<p>রাজবাড়ীর পাংশায় বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ল্যাবের ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে কোনো প্রকার সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানান অভিযুক্ত শিক্ষক। এদিকে ল্যাপটপ চুরির বিষয়টি না জানার কথা বলছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।</p> <p>অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম উপজেলার সরিষা প্রেমটিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২  অর্থ বছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পে (২য় পর্যায়) ১৭টি ল্যাপটপ দিয়ে সরিষা প্রেমটিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব স্থাপন করা হয়। প্রায় এক বছর পূর্বে ১৭টি ল্যাপটপের মধ্য থেকে ২টি ল্যাপটপ চুরি হয়ে যায়। এতদিন বিষয়টি গোপন ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।</p> <p>বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, যখন আমাদের বিদ্যালয়ে ল্যাব স্থাপন হয় তখন আইসিটি শিক্ষক ছিল না। ল্যাবটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামের দায়িত্বে ছিল। গত চার মাস পূর্বে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার পর ল্যাবটি প্রধান শিক্ষক বুঝে নিতে গেলে দেখেন ২টি ল্যাপটপ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি মিটিং করেছি। তিনিই ল্যাপটপ ২টি নিয়েছেন বলে মিটিংয়ে উপনীত হয়েছে। তাকে ল্যাপটপ ২টি ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছানা উদ্দিন বলেন, ‘ল্যাপটপ চুরি হয়েছে প্রায় ১ বছর আগে। কে চুরি করেছে আমরা কেউ দেখিনি। তিনি দায়িত্বে ছিলেন। সবাই তাকেই দায়ী করছে। আমরা সবাই বসে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাকে এ ল্যাপটপ ফিরিয়ে দিতে হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে ২০ ল্যাপটপ চুরি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/24/1732448838-16d138cf10a6dca4687a86e7952723e5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে ২০ ল্যাপটপ চুরি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/24/1450126" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ল্যাপটপ কে চুরি করেছে আমি জানি না। আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার পর আমার কাছ থেকে লিখিত ভাবে ১৭টি ল্যাপটপ বুঝে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আমার ওপর মিথ্যা দোষ চাপিয়েছে এবং ল্যাপটপ ফিরিয়ে দিতে আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’</p> <p>এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আবু দারদা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’</p>