করা যাবে পোর্টাল থেকে, এরপর ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে তৈরি করতে হবে অ্যাকাউন্ট। স্মার্টফোন অ্যাপ থেকেও ফাইলগুলো ব্যবহার করা যাবে। অন্য কারো সঙ্গে ফাইল শেয়ার করার প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল, তবে সম্ভব। বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ফোন ও ল্যাপটপের ফাইল ব্যাকআপ রাখার জন্যই নেক্সটক্লাউড ব্যবহার করে।  

 

অনলাইন অফিস

যারা গুগল ডকসের বিকল্প হোস্ট করতে চায়, তাদের জন্য আছে কোলাবোরা ও নেক্সটক্লাউড অফিস। ব্রাউজারের মাধ্যমে ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট ও প্রেজেন্টেশন তৈরির সুবিধা এ দুটি সেবাতেই পাওয়া যাবে। অন্যান্য ওয়েবসেবার মতো এটিও পোর্টাল থেকে ইনস্টলের পর ইউজার তৈরি করে নিতে হবে। একাধিক ব্যক্তি একই ডকুমেন্ট এডিট করার সুবিধাও এতে আছে। নেক্সটক্লাউড অফিসের তুলনায় কোলাবোরার ফিচার কিছুটা বেশি। তবে দুটোই ব্যবহার করা যাবে বিনা মূল্যে।

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

শক্তিশালী জিপিইউ থাকলে নিজস্ব কম্পিউটারেই এআই চ্যাটবট এবং ছবি তৈরির সেবা চালানো সম্ভব। মেটার তৈরি ওপেন সোর্স লামা, ডিপসিক, ওপেনসোর্স জিপিটি ও স্টেবল ডিফিউশনের মতো এআই মডেলগুলো পোর্টাল থেকে এক ক্লিকেই ইনস্টল করা যায়। তবে এগুলো চালানোর জন্য অনেক বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়, তাই এখনো নিজস্ব এআই সেবা তেমন প্রচলিত নয়।

 

ফটো ব্যাকআপ

স্মার্টফোনে তোলা ছবি নিরাপদে রাখার জন্য গুগল ফটোস সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ সেবাটির বেশির ভাগ ফিচারই বিনা মূল্যে দিচ্ছে ইমিচ। এমনকি এআইয়ের মাধ্যমে ফটো শ্রেণিবিন্যাসও করে ইমিচ। এর জন্য প্রসেসরের বিল্ট-ইন জিপিইউ যথেষ্ট। ইমিচ ইনস্টল করার উপায়ও একই, পোর্টাল থেকে ইনস্টল করে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিলেই চলবে। স্মার্টফোনে ইমিচ অ্যাপ ইনস্টল করে লগ-ইন করলে, ছবি ও ভিডিও নিজ থেকেই ব্যাকআপ নেবে ইমিচ। এআই ব্যবহার করে ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের চেহারা শনাক্ত করে নিজ থেকেই ছবি শ্রেণিবিন্যাস করবে ইমিচ। ভবিষ্যতে এতে এডিটিং টুলস যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

 

অন্যান্য

নিজস্ব মেসেজিং সেবা, ভিডিও ও অডিও কল সেবা, গেমিং সার্ভার থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইটও একই মেশিনে চালানো সম্ভব। যারা ওএস হিসেবে প্রক্সমক্স ব্যবহার করেছে, তারা চাইলে একাধিক কম্পিউটার একসঙ্গে ব্যবহার করে শক্তিশালী ক্লাস্টারও বানাতে পারবে।

 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার

নিজ ওয়াই-ফাই বা ল্যানের বাইরে থেকে সেবাগুলো ব্যবহার করার সবচেয়ে সহজ ও অনিরাপদ উপায় পোর্ট ফরওয়ার্ডিং করা। তবে, নিজস্ব ডোমেইনে যুক্ত করা বা ভিপিএন-এর মাধ্যমে ওয়েবসেবাগুলো ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ। এ বিষয়ে অনলাইনে বেশ কিছু টিউটরিয়াল আছে।

 

 

মন্তব্য

বিদায় গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট

সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
বিদায় গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ভয়েস কমান্ডে ব্যবহার করা যেত গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ছবি : সংগৃহীত

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের অধ্যায় প্রায় শেষ, শিগগিরই এটি প্রযুক্তি ইতিহাসের অংশে পরিণত হবে। ব্যবহারকারীরা এর পরিবর্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবা পাবেন জেমিনির মাধ্যমে। গুগল প্রতিটি সেক্টরেই জেমিনি যুক্ত করায় কাজ করছে। এই পরিবর্তন গুগলের প্রযুক্তির জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে চলেছে।

এখন থেকেই পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ব্যবহারকারীর ফোনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের বদলে জেমিনি ইনস্টল করা হবে এবং ২০২৫ সালের শেষে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অ্যাসিস্ট্যান্ট। এরপর অ্যাপটি প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।

 

অ্যাসিস্ট্যান্টের শুরু

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রথম চালু হয় ২০১৬ সালে। এটি স্মার্টফোন, স্মার্ট স্পিকার, টিভি, স্মার্টওয়াচ, হেডফোনসহ বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।

এটি মূলত ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করে, তবে চাইলে টেক্সট লিখেও ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলাপচারিতা চালানো, বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করা, নোট নেওয়া, টাইমার সেট করা, রিমাইন্ডার তৈরি করা, স্মার্ট হোম ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করার মতো কাজ সহজ করেছে অ্যাসিস্ট্যান্ট। তবে সময়ের সঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্টের সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। অ্যাসিস্ট্যান্টে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তেমন উন্নত নয়।
অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ, এটি মাঝেমধ্যেই ভুল তথ্য দেয় এবং অনেক সময়ই ঠিকভাবে কাজ করে না।

 

কেন বাদ যাচ্ছে অ্যাসিস্ট্যান্ট

গুগল এখন জেনেরেটিভ এআই তৈরির দিকে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। শক্তিশালী মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে জেমিনি খুবই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলাপচারিতা চালাতে পারে। পাশাপাশি জেমিনি কাজ করছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার। অ্যাসিস্ট্যান্টের তুলনায় জেমিনিকে আরো ফিচারসমৃদ্ধ সহায়তাকারী করার কাজ চলছে।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল মূলত ভয়েস কমান্ডভিত্তিক, জেমিনি এর পাশাপাশি সাবলীল ভাষায় লেখা টেক্সট এবং চিত্রও বিশ্লেষণ করতে পারে। জেমিনি এর এআই মডেলটি একসঙ্গে অনেক তথ্য প্রসেস করতে পারে। ফলে অ্যাসিস্ট্যান্টের তুলনায় জটিল সব প্রশ্নের উত্তর দিতে এটি প্রস্তুত। কথার বিষয়বস্তু বা কনটেক্সট ধরে রেখে দীর্ঘ সময় কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে জেমিনি। তবে এখনো কিছু ফিচার; যেমনটাইমার সেট করা বা স্মার্ট হোম নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিখুঁতভাবে করতে পারে না জেমিনি। 

 

ব্যবহারকারীরা কবে পাবেন জেমিনি?

যাঁরা নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন কিনছেন, তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্টের পরিবর্তে সরাসরি জেমিনি পাবেন। পুরনো ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল একটি আপডেটের মাধ্যমে তাঁদের ফোনে অ্যাসিস্ট্যান্ট সরিয়ে এর বদলে জেমিনি চালু করবে। গুগলের অ্যানড্রয়েড অটো চালিত গাড়ি, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন, স্মার্ট স্পিকার ও টিভির জন্যও প্রকাশ করা হবে এই আপডেট। তবে সব ডিভাইসই এর আওতায় আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। গুগল বলছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে। পাশাপাশি চলমান থাকবে জেমিনির বিভিন্ন ফিচারে উন্নয়ন, নতুন ফিচার সংযোজন এবং পুরনো ডিভাইসগুলোর জন্য সমাধানের বিষয়ে তথ্য জানানো।

 

ব্যবহারকারীরা কী বলছেন

জেমিনি চালুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু ব্যবহারকারী এআইয়ের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছেন আবার অনেকে বেসিক ফিচার অনুপস্থিত থাকার কারণে হতাশ। অনেকে অভিযোগ করেছেন যে জেমিনি এখনো ঠিকমতো ভয়েস কমান্ড বুঝতে পারে না। সামগ্রিকভাবে গুগলের এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিজগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। ব্যবহারকারীদের আরো ভালাভাবে সাহায্য করতে পারে কি না, সেটিই আসল পরীক্ষা।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ