<p style="text-align:justify">গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">আহতদের মধ্যে গুরুতর ৬ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে শনিবার স্থানীয় বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয়রা জানান,  বিএনপির উদ্যোগে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় একটি ইসলামি জলসার আয়োজন করা হয়। সেখানে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয়। আগামী ২৯ ডিসেম্বর এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লড়তে হয় লড়ব, মরতে হয় মরব : আসিফ মাহমুদ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734805205-75f65f236a823e153c5ef76c9d45441e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লড়তে হয় লড়ব, মরতে হয় মরব : আসিফ মাহমুদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/22/1459975" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তবে জামায়াত সমর্থিত আব্দুল আজিজ একই এলাকায় ২৬ ডিসেম্বর আরেকটি ইসলামি জলসার আয়োজন করেন। ওই জলসাতেও নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হলেও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম উল্লেখ না করায়  দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।</p> <p style="text-align:justify">এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রথমে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলের দিকে সাঘাটা বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম এবং ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমানসহ ৬ জন আহত হন।</p> <p style="text-align:justify">অন্যদিকে জামায়াতের ৭ জন আহত হন। গুরুতর  আহতদের মধ্যে জামায়াতের আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ চারজনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এবং বিএনপির জাকিরুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ জানান, হঠাৎ করেই  প্রতিপক্ষ  লাঠিসোটা  নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। </p> <p style="text-align:justify">ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে জামায়াতের কোনো নেতার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাড়ির ছাদে ককটেল শুকোতে দিয়েছিলেন আ. লীগ কর্মী, বিস্ফোরণ; অতপর..." height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/21/1734803618-9e8a01bfb2c96c61eda1158eb7452e8d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাড়ির ছাদে ককটেল শুকোতে দিয়েছিলেন আ. লীগ কর্মী, বিস্ফোরণ; অতপর...</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/21/1459940" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম রাতে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায়  দু’পক্ষের লোকজনের আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। সংর্ঘষের সময় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।<br />  </p>