<p>ভাসানচরে থাকা ২৫ জন রোহিঙ্গা নাগরিক পালিয়ে কক্সবাজার কুতুপালং আশ্রয়ণে যাওয়া পথে আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত এলাকা আটক করে কোস্টগার্ডকে দিয়েছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পারকি সমুদ্র সৈকতের বিচ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।</p> <p>আটকরা তিন পরিবারের ২৩ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন শিশু-কিশোর ও আটজন মহিলা এবং পাঁচজন পুরুষ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।</p> <p>আলী জহুর (৩৯) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, '২০১৭ সালে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। বর্তমানে আমার পাঁচজন মেয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ওখানে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ঠিকই কিন্তু তার পরও ছেলে-মেয়েদের সব প্রয়োজন পূরণ হয় না। যার কারণে আমরা কক্সবাজার ক্যাম্পে চলে যাচ্ছি। আজ সকালে বোটে করে ভাসানচর থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসছি।'</p> <p>পারকি সমুদ্র সৈকতের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আনোয়ার জানান, সকাল ৭টার দিকে কিছু লোকজন বোট থেকে নেমে পারকির চরে উঠে। জামা কাপড় ভেজা দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করা হয়। এ সময় তারা স্বীকার করে যে ভাসানচর থেকে পালিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছে। তারপর রোহিঙ্গাদের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়।</p> <p>কোস্টগার্ড নর ম্যানস পয়েন্টের ইনচার্জ রাহেদুল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কর্মকতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ বলেন, তারা কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে আছে। কোস্ট তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।</p>