লক্ষ্মীপুরের কমলনগর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও ইটভাটা মালিক আরিফ হোসেনের বাসভবনের চলাচলের রাস্তায় দেওয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার করইতলার পূর্ব বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মালিকানা দাবি করে লোকজন নিয়ে মো. রায়হান এ ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এসময় দুই পক্ষকে রাতে থানায় ডাকা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে আরিফ স্থানীয় হারুনুর রশিদের কাছ থেকে সাড়ে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয়ের চুক্তি করে। এরমধ্যে ২৪ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করে নেন। কিন্তু আধা শতাংশ জমি জমাখারিজ জটিলতার কারণে রেজিস্ট্রি করতে পারেননি।
জমাখারিজ হলেই ওই জমি ক্রয় করবেন বলে জানান তিনি।
এরমধ্যে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে রায়হান দেওয়াল নির্মাণের জন্য ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী আনেন। এতে বাধা দিলে এবং কাগজপত্র নিয়ে বসার সিদ্ধান্তে তিনি চলে যায়। কিন্তু বসার আগেই তিনি শতাধিক লোক এনে জোরপূর্বক স্কুল ও আরিফের বাসার চলাচলের রাস্তায় মুখে দেওয়াল নির্মাণ করে দেয়।
এতে স্কুল ও বাসায় প্রবেশের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেট ভবনের সিঁড়ির কক্ষের দক্ষিণ পাশে অর্ধেক নির্মিত একটি দেওয়াল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২ বছর ধরে স্কুলের শিক্ষার্থী ও আরিফের পরিবার চলাচল করে আসছে। মার্কেটের পূর্বপাশের অংশও আরিফের মালিকানায় রয়েছে।
আরিফ হোসেন বলেন, আধা শতক জমি আমি কেনার জন্য টাকা রেখেছি। কিন্তু জমাখারিজ না থাকায় জমিটি কিনতে পারছি না। ২ বছর ধরে আমিসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা চলাচলে রাস্তাটি ব্যবহার করছি। এখন রায়হান জোরপূর্বক দেওয়াল নির্মাণ করে পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
কমলনগর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুরাদ রহমান বলেন, আমার স্কুলে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১০০ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালেও স্কুলে পাঠদান হয়েছে। স্কুল শেষ হলে কে বা কারা পথে দেওয়াল তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুযোগ নেই।
মো. রায়হান বলেন, দোকানের ভিটা (জমি) আমার মায়ের। ওয়ারিশি জমির বন্টননামাও রয়েছে। আরিফ এ ভিটা কিনবে বলে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু আরিফ না কিনে টালবাহানা দেখাচ্ছে। জমাখারিজ করার পরও সে এখন জমি কেনা নিয়ে কোনো কথা বলছে না। এজন্য আমি দোকান করতে পেছনের দেওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।
এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দেওয়ালটি ভাঙার সুযোগ নেই। যেহেতু সেখানে স্কুল রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। এ নিয়ে উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে।