<p>সুনামগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে নানা অনিয়মের অভিযোগে তদারকি চালিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। অধিদপ্তরের ইলেকট্রিকেল অ্যান্ড অটোমোবাইল প্রশিক্ষক রেজাউল করিম রানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে তদারকি চালান শিক্ষার্থীরা। পরে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।</p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল বারী এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে এসেছি।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জেনেছি, একজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা লাইসেন্স বাবদ নেওয়া হচ্ছে। আমরা জানি, লাইসেন্স বাবদ সরকারের পক্ষ থেকে এই টাকা দেওয়া হয়। অথচ, লাইসেন্সের নাম করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নতুন শিক্ষার্থীরা এসে সরাসরি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষ্যতে যেন, এই অফিসে কোনো ধরনের অনিয়ম এবং ঘুষ বানিজ্য না হয় সেজন্য কর্মকর্তাদের বলেছি।’</p> <p>যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষনার্থী আল আমিন বলেন, ‘আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে ভর্তি হই জুলাই মাসে। ভর্তি হওয়ার পর প্রশিক্ষণ শেষে যখন ভাইবা দেই তখন যে প্রশ্নগুলো করেছে, সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। এরপর আমাকে রানা স্যার বললেন, তুমি এক হাজার ৬৫০ টাকা দিতে পারবা? আমি তখন সাহস নিয়ে কিছু বলতে পারিনি। আমি ভাবলাম, হয়তো কোর্স ফি বা অন্য কিছুর জন্য এই টাকা দিতে হবে। আমরা যারা ভর্তি হয়েছিলাম, সবাই ১৬৫০ টাকা করে দিয়েছি। এরপরে আমরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলাম, প্রশিক্ষনার্থী আবাসিক হলে দৈনিক ৩০০ টাকা এবং অনাবাসিক ২০০ টাকা করে পায়। কিন্তু, আমাদেরকে রানা স্যার বলেন, ১৫০ টাকা। এ ছাড়া নিয়মিত ক্লাস হয় না, স্যারদের অনেকেই অনুপস্থিত থাকেন।’</p> <p>যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অটোমোবাইল প্রশিক্ষক রেজাউল করিম রানা বলেন, ‘অনিয়ম এবং ঘুষ বানিজ্যের সঙ্গে আমরা জড়িত নই কোনো টাকা আমি নেইনি, বিআরটিএ অফিসে টাকা দেওয়া হয়েছে।’ </p>