ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ছেলে-মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে দুই ভাইয়ের সংঘর্ষ, আহত ৮

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ছেলে-মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে দুই ভাইয়ের সংঘর্ষ, আহত ৮
সংগৃহীত ছবি

শরীয়তপুরে ছেলে-মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় দুই ভাই ইমামুল হক সরদার ওরফে (এনামুল) ও আজিজুল হক সর্দারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুরের কাজিকান্দি এলাকায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইমামুল হক সরদারের মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আপন ছোট ভাই আজিজুল সরদারের পরিবারকে দাওয়াত দেননি এনামুল হক সরদার। আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি আজিজুল সরদারের ছেলের বিয়ে। প্রতিশোধ হিসেবে আজিজুল সরদারও তার ছেলের বিয়েতে এনামুলের পরিবারকে দাওয়াত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনামুল সরদারের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র, রামদা, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে আজিজুল সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৪ জন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আর বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর আহত সামসুল হক সরদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
আহতরা হলেন— ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী (৫০), সাবেক ইউপি সদস্য মনোয়ার কাজী (৩২), বোরহান কাজী (৫০), আজিজুল সরদার (৫০)। তবে স্থানীয়দের মতে, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল, যা এই সংঘর্ষের একটি কারণ হতে পারে।

আহত ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী আজিজুল সরদারের পক্ষের লোক।

তিনি বলেন, এনামুল সরদার ও খলিল মাদবরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে। আমাদের কয়েকজনকে কুপিয়ে পিটিয়া আহত করে। আমরা এনামুলদের দাওয়াত দিতে চেয়েছিলাম। অথচ এনামুল তার মেয়ের বিয়েতে আমাদেরকে দাওয়াত দেয়নি। তবুও তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

এদিকে এনামুল সরদারের পক্ষে তার বড় ভাই সামসুল হক সরদার জানান, আমি সামনে বিনোদপুরে ইউপি নির্বাচন করব। দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুনে আমি সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখনই আমার ওপর হামলা হয়। আমার মাথা ও হাতে আঘাত লেগেছে। আমি এবং আমার কোনো লোকজন কারো ওপরে হামলা চালায়নি।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি আছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। গুরুতর আহত সামসুল হক সরদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আরো পড়ুন
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

 

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এটি পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি, তবে তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কেন্দুয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৬৯ জন

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কেন্দুয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৬৯ জন
ছবি: কালের কণ্ঠ

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় এসএসসি, দাখিল (সমমান) পরীক্ষায় প্রথম দিনে ৩ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দুয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় মোট ৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার ২ হাজার ৮২৭ জনের মধ্যে ২১ জন, দাখিল পরীক্ষার ৫৬৬ জনের মধ্যে ২২ জন ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ৫৫২ জনের মধ্যে ২৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ।

জানা যায়, প্রথম দিনের বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তাছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্তৃক পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে ১৪৪ ধারা জারি ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নানা কারণে প্রথম দিনের পরীক্ষায় মোট ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

মন্তব্য

৫২ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন দুলু

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
৫২ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন দুলু
সংগৃহীত ছবি

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৫২ বছর বয়সে এবারের চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। তিনি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি লাভের পর ১৯৯০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে সেবার বহিষ্কারর হন। এরপর বন্ধ হয়ে যায় তার পড়ালেখা।

 

অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ইউপি সদস্য দুলু। এরপর স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আবারও পড়ালেখা করার মনোবল ফিরে পান। অবশেষে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন
ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপান্তর : হেফাজতে ইসলাম

ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপান্তর : হেফাজতে ইসলাম

 

দুলু জানান, তার পরিবারের সবাই শিক্ষিত।

শুধু তিনিই কম শিক্ষিত হওয়ায় প্রতিনিয়তই মনকষ্টে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর করমদোশী ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নতুন করে লেখাপড়া করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ী দারুল খায়ের দ্বি-মুখি দাখিল মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এবার তিনি এসএসসি দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি ভালো ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৫ সালে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে জামনগর দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯০ সালে বাগাতিপাড়া কেন্দ্রে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহরাব হোসেন তাকে বহিষ্কার করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তার স্বপ্ন ভেঙে গেলেও নতুন করে স্বপ্ন দেখে তার বাস্তবে রূপ দিতেই অংশ নিয়েছেন এবারের পরীক্ষায়।

দুলু তার জন্য সকলের কাছে দেয়াও চেয়েছেন।

আরো পড়ুন
নোয়াখালীতে কিশোর চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নোয়াখালীতে কিশোর চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

 

জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী দুলুর পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই বয়সে চক্ষু লজ্জা উপেক্ষা করে দুলু যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সেজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। আসলে পড়ালেখার কোনো বয়স নাই তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ দুলু।

মন্তব্য
লক্ষ্মীপুর

বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা : ১৫ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

    ১৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা : ১৫ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার
ছবি : কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপিকর্মী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহতসহ হামলার ঘটনায় ১৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

একই সঙ্গে উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব জি এম শামীমকে বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটি কাছে সুপারিশ করেছে উপজেলা বিএনপি। রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন
গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়রের জামিন নামঞ্জুর

গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়রের জামিন নামঞ্জুর

 

বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা হলেন- উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপিকর্মী মেহেদী কবিরাজ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবাদ উল্যা গাজী, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক সর্দার ওরফে ফারুক কবিরাজ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিক রাঢ়ী, ৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী ফারুক গাজী ও রায়হান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী আল আমিন কবিরাজ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মানিক আহমেদ তারেক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর আলী হাওলাদার, ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলকর্মী শরিফ বাগ, শাহজাহান মাঝি ও ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্যসচিব শাহ আলী। এর আগে ২০ ডিসেম্বর প্রথম সংঘর্ষের জের ধরে ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের সব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

 

পুলিশ জানায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে নিহত স্পেনপ্রবাসী সাইজ উদ্দিনের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ ও তার ভাই মেহেদী কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। 

আরো পড়ুন
বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর, ৮ আ. লীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর

বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর, ৮ আ. লীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর

 

বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, তাঁতীদলসহ সব সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সংঘর্ষে জড়িতদের আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে জড়িত সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

’ 

রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘হত্যাসহ হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব জি এম শামীম ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

এর জের ধরে দুই দফায় শামীম ও ফারুকের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে ওই ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দলসহ সব অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম বিলুপ্ত করা হয়।

আরো পড়ুন
গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে

গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে

 

গত ৭ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেড়ি ও বাবুরহাট এলাকায় কৃষক দল নেতা শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজের অনুসারী হিসেবে পরিচত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক গাজীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনার সময় বিল্লাল মাঝি, আবু তাহের মাঝি, জিহাদ হোসাইনের বসতবাড়িতে শামীমের অনুসারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট করেন।

এর জের ধরে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ফের হামলা চালিয়ে শামীম গাজীর অনুসারীরা ফারুক কবিরাজের লোকজনের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা-ভাঙচুর, হত্যা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা এখনো বিরাজ করছে।

মন্তব্য

গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়রের জামিন নামঞ্জুর

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শেয়ার
গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়রের জামিন নামঞ্জুর
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পৃথক দুটি হামলা মামলায় গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডলের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে ওই মামলায় মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে রাজবাড়ী ১ নম্বর আমলি আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলায় শিক্ষার্থী  শাহীন ফকির রাজবাড়ী সদর থানায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় নজরুল ইসলাম মন্ডল ৪ নম্বর আসামি ছিলেন।

এদিকে, গোয়ালন্দ থানায় বৈষম্যবিরোধী আদোলনে হামলা মামলায় শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নজরুল ইসলামকে ২ নম্বর আসামি করে ৫৮ জনের নামে আরেকটি মামলা করেন। আসামি নজরুল ইসলামকে এই পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠায় আদালত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ