বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে, অন্যায়-জুলুম-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতা লোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
বুধবার বিকেলে বসুরহাট ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা মাঠে নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির (দক্ষিণ) শাখার আয়োজনে কম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। আবারো দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদাভীরু নির্ভিক তাকওয়ার গুনাবলী সম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহীদ হতে প্রস্তুত।
আরো পড়ুন
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান
শিবির সভাপতি বলেন, যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপসন অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চাইতেও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে।
ইতিহাস এটাই বলে, এটাই সত্য।
নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভার আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদরাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমূখ।
সমাবেশের আগে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নেন শিবির সভাপতি।