<p>টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাদপন্থীদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়েছে। আগামী রবিবার তা নিয়ে শুনানি হবে। </p> <p>শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মুয়াজ বিন নূরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে ভোররাতে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পুলিশ।</p> <p>গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আসামি মুয়াজ বিন নূরের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার তা নিয়ে শুনানি হবে।</p> <p>পুলিশ জানায়, তিন মুসল্লি নিহতের ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ২৯ জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে হত্যা মামলা হয়। এই মামলার ৫ নং আসামি মুয়াজ বিন নূরকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে জিএমপি। পরে আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।</p> <p>জানা যায়, আজ শুক্রবার টঙ্গী ইজতেমা মাঠের টিনশেড মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেছেন জুবায়েরপন্থী মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন। নামাজের পর ইজতেমা মাঠ ও টঙ্গীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন মুসল্লিরা। তা ছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইজতেমা মাঠ ও আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে।</p> <p>এদিকে হত্যা মামলা ও নূরের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে সাদপন্থীরা। তাদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ ও মাদরাসায় সাদন্থীদের ওপর আক্রমণ ও মারধর করা হচ্ছে। এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ইজতেমা করার দাবি জানান তারা।<br />  </p>