চূড়ান্ত পর্যায়ে গণহত্যার ৪ মামলা, তদন্তে আরো ৩৫টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চূড়ান্ত পর্যায়ে গণহত্যার ৪ মামলা, তদন্তে আরো ৩৫টি

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর ৩৯টি অভিযোগে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ, মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের হালনাগাদ তথ্যের এক প্রতিবেদন তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ২২টি মিসকেইস (বিবিধ মামলা) করা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্ত ১৪১ জন। প্রসিকিউশনের আবেদনে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৪ জনকে।

বাকি ৮৭ জন পলাতক। 

অভিযুক্ত ১৪১ জনের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তি আছেন ৭০ জন, পুলিশ সদস্য রয়েছেন ৬২ জন এবং সামরিক বাহিনীর ৯ জন সদস্য রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

এই সরকারে আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে আসিফ নজরুল ঘোষণা দেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হবে। সে ঘোষণা অনুযায়ী প্রথমে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠনের পর ১৪ অক্টোবর রাতে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করার পর ১৭ অক্টোবর প্রথম বিচারকাজে বসেন পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক কাজের প্রথম দিনই শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে বিভিন্ন সময় ৯৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

চার মামলার তদন্ত প্রায় শেষ

তদন্তকাজের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলাসহ মোট চারটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ বা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। এই চার মামলার অন্য তিনটি হচ্ছে- সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা, রাজধানীর চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা এবং রাজধানীর রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তির ওপর গুলির ঘটনায় হওয়া মামলা। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এতে আরো বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এক হাজার জনের বেশি ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ভিডিওসহ ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে এক হাজারের বেশি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। এছাড়া গুমবিষয়ক তদন্ত কার্যক্রমে ঢাকা শহরের তিনটি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলায় গুমের তিনটি কেন্দ্র (আয়নাঘর, হাসপাতাল, এলআইসি ইত্যাদি বিভিন্ন কোনডেমে পরিচিত) পরিদর্শন ও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা, সিলেট, রংপুরসহ ১৫টি জেলায় তদন্ত কাজ চালানো হয়েছে। তদন্তকাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা পর্যায়ে চারটি গণশুনানি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ ব্যক্তিরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। থানা, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দলিলপত্র পুড়িয়ে বা লুকিয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পলাতক সুবিধাভোগীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

বোমা হামলা-ষড়যন্ত্র

গুমের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে আয়নাঘর নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালা বা নির্যাতন কক্ষে টাইমারসহ বোমা উদ্ধারের কথা চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের আগেই জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং প্রসিকিউশন টিমের ওপর সরাসরি প্রাণঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা হয়েছে। প্রসিকিউটরদের সম্পর্কে গুজব ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে জনমনে বিশেষ করে শহীদ পরিবারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত ও বিচারকাজ বাঁধাগ্রস্ত করতে বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনতে বিপুল টাকা ব্যায়ে ব্রিটেনের বিখ্যাত ‘ডটি স্ট্রিট চেম্বার’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

মতবিনিময়সভায় প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাইমুম রেজা, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুদকের মামলায় নুরুল আমিনের ৮ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুদকের মামলায় নুরুল আমিনের ৮ বছরের কারাদণ্ড
এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক নুরুল আমিন

দুদকের করা মামলায় এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক নুরুল আমিনকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত এ রায় দেন। 

রায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৫ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
আ. লীগকে নিষিদ্ধ করাই সর্বপ্রথম সংস্কার : ববি হাজ্জাজ

আ. লীগকে নিষিদ্ধ করাই সর্বপ্রথম সংস্কার : ববি হাজ্জাজ

 

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। এজন্য তাকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে। রায় শেষে নুরুল আমিনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, দুদক নুরুল আমিনকে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায়। নুরুল আমিন ২০১০ সালের ২২ আগস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করে। হিসাব বিবরণীতে মোট ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ টাকার সম্পদ দাখিল করা হয়। যার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ টাকার স্থাবর এবং ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ।

পরে দুদক পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, নুরুল আমিন দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ করেন। সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করে দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দখল করেন আবদুল আজিজ। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে 

আরো পড়ুন
কুয়েটে বহিষ্কারাদেশ থেকে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতির দাবি শিবিরের

কুয়েটে বহিষ্কারাদেশ থেকে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতির দাবি শিবিরের

 

বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মন্তব্য

‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’ স্লোগানে মুখর আদালতপাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’ স্লোগানে মুখর আদালতপাড়া
ছবি : কালের কণ্ঠ

‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’সহ নানা স্লোগানে মুখর ঢাকার আদালতপাড়া। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল করেছেন। মিছিলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্ব শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন
ছাত্রলীগ কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

ছাত্রলীগকর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

 

এদিন দুপুর ১টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে মিছিল বের করে।

এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, সদস্যসচিব নিহার হোসেন ফারুক, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান, বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আবদুর রশিদ মোল্লা ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন
পহেলা বৈশাখে পুলিশের কাজ নিয়ে যা বললেন প্রেসসচিব

পহেলা বৈশাখে পুলিশের কাজ নিয়ে যা বললেন প্রেসসচিব

 

এ বিষয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট যাতে ফিরে আসতে না পারে সে জন্য আমরা আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেছি। জনগণ চায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফিরে আসুক।

আমরাও তার অপেক্ষায় রয়েছি। এ দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হাল ধরবেন তিনি।

মন্তব্য
হেফাজতের ওপর সহিংসতা

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
মেঘনা গ্রুপের প্রধান মোস্তফা কামাল

রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো গণহত্যার পক্ষে প্রচারণায় সহায়তার অভিযোগে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। অপর আসামি হলেন, ৭১ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মোস্তফা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মুশফিকুর রহমান এ অভিযোগ দাখিল করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সংগৃহীত ছবি

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগ পত্র আমলে গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদকের করা ৬ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আরো পড়ুন
বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সদস্য শফি উল হক, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা, পূরবী গোলদার, আনিছুর রহমান, নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন, নায়েব আলী খুরশীদ আলম, শরীফ আহমেদ, শহীদ উল্লা, ওয়াছি উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম দুই মামলায় রয়েছে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এস.এম রাশেদুল হাসান বাদী হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান ও শেখ হাসিনাকে সহযোগী আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় আরো ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।  

আরো পড়ুন
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

 

গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপ পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা নিজের মালিকানায় ও তার ছেলে, মেয়ে, বোন এবং বোনের দুই ছেলে-মেয়ের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরেও সেই তথ্য গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

এতে বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কর্মচারীদের প্রভাবিত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ