<p style="text-align:justify">ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন নুর (৫৯) সিলেটের আদালত এলাকায় মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আমির হোসেন নুর সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছাত্রদল নেতা সুহেল হত্যা মামলায় গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে নগরের মিরের ময়দান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯। রাতেই তাকে বালাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করার জন্য পুলিশ নিয়ে গেলে মারধরের ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে পুলিশ তাকে নিয়ে গেলে তার ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন কিল ঘুষি মারতে থাকেন। পুলিশ বাধা দেয়। মারধরে তার নাক ফেটে রক্ত বের হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">সিলেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আসামিকে আদালতে হাজির করার আগেই হামলা হয়। আগে থেকে কোনো নিরাপত্তা হুমকি থাকলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা যেত। কিন্তু সাধারণ আসামি হিসেবেই তাকে আদালতে নিয়ে আসার পর হামলা হয়। তখন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামি রক্ষায় চেষ্টা করেন।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি জানান, আহত অবস্থায় আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা যায় না। তাই দ্রুত তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আসামির ওপর হামলার ঘটনা আমি জেনেছি। আমাদের পুলিশ সেখানে উপস্থিত রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছি।’</p> <p style="text-align:justify">২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">পরে সুহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিআর মামলা দায়ের করেন।</p>