<p>চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাদরাসাছাত্রের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে পটিয়া পৌর সদর এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার (৩৯) কে গ্রেপ্তার করে পটিয়া থানা পুলিশ।</p> <p>গ্রেপ্তার নুরুল আবছার উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকার আবদুস সবুরের ছেলে। তিনি পটিয়ার বিতর্কিত সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ।</p> <p>এ ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাকে থানা থেকে ছাড়াতে উপজেলা বিএনপি নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হন। পরে শুক্রবার বিকেলে নুরুল আবছারকে গত ৪ আগস্ট পটিয়ায় ছাত্র-জনতা ও কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। </p> <p>এ বিষয়ে শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাইর আহমদ বলেন, যুবলীগ নেতা নুরুল আবছারকে থানা থেকে ছাড়াতে পটিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ থানায় দৌড়ঝাঁপ করেন। শেষ পর্যন্ত ওই বিএনপি নেতা সফল হতে পারেনি। সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর সঙ্গে গত ১৫ বছর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম, আবদুল মোনাফ, আহমদ হোসেন, হাফেজ আহমদ, শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নাছিমা আকতার, ইউনিয়ন যুবলীগের কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দিন রাজিব প্রকাশ কমপ্লিট, আবু তৈয়ব, মনজুর আলমসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারাও গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতা নুরুল আবছারকে ছাড়িয়ে নিতে বিএনপি নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।</p> <p>স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতা বাহাদুর ইসলাম খান বলেন, ‘সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর যুবলীগ নেতা আবছার গ্রেপ্তার হয়েছে শুনে এলাকার মানুষ খুশি হয়েছেন। তিনি গত ১৫ বছর হিলচিয়া হাতিয়ারঘোনা গ্রামের মানুষের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। বহু মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এমনকি আমাকে ও এলাকাবাসীকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলাসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।’ </p> <p>পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুর রহমান বলেন, ‘পটিয়া মাদরাসা ছাত্রের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ </p> <p>উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট রাতে পটিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. নুরুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয় পেনাল কোড ও গুলি এবং বিস্ফোরক ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।</p>