<p>ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে নেমে ফাতেমা খাতুন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাসনিম হোসেন নামে আরেক এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। জীম খাতুন (১০) নামের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। </p> <p>স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ফাতেমা, তাসনিম ও জীম বাড়ির পাশের পুকুরে পাড়ে খেলা করছিল। এ সময় প্রথমে ফাতেমা পানিতে নেমে সাঁতার কাটা শুরু করে। এটা দেখে তাসনিমও পানিতে নামে। পানিতে নেমে ফাতেমা ও তাসনিম একজন আরেকজনের ধরাধরি করার সময় তারা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল। তাদের তলিয়ে যাওয়া দেখে জীম খাতুন তাদের উদ্ধার করতে যায়। এ সময় জীমও তলিয়ে যাচ্ছিল। এমন মুহূর্ত দেখে পাশে থাকা আরেক খেলার সাথী সাব্বির হোসেন চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে প্রতিবেশী রহমত আলী এসে জীম খাতুনকে উদ্ধার। পুকুরে পানির গভীরতা বেশি হওয়া তারা ডুবে যায়।</p> <p>কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে পানির গভীরতা বেশি থাকা বিকাল পর্যন্ত তারা নিখোঁজ তাসনিমকে উদ্ধার করতে পারেনি।</p> <p>ফাতেমা খাতুন বেথুলী মন্ডলপাড়া আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। ফাতেমা বেথুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।</p> <p>এ ছাড়া নিখোঁজ তাসনিম কালীগঞ্জ উপজেলা আলাইপুর গ্রামের দিন মজুর আব্দুল বারেকের মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় তাসনিম। তাসনিম বেথুলী গ্রামের নানা দুখু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। সে আলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।</p> <p>জীম খাতুন বেথুলী গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মোফাজেল হোসেনের মেয়ে। জীম বেথুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। </p> <p>কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, পুকুরে পানির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট। যে কারণে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চেষ্টা করেও নিখোঁজ তাসনিমকে উদ্ধার করতে পারিনি।</p>