<p style="text-align:justify">পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাঁদনী (২৫) নামের এক প্রেমিকা অনশনে বসেছেন। রবিবার দুপুর থেকে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুখালী গ্রামে হারুন শিকদারের ছেলে প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজনের (৩১) বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি। চাঁদনী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ফজলু হাওলাদারের মেয়ে।</p> <p style="text-align:justify">চাঁদনী জানান, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্পর্কের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হতো। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক সাজন। কয়েক বছর ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত পাঁচ মাস ধরে সাজন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সাম্প্রতিক সাজিনের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিবাহের কথা চলছে জানতে পারলে প্রেমিকা চাঁদনী সাজনের বাড়িতে আসেন। </p> <p style="text-align:justify">চাঁদনীর ভাষ্য, তার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়েছেন প্রেমিক সাজন। বলেন, ‘আমি সাজনের ঘরের সামনে গেলে সাজনের মা, ফুফু ও বোন মিলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। আমার মা দুমকি থানায় অভিযোগ করেছেন।’ </p> <p style="text-align:justify">ভুক্তভোগী এই তরুণী আরো বলেন, ‘এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি। তবে যতক্ষণে বিয়ে না হবে ততক্ষণে বাড়ি থেকে যাবো না। আমি মরে যাব, তবু এখান থেকে যাব না।’</p> <p style="text-align:justify">এদিকে প্রেমিক সাজনের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।</p> <p style="text-align:justify">সাজনের বাবা হারুন অর রশীদ (মাস্টার) বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোনো সম্পর্ক নাই। আমার ছেলেকে ফাঁসাতে মিথ্যা নাটক করছে।’</p> <p style="text-align:justify">দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ওই ঘটনায় চাঁদনী আক্তারের মা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করছে। ছেলে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছে।’</p>