<p>পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ২০২৩-২৪ সেশনের জিএসটি গুচ্ছভুক্ত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।</p> <p>র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, ‘র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। ক্যাম্পাস হবে নতুন শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য নিরাপদ। কোনো অঘটন ঘটলে দায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনার বিচার নিশ্চিতের দায়িত্ব প্রশাসনের। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।’</p> <p>ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘র‌্যাগিং নামক যে কালচার চালু আছে তা আমরা আর চাই না। ১৫ বছর ধরে নবাগত শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক নির্যাতনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আমি বিশ্বাস করি, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত হন তারা অবশ্যই মেধাবী এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ববোধ করেন। কিন্তু র‌্যাগিং কালচার তাদের বিপর্যস্ত করে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপাচার্যের নির্দেশনায় র‌্যাগিং নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।’</p> <p>নবাগত শিক্ষার্থীদের নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই, র‌্যাগিংকে না বলুন।’</p> <p>পবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং নামক কালচারের ফলে বুয়েটের মতো জায়গায় আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছেন। আমরা চাই না, বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা প্রতিষ্ঠানে এই র‌্যাগিং নামক কালচারের পুনরাবৃত্তি ঘটুক। পবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করছি।’</p>