<p>নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বক্তব্য স্পষ্ট। তারা সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।</p> <p>অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বরের (২০২৫) আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।</p> <p>মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। এর সঙ্গে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করলে আরো ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে দেওয়া প্রতিক্রিয়া সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা যদি, কিন্তু ইত্যাদি যোগ করেন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব সরাসরি যেটা বললেন, সেটা যথাযথ না। কারণ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এত সময় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটুকু করেই দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।’</p> <p>নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে এই সরকার নানা ধরনের জটিলতায় পড়বে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ অনেক কাজই করতে পারেনি। এরপর নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে নতুন জটিলতা দেখা দেবে। এমনকি নির্বাচনও সংকটে পড়তে পারে। তাই দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে অবশ্যই ২০২৫ সালের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’</p>