<p>দেশের একমাত্র সরকারি শিশু হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা ২৫টি হলেও প্রতিদিন রোগী থাকে ৮০ থেকে ৯০ জন। কিন্তু তাদের সেবা চলে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবল। অক্সিজেন ও ওষুধের সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল। এ অবস্থায় হাসপাতাল চত্বরে আবাদ করা কলা বিক্রির টাকা ও অনুদানে চলে সেবা। সেখান থেকেই দেওয়া হয় অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন।</p> <p>জানা গেছে, চিকিৎসকের ৫ পদের বিপরীতে ৩ জন এবং নার্সের ২১ পদের বিপরীতে ১৭ জন রয়েছেন। তবে ফার্মাসিস্ট, দুই মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, প্রধান সহকারী, অফিস সহকারী ও স্টোরকিপারের পদ খালি। এ ছাড়া অফিস সহায়ক, ওয়ার্ড বয়, আয়া, মালি, নিরাপত্তাপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কোনো পদ না থাকায় সেখানে অস্থায়ী নিয়োগকৃতদের বেতন হয় অনুদানের টাকায়। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ও তাদের বন্ধুর সহায়তায় শয্যা ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। ঝিনাইদহ পৌরসভা এবং স্থানীয় জাহেদি ফাউন্ডেশন নিয়মিত সহায়তা করে। এ ছাড়া ১৫ হৃদয়বান ব্যক্তি কিছু সহায়তা দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে ভেসে উঠল দুই পর্যটকের মরদেহ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/26/1735187446-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে ভেসে উঠল দুই পর্যটকের মরদেহ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/26/1461501" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানা যায়, ২০০৫ সালে জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকায় হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে রাজনৈতিক বেড়াজালে বন্ধ থাকার পর এটি ২০২১ সালে কার্যক্রম শুরু করে।</p> <p>হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি আশপাশের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করেছে। মানুষ এখন এখানকার সেবায় আস্থা রাখে।</p> <p>সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশ ফটক দিয়ে ভেতরে গেলেই চারপাশে ফুলের বাগান। সামনে লাল ইটের দোতলা ভবন। সেখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, শয্যাগুলোর গায়ে লেখা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেগুলো দান করেছে।</p> <p>শাহানাজ বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমার ১৬ মাসের শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এখানে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। এখানে এসে সন্তান এখন অনেকটা ভালো।’</p> <p>হাসপাতালের প্রধান কনস্যালটেন্ট হাসান ফরিদ জামিল বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের জন্য কৃত্রিম অক্সিজেনের প্রচুর প্রয়োজন হয়। এতে বছরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাগে। সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ জন্য হাসপাতালের নিজস্ব তিন বিঘার মতো জমিতে কলা চাষ করা হয়। কলা বিক্রি করে গত বছর ৮০ হাজার টাকার অক্সিজেন কেনা হয়েছে। এ বছরও একই কাজ করতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে রাতের নিরাপত্তার জন্য আলো ও অন্যান্য জিনিস কলা বিক্রির টাকায় কিনতে হয়। এ ছাড়া ওষুধ কেনা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয় অনুদানের টাকায়। জনবল ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখায় অনেকবার আবেদন জানানো হলেও কাজ হয়নি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গফরগাঁওয়ে ড্রাম ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/26/1735189918-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গফরগাঁওয়ে ড্রাম ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/26/1461509" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জেলা সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিশু হাসপাতালে সরকারিভাবে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়, তাতে প্রয়োজন পূরণ হয় না। জনবলের যে সংকট, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতি মাসে আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। বড় কোনো নিয়োগ না হলে হয়তো দ্রুত যসংকট সমাধান করা যাবে না। আগের সিভিল সার্জন চিঠি পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সৃজনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’</p>