আইনজীবীকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির আর্তনাদের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইনজীবীকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির আর্তনাদের চিঠি
সংগৃহীত ছবি

কারাগার থেকে চিঠি লেখার ঘটনা চলচ্চিত্রে দেখা গেলেও বাস্তবে তেমন একটা দেখা যায় না। তবে এবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি কারাগার থেকে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে হৃদয়স্পর্শী একটি চিঠি লিখেছেন।

গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) চিঠিটি গণমাধ্যমে আসে। চিঠিতে ওই আসামি লেখেন, ‘আমি একজন অসহায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

২০২১ সালের ৭ অক্টোবর খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত মাদক (কোকেন) মামলায় আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আমি ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট থেকেই খুলনা জেলা কারাগারে আছি। এই চিঠি আমার স্ত্রীর মাধ্যমে আপনার বরাবর পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো আমার এই মামলায় আমার ডিফেন্স কেস সুস্পষ্টভাবে নির্দোষ প্রমাণ করা সত্ত্বেও বিজ্ঞ বিচারক মামলার সাক্ষী, জেরা, জবানবন্দি সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করে আমাকে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।’

আরো পড়ুন
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা

 

তিনি আরো লিখেছেন, ‘এ মামলায় আমার কোনো ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই।

আমার নামে আগে-পরে কোনো মাদকসংক্রান্ত মামলা নেই। আমি অত্যন্ত গরিব বিধায় যারা এই মামলায় জড়িত তাদের আসামি না করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য যে বিজ্ঞ বিচারক সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন।’

আরো পড়ুন
শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ?

শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ?

 

চিঠিতে ওই কারাবন্দী লেখেন, ‘আপনার কাছে আমার দৃঢ় আর্তনাদ আমার ডেথ রেফারেন্স মামলাটি উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) নিজেই শুনানি করতে চাই এবং সেই বিষয় কোনো আইনগত সুযোগ আছে কি না? আপনার কাছে জানার দৃঢ়ভাবে আর্তনাদ রইল।

আমার মামলার নথি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে কোনো সচেতন বিচারক আমাকে দণ্ড দিতে পারবেন না। আর একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া মানে শুধু ওই ব্যক্তিকে নয়, তার পুরো পরিবারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।’

আরো পড়ুন
তাহসানের দ্বিতীয় বিয়ের পর লাইভে মিথিলার কান্না, যা জানা গেল

তাহসানের দ্বিতীয় বিয়ের পর লাইভে মিথিলার কান্না, যা জানা গেল

 

উচ্চ আদালতের প্রতি আমার জোর আকুতি থাকবে, আমাকে শুধু তিন দিন শুনানি করার সুযোগ দেওয়া হলে নিম্ন আদালত যে বিচার করেছেন তা আমি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে নিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেব উল্লেখ করে তিনি আরো লিখেন, ‘আর আমি যদি নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হই তাহলে উচ্চ আদালতের কাছ থেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অনুমতি চেয়ে নেব। কারণ, বিনা দোষে জেল খাটার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। আমার মতো অসহায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামির আর্তনাদ কেউ শুনতে চায় না।

আরো পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, কার কত?

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, কার কত?

 

তিনি লেখেন, ‘আমার এই আর্তনাদের কথা মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের অনেক বিচারপতিকে বরাবর আমার স্ত্রীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছি। এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড চেয়ারম্যান বরাবর এই আর্তনাদ জানিয়েছি কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।’

আরো পড়ুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সুখবর

ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সুখবর

 

কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিকাশ বিশ্বাসের লেখা চিঠির বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘চিঠিটি পড়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছি।’ চিঠিটি যুক্ত করে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপনের কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশকে বিনা মূল্যে ৬ একর জায়গা দিল নেপাল

বাংলাদেশকে বিনা মূল্যে ৬ একর জায়গা দিল নেপাল

 
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজশাহী

জমি নিয়ে বিরোধ : শ্যালকের হাসুয়ার কোপে দুলাভাইয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
জমি নিয়ে বিরোধ : শ্যালকের হাসুয়ার কোপে দুলাভাইয়ের মৃত্যু

রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শ্যালকের হাসুয়ার কোপে দুলাভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর নওদাপাড়া কালুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন (৪০) নগরীর নওদাপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমা মোন্তাকিম।

আরো পড়ুন

ইতিকাফে বসলেন জামায়াত আমির

ইতিকাফে বসলেন জামায়াত আমির

 

ঘটনার পর তার শ্যালক মিন্টু (৩৫) পালিয়ে গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমা মোন্তাকিম জানান, 'শনিবার রুহুল আমিনের শ্বশুরের জমির মাপজোখ চলছিল। এসময় শালা-দুলাভাই জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে শ্যালক মিন্টু হাসুয়া দিয়ে রুহুল আমিনের গলায় কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়।'

আরো পড়ুন

অতিথিদের আপ্যায়ন করতে ত্রিপুরায় গেলো বাংলাদেশি খাবার

অতিথিদের আপ্যায়ন করতে ত্রিপুরায় গেলো বাংলাদেশি খাবার

 

ওসি আরো জানান, 'ঘটনার পরপরই শ্যালক মিন্টু পালিয়ে গেছে। আমি নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি।

রুহুল আমিনের মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।'

মন্তব্য

অতিথিদের আপ্যায়ন করতে ত্রিপুরায় গেলো বাংলাদেশি খাবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
অতিথিদের আপ্যায়ন করতে ত্রিপুরায় গেলো বাংলাদেশি খাবার
ছবি: কালের কণ্ঠ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ কার্টন শুকনো খাবার ও জুস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এসব খাবার পাঠানো হয়। আগরতলায় বাংলাদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য এ খাবারগুলো ব্যবহার করা হবে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রতিটি কার্টনে চানাচুর, লেক্সাস বিস্কুট, জুস, ডালভাজা ও চিপসের প্যাকেট রয়েছে, যা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পরিবেশন করা হবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও আগরতলায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। খাবার পাঠানোর সময় আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, ইমিগ্রেশনের এসআই সোহেল রানা এবং বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের পিএস চঞ্চল দে উপস্থিত ছিলেন।

এ আয়োজন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় ভোলা খাল

ইকরামুল আলম, ভোলা
ইকরামুল আলম, ভোলা
শেয়ার
দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় ভোলা খাল
ছবি: কালের কণ্ঠ

ভোলা শহরের প্রাণভোমরা ভোলা খাল, যা এক সময় বেতুয়া নদী নামে পরিচিত ছিল, আজ দখল ও দূষণের কারণে মৃতপ্রায়। ১৯৪৫ সালে ৬০-৭০ ফুট প্রশস্ত এ খালটি দিয়ে ঢাকা থেকে ভোলা রুটের লঞ্চ চলাচল করত। কিন্তু গত কয়েক দশকে অবৈধ দখল, দূষণ ও পৌরসভার ভুল নীতির কারণে খালটি এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। ভোলা পৌরসভা নিজেই খালের পাড় দখল করে শতাধিক দোকান নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছে।

এ ছাড়াও উন্নয়নের নামে খালের ওপর উঁচু সেতু ভেঙে নিচু কালভার্ট নির্মাণ করে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) ভোলা খাল রক্ষায় উচ্চ আদালতে রিট করে। আদালত ভোলা পৌরসভাসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে খালটি দখল ও দূষণমুক্ত করার নির্দেশ দেয়। ২০১৭ সালে জেলা প্রশাসক ১৫০ জন অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।

বর্তমানে খালটির সর্বোচ্চ প্রস্থ ৪০ ফুট ও সর্বনিম্ন ১৮ ফুট, যা আগে ৬৫ ফুট পর্যন্ত ছিল।

খালটি ভোলা শহরের প্রাণ ছিল। এক সময় এ খাল দিয়ে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করত এবং কৃষকরা ফসল পরিবহন করত। কিন্তু এখন দখল ও দূষণের কারণে খালের নাব্যতা হারিয়ে গেছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, খালটি খননের জন্য সার্ভে করা হয়েছে এবং ডিজাইন প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেছেন, খালটি দখলমুক্ত করে শিগগিরই খনন করা হবে।

ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, খালটি সচল করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, খালে ভাসমান রেস্টুরেন্টও অবৈধ।

স্থানীয় সচেতন মহল ও পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে খালটি উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

তারা বলছেন, ভোলা খাল শহরের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য। এর দখল ও দূষণ বন্ধ করে পূর্বের রূপে ফিরিয়ে আনা জরুরি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
গাজীপুর

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কারখানা, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কারখানা, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
সংগৃহীত ছবি

গাজীপুর মহানগরীর বাসন এলাকার জায়ান্ট নীট ফ্যাশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কতৃর্পক্ষ। এর প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা। এতে ওই মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে সকাল ১০টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা গেছে, শনিবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার গেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। নোটিশে জায়ান্ট নীট ফ্যাশন কর্তৃপক্ষ সার্বিক নিরাপত্তা, কারখানার সম্পত্তি এবং জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো বলে জানায়।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, কারখানা বন্ধ ঘোষণার খবর শুনে সকাল ৮টার দিকে প্রথমে চান্দনা চৌরাস্তা-জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করা হয়।

পরে তারা মিছিল নিয়ে ভোগড়া বাইপাসের দিকে আগালে চৌরাস্তা ও চৌধুরী বাড়ি এলাকার বেশ কিছু কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে সকাল ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

জানা গেছে, গত ২০ মার্চ শ্রমিকরা ঈদ বোনাস না দেওয়া এবং ১০ দিনের ছুটির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে। এছাড়া শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কারখানা ম্যানেজমেন্টের চারজন কর্মকর্তাকে মারধর করে।

এ ঘটনায় যৌথবাহিনি চার শ্রমিককে আটক করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়।

অপর দিকে, ঈদের ছুটি ১১ দিনের পরিবর্তে ১২ দিনের দাবিতে সদর উপজেলার ভবানিপুর এলাকার গ্রীন ফাইবার কারখানার শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। এতে ১০ মিনিটের মতো সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২-এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, 'এক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল।

ওই জেরে আশপাশের কয়েকটি কারখানা শনিবারের জন্য ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।'

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ