<p>কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাত থেকে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। ফলে সারা দেশে যান চলাচল কমে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। কারফিউয়ের মধ্যে দুই দিন ডিপোর কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কারফিউয়ের মধ্যেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তায় বিমানবন্দরগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।</p> <p>বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের কারফিউয়ের কারণে জ্বালানি তেলের বিক্রি ৮৯.৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। সবচেয়ে বেশি ৯৮ শতাংশ বিক্রি কমেছে ডিজেল। এ ছাড়া পেট্রল বিক্রি ৮২ শতাংশ ও অকটেন বিক্রি কমেছে ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বাড়তে শুরু হয়।</p> <p>গতকাল বুধবার থেকে অফিস-আদালত পুনরায় চালু হওয়ায় জ্বালানি তেল বিক্রি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।<br /> দেশে জ্বালানি তেল আমদানি ও বিপণন করার একমাত্র ক্ষমতা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসির। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কারফিউ জারির কারণে যানবাহন চলাচল না থাকায় জ্বালানি তেলের বিক্রি কমে গিয়েছিল। গত রবি ও সোমবার দুই দিন ডিপো বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে সব ডিপোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বেড়েছে জ্বালানি তেলের বিক্রিও।’</p> <p>বিপিসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘বিমান চলাচল স্বাভাবিক থাকায় জেট ফুয়েলের চাহিদা ছিল। বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কারফিউয়ের মধ্যেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তায় আমরা বিমানবন্দরগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে জেট ফুয়েল সরবরাহ করেছি। এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আমাদের ব্যাপক সহায়তা করেছে।’</p> <p>বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই ডিজেল ব্যবহার হয়। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলে। ডিজেল সাধারণত কৃষি সেচে, পরিবহন ও জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়।</p>