<p>শীতকালে উষ্ণতার জন্য শাল অত্যন্ত প্রিয় এক পোশাক। তবে বাজারে আসল ও নকল শালের ভিড়ে খাঁটি শাল চেনা বেশ কঠিন হতে পারে। খাঁটি শাল কেনার জন্য দরকার কিছু সহজ এবং কার্যকর কৌশল জানা। আসুন, শাল আসল না নকল, তা চেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ ও কৌশল সম্পর্কে জানি।</p> <p><strong>সুতায় খেয়াল রাখুন : </strong>আসল পশমিনা বা উল শালের সুতা খুব মোলায়েম ও পাতলা হয়। নকল শালগুলো তুলনামূলক বেশি মোটা এবং কম মোলায়েম হয়। আপনার আঙুলের ডগায় মোলায়েম ভাব অনুভব করলে সেটি আসল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।</p> <p><strong>ওজন পরীক্ষা করুন : </strong>আসল শাল খুব হালকা হবে এবং গায়ে জড়ালে আরামদায়ক উষ্ণতা দেবে। নকল শাল তুলনামূলক ভারী হয় এবং উষ্ণতা দিতে পারে না। আসল শালের ওজন কম থাকে কারণ এটি উচ্চ মানের পশম থেকে তৈরি।</p> <p><strong>দামের তারতম্য : </strong>পশমিনা বা খাঁটি কাশ্মীরি শালের দাম অনেক বেশি। খুব কম দামে কেউ পশমিনা বা কাশ্মীরি শাল দিলে তা নকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঠিক দাম যাচাই করে নিন এবং বাজারের দাম সম্পর্কে ধারণা রাখুন।</p> <p><strong>পোড়ানো পরীক্ষা : </strong>অল্প পরিমাণ শালের সুতা কেটে তা পোড়ালে যদি মাংস পোড়ার মতো গন্ধ বের হয়, তবে সেটি আসল শাল। কিন্তু প্লাস্টিক বা রাসায়নিক গন্ধ বের হলে তা নকল শাল বলে ধরে নিতে পারেন।</p> <p><strong>আলোর নিচে পরীক্ষা :</strong> আসল পশমিনা বা খাঁটি উল শাল স্বচ্ছ হয় এবং আলোর নিচে ধরলে সামান্য আলোর প্রতিফলন দেখা যায়। তবে নকল শালগুলো খুব ঘন ও অপরিবর্তিত থাকবে।</p> <p><strong>হস্তশিল্প বা নকশা দেখুন :</strong> আসল কাশ্মীরি শালে নকশা ম্যানুয়ালি হাতে করা হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং সূক্ষ্ম কাজ। যদি শালের নকশা খুব সরল, সমান বা মেশিনের মতো নিখুঁত দেখায়, তবে তা নকল শাল হতে পারে।</p> <p><strong>তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা : </strong>আসল শাল ঠাণ্ডায় দারুণ উষ্ণতা দেয়। এটি আপনাকে গরম রাখবে, বিশেষ করে কাশ্মীরি পশম থেকে তৈরি শালগুলো।</p> <p><strong>কিছু সতর্কতা : </strong>সাধারণত বাজারে নকল শাল বেশি থাকে, তাই পরিচিত বা বিশ্বস্ত দোকান থেকে কেনাকাটা করুন। খাঁটি শালের সার্টিফিকেট বা কোনো নিশ্চয়তা থাকলে তা সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।</p> <p>এগুলো অনুসরণ করলে সহজেই আপনি আসল ও নকল শালের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।</p>