<p>পৃথিবীতে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি কী? জ্ঞান, প্রজ্ঞা, অর্থ-সম্পদ নাকি শক্তিমত্তা? আদৌ কি এ বিষয়গুলোতেই মানুষের প্রকৃত সফলতা নিহিত আছে? না, পৃথিবীতে চলতে গেলে এ বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহকে সঠিকভাবে চিনতে হলে জ্ঞান প্রজ্ঞার প্রয়োজন।</p> <p>পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন পার করার জন্য, আল্লাহর আর্থিক ইবাদতগুলো করার জন্য প্রয়োজনমতো অর্থ-সম্পদও প্রয়োজন। আল্লাহর ইবাদত ও জীবিকা উপার্জনের জন্য শক্তি-সামর্থ্যেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু শুধু এগুলো দিয়েই একজন মানুষ পরিপূর্ণ সফল হতে পারে না, প্রকৃত মর্যাদাবান হতে পারে না।</p> <p>প্রকৃত সফলতা ও মর্যাদা কিসে আছে, তা পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ, আমি তোমাদের এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)</p> <p>পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাকওয়ার বহু উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। যেমন—ইরশাদ হয়েছে, ‘যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহগুলো মাফ করে দেন এবং তাকে মহাপ্রতিদান দান করেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৫)।</p> <p>‘যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৪)।</p> <p>‘নিশ্চয়ই মুত্তাকিদের জন্য আছে সফলতা।’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৩১)।</p> <p>‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকিরা।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)</p> <p>তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত তাকওয়া অবলম্বনে অধিক গুরুত্ব দেওয়া। তাহলে মহান আল্লাহ ইহকালীন ও পরকালীন মর্যাদায় ভূষিত করবেন।</p>