<p>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে কালো কাপড় সরিয়ে দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কালো কাপড় খুলে ফেলেন তারা।</p> <p>এর আগে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার অভিযোগ তুলে রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।</p> <p>এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ওপর যে অভিযোগ দিয়ে রাজু ভাস্কর্যকে ঢেকে দিয়েছিল তা আমরা আজকে অবমুক্ত করেছি।’</p> <p>ক্যাম্পাসে তাদের ওপর হামলার বিষয়ে দলীয় পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আর বাড়তে চাচ্ছি না। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনীতি করার জন্য আমাদের যেটুকু জায়গা প্রয়োজন আমরা সেটি নিয়েই থাকতে চাচ্ছি। তবে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত যে ছাত্র ইউনিয়নকে ক্ষমা চাইতে হবে এরকম দাবি করেছে সেটি আমরা কখনোই করব না।’ </p> <p>গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের উদ্যোগে জোটভুক্ত সংগঠনগুলো পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চারজনকে হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল করে। মিছিল শেষে সমাবেশ করতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এলে মিছিল থেকে নেতাকর্মীদের একটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত মেট্রোরেলের প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করে। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন ছাত্র ইউনিয়ন। এরপরই সেদিন রাতে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ডেকে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। </p> <p>এ ঘটনার জের ধরে গত ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে টিএসসি ও শাহবাগ এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদসহ চারজনকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে মেঘমল্লার বসু বেশি আহত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেঘমল্লার বসুর চোখে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে ঢাকা, গলায় হাত ঝুলানো এবং স্লোগান দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পরে।</p> <p>মেঘমল্লার বসুকে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন আগে চেয়ে ভালো আছে। চোখে অনেকগুলো ঘুষি লাগার কারণে ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়েছিল। সেজন্য চোখে দেখতে পারছিলাম না। এখন মোটামুটি দেখতে পাচ্ছি, তবে ঝাপসা৷ রবিবার আবার ডাক্তারের কাছে যাবো৷ তখন জানা যাবে ঔষধ দিয়ে চোখের পরিস্থিতি ভালো হবে না আরো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’</p>