<p style="text-align:justify">বাংলাদেশের শিশু অধিকার নিশ্চিতের জন্য পৃথক একটি অধিদপ্তরের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা ছয়টি শীর্ষস্থানীয় সংস্থা। ছয়টি শীর্ষস্থানীয় শিশুকেন্দ্রিক এসব আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা জয়েনিং ফোর্সেস বাংলাদেশ নামে পরিচিত।</p> <p style="text-align:justify">এডুকো বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, টেরে দেস হোমস ফেডারেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ প্রণীত ‘বাংলাদেশে শিশু অধিকার : আমরা যেখানে আছি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ প্রস্তাবটি দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হাইটসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে মোট ৪১.৬ শতাংশ মেয়েদের ১৮তম জন্মদিনের আগে বিয়ে হয়েছে এবং ৮.২ শতাংশের ১৫ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়েছে। শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবায় সমান অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার প্রধান বাধাগুলো হলো দারিদ্র্য এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পিতামাতার অপর্যাপ্ত আয়, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য উচ্চমূল্য, দুর্বল সমন্বয়, অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা, প্রাসঙ্গিক নীতি বাস্তবায়নের অভাব এবং কৌশল ও মানবসম্পদের অভাব, জবাবদিহিতা এবং পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর দৃঢ় মনিটরিং।</p> <p style="text-align:justify">পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রতিবেদনে আইন প্রণয়ন এবং বিভিন্ন আইন ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দসহ আইন, নীতি ও কৌশলগুলোর যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া শিশুদের বিভিন্ন সেবা প্রদানে নিয়োজিত কর্মীদের সক্ষমতা এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শিশু ও সমন্বয় উইং) তানিয়া খান। তিনি শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে বলেন, তার মন্ত্রণালয় শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এমন আইএনজিও এবং এনজিওগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।</p> <p style="text-align:justify">স্বাগত বক্তব্য দেন এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ড. মো. এনামুল হক। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণার টিম লিডার কামরুন্নেসা নাজলি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডুকো বাংলাদেশের হেড অব হিউম্যানিট্যারিয়ান রেসপন্স সুমি আক্তার শিউলি, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডিরেক্টটর চাইল্ড প্রটেকশন অ্যান্ড চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স আবদুল্লাহ আল মামুন, তেরে দেস হোমস নেদারল্যান্ডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স) চন্দন জেড গোমেস, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম।</p>