'আমরা যদি মনে করি জামাত মরে গেছে বিএনপি মরে গেছে জেএসএস মরে গেছে শুধু আওয়ামী লীগ টিকে আছে, তাহলে আমরা ভুল করছি। ওরা লুকিয়ে আছে। যেহেতু তারা সংকটের মধ্যে আছে তাই তারা আশ্রয় নিয়েছে আওয়ামী লীগের ছায়ায়। এই আশ্রয় প্রার্থীরাই নানা ধরণের ষড়যন্ত্র ও অপকর্মে জড়িত হচ্ছে।
লংগদু আওয়মী লীগের সম্মেলনে দীপংকর তালুকদার
আওয়ামী লীগের ছায়ায় লুকিয়ে আছে জামায়াত-বিএনপি
লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আজ মঙ্গলবার লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ দীপংকর তালুকদার।
এদিন সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি চিং কিউ রোয়াজা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোতির্ময় চাকমা কেরল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল মাওলা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজা বেগম চিনু, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল প্রমুখ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাশের পরিচালনায় জেলা নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম, যুগ্ম সধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লংগদু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদসহ অন্যান্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে তুষার আহমদ চৌধুরী (১৯) নামে এক তরুণের ছুরিকাহত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শাহী ঈদগাহ এলাকায় মেলার মাঠের পাশের রাস্তা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তুষার নগরের রায়নগর এলাকার বাসিন্দা। তার বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
জানা গেছে, নগরের শাহী ঈদগাহের দলদলি চা বাগান এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে তুষার নিহত হন। তুষারের গায়ে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে তুষার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আহমেদ জাবেদ নামে এক তরুণকে নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার একটি বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক করেছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’

হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে মারধরের পর স্বজনদেরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নবজাতকের পরিবার।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আশুলিয়ার বাইশমাইল এলাকায় অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে নবজাতকের মা সোনিয়া আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আল আমিন অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে তার স্ত্রীকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বার বার আগের ক্লিনিকের রিপোর্টের কথা বলা হলেও তা পাত্তা না দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান আগের রিপোর্ট ভালো ছিল না। তারা জানান নরমাল ডেলিভারি হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বাহিরে অপেক্ষা করছিলাম।
মৃতের চাচা শাকিল খান অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল ও ডাক্তারের যথেষ্ট অবহেলা ছিল। তারা রোগী ভর্তির পর পর অপারেশন করতে পারতো। কিন্তু তা না করে সময় নষ্ট করে নবজাতককে মেরে ফেলেছে। আমরা রিপোর্ট দেখতে চাইলে উল্টো গায়ে হাত তুলে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত থাকা ডাক্তার ফারজানা বেগমের দাবি তাদের চিকিৎসায় কোন ভুল ছিল না। তারা সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। কিন্ত নবজাতক পেটের ভিতর মল ত্যাগ খাওয়াতে এই সমস্যা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সোহাগ রানা বলেন, এখানে অপারেশন করেছে আমাদের প্রফেসর ডাক্তার বেগম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন রোগীর অবস্থার কথা। তবে সব কিছুই জানতো তার স্বামী। অপারেশনের সময়ও তাকে বিস্তারিত জানানো হয়। এ ছাড়া তাদের কাউকে কোনো আঘাত করা হয়নি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত শেষে সঠিক কারণ জানা যাবে।

আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে দম্পতির লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারগামী ট্রেন প্রবাল এক্সপ্রেসে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে এক দম্পতি তাদের এক ছেলেশিশুসহ লাফ দেন। এ ঘটনায় মো. হামদান নামের ৮ মাস বয়সী ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুর মা-বাবা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রশিদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সাতকানিয়া স্টেশন ছাড়ার পর লোহাগাড়ার রশিদারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিনের পেছনের একটি বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই বগিটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কক্সবাজার জেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক (২৫) তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২০) এবং তাদের ৮ মাস বয়সী শিশুপুত্র হামদানকে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন।
তারা বাঁশখালীর গুণাগরী হাছিয়ারপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন এবং সাতকানিয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে কক্সবাজার ফিরছিলেন। নিহত নবজাতকের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ট্রেনে আগুন লেগেছে শুনে আতঙ্কিত হয়ে তারা লাফ দেন।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিমুল দত্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, লোহাগাড়ার সহকারী স্টেশন মাস্টার দিদার হোসেন জানিয়েছেন, ইঞ্জিনের পেছনের ‘ঢ-বগি’-তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫
অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় যুবককে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে তাদের নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ (২১), একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো. পারভেজ হোসেন (৩০), ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. ইউনুস হোসেন রাজু (২২)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সফি উল্যাহর ছেলে মো. তাফসীরুল ইসলাম রাফসানকে (১৯) সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। তাকে মাদকসহ আটক করেছেন বলে দাবি করেন তারা। এরপর ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ডিবি ও সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্য বলা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান। কিন্তু প্রশাসনের লোক তার সঙ্গে আছে ভেবে স্থান পরিবর্তন করতে থাকেন অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জেলার সমন্বয়ক ছিলেন। অন্যরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত নন। উপজেলায় আমাদের কোনো কমিটি নেই। তবে মামুন ষড়যন্ত্রের শিকার কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঞ্জুর আহমদ বলেন, ‘এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’