<p>সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য নগরীর সোনাডাঙা মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান। </p> <p>মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডুমুরিয়ার রুদঘরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ (৪৮) শাহপুর গ্রমের গাজী আব্দুল হক (৫০), বরুণা গ্রামের আল আমিন গাজী (৩৫), শাহপুর গ্রামের আক্তারুল আলম সুমন (৩৬), ইমরান হোসাইন (২৮), হেদায়েত মোড়ল, রবিউল ইসলাম, স্বাধীন গাজী, সোহেল মোল্যা (৩৫), পিয়াস (২৫), শিউলী বেগম (৩৫), সবুরননেছা (৪৫), আনোয়ার পারভেজ শাওনসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন।<br />  <br /> মামলার বাদী জানান, গাজী এজাজ আহম্মেদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি রাতে তিনি ফের ধর্ষণের শিকার হন। ওই দিন আসামি এজাজকে তিনি বিয়ের কথা বললে এজাজ ক্ষিপ্ত হন। তাকে এজাজের ব্যক্তিগত অফিস থেকে বের করে দেন। এরপরে ওই নারী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।<br />  <br /> আদালতে বাদী অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে তার (নারী) চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র প্রদানে বাধ্য করেন। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। আসামিরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবার মামলা করেন।<br />  <br /> বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার ভূক্তভোগী ওই নারী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরেরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে তাকে প্রকাশ্যে ফিল্মস্টাইলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি নারীকে ধর্ষণ করা হয় এবং তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। বর্তমানে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়ায় ওই নারী আমাদের কাছে আসেন। এখন তিনি ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হয়েছে এবং সত্য কথা বলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তার বক্তব্য শুনে আমরা নারী ও শিশু আইনে অপহরণ করা ও সহযোগিতা করার জন্য আদালতে মামলার আবেদন করি।’</p>