ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

গুমবিরোধী আইন প্রণয়নে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই : আইন উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুমবিরোধী আইন প্রণয়নে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই : আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও গুমের বিরুদ্ধে আইন করায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের চেয়ে গুম খারাপ অপরাধ। 

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিসএপিরেন্স (এএফএডি)-এর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। দুই দিনব্যাপী অষ্টম কংগ্রেসের উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে আছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্টের শেকড় এতটাই গভীরে চলে গেছে যে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই এত সহজ নয়। গত ১৫ বছরে তারা জড়ো হয়েছে আর এদিকে আমরা কয়েক সপ্তাহ এই প্রক্রিয়ার বিপরীতে কাজ করছি।

একই অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘বর্তমান সরকার গুম হওয়া মানুষের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’

অন্য বক্তা অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে গুমের মতো অপরাধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়নের অনুরোধ করছি।

যাতে এ ধরনের অপরাধ কেউ না করতে পারে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত নেত্রী আফরিন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত নেত্রী আফরিন কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সহায়তায় গঠন করা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত নেত্রী দিল শাদ আফরিন পিংকিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে বলেন, আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ। মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানে না। তাকে হয়রানি করার জন্য আটক করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের যে কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার জামিনের প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

প্রতারণা করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল অফিসার ফাতেমা আফরিন পায়েল রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।

এ মামলার পর রাতে রমনা থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে বুলবুল সিকদার, রকিবুল সিকদার জুলাই বিপ্লবে আহত হিসেবে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন। তাদের কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় জুলাই ফাউন্ডেশনে তথ্য প্রদানের জন্য আসতে বলা হয়। ২১ মার্চ তারা ফাউন্ডেশনে উপস্থিত হলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত না হওয়া সত্ত্বেও দিল শাদ আফরিন ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র সত্যায়ন করার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে গুরুতর আহতদের তালিকায় রকিবুলের নাম তালিকাভুক্ত করতে ৫০ হাজার এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জনা আরো ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।

জুলাই বিপ্লবে শহীদ আহসান কবির শরিফের স্ত্রী হাদিসা আক্তার হ্যাপিকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আড়াই লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। এছাড়া আরো কয়েক জনের কাছ থেকেও টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনার পর গত ৮ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে দিল শাদ আফরিন পিংকিকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

মন্তব্য

যে আইনে মডেল মেঘনা আলম কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে আইনে মডেল মেঘনা আলম কারাগারে

মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটনোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। 

আজ শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

এ নিয়ে মেঘলা আলমের আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মেঘনা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। এমন অভিযোগ পেয়ে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।

মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

বলেন, তার (মেঘনা আলম) আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত এ আদেশ দেন। 

জানা গেছে, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন।

আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটকাদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করা।

ক্ষতিকর আরো কাজ হচ্ছে, জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার এ আয়োজন করা হয়।
 
 

মন্তব্য

‘ক্রিম আপা’ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘ক্রিম আপা’ কারাগারে
শারমিন শিলা। ফাইল ছবি : সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক টানতে সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিনাত জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন শারমিন শিলাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক কারাগারে আটক আবেদন করেন।

তবে শুনানিতে শারমিন শিলার পক্ষে একাধিক আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন গ্রহণ না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, বুধবার আশুলিয়া থানায় শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শারমিন শিলা একজন বিউটিশিয়ান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ক্রিম আপা’ নামে পরিচিত। তিনি মূলত মেকআপের জন্য কাজ করেন এবং বিভিন্ন রকম ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন। তার পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তিনি ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট দেন। গত ৩ মার্চ বিকেল ৪টায় তার ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন তার মেয়েকে জোর করে মুখে খাবার দিচ্ছেন। মেয়েটি খেতে না চাইলে এক হাতে মুখে চাপ দিয়ে অন্য হাতে কেক জাতীয় খাবার মুখে ঢোকাচ্ছেন তিনি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, শারমিন শিলা মাতৃসুলভ আচরণ না করে সন্তানদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করছেন, যা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন আচরণ শিশু আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ গত ৬ এপ্রিল ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে শারমিনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। পরে জেলা প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। আলোচনার মুখে পড়ে শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান এবং জানান, ভবিষ্যতে এমন ভিডিও আর করবেন না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ক্ষমা চাইলেও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

সেনবাগ উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সেনবাগ উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক কারাগারে
প্রতীকী ছবি

ভূমি প্রতিকার ও প্রতিরোধ আইনের মামলায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, এ মামলায় মানিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার শেখ মো. বাবুল হোসেন তার নামে থাকা সাড়ে ছয় কাঠা জমি জাহাঙ্গীর আলম মানিকের কাছে বিক্রি করেন।

তবে মানিক এই জমির পাশাপাশি আরো তিন কাঠা জমি দখলে নেন। এই জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে মানিক তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনার পর গত ১২ মার্চ ঢাকার আদালতে মানিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল হোসেন। ওইদিন আদালত এ মামলাটি গ্রহণ করে ৯ এপ্রিল আসামিদের হাজিরে সমন দেওয়া হয়।
তবে সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ