বরগুনার বামনায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার চাঁদা দাবির একটি অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নাম মো. ইসমাইল হোসেন সোহাগ। তিনি বামনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ।
অডিওতে শোনা গেছে, ইসমাইল বামনা বিএনপি অফিস ভাঙা মামলার বাদী হিসাবে ওই মামলা থেকে বাদ দিতে একজন আসামির নিকট চাঁদা দাবি করেন।
ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ড তার নিজের নয় দাবি করে ওই নেতা নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট করে লিখেছেন, অডিও ফাঁসকারী ছাত্রলীগ নেতা রাফান জোমাদ্দার আকাশ নামে কাউকে তিনি চেনেন না।
বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলার ৩৬ নম্বর আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রাফান জোমাদ্দার আকাশ তার ফেসবুকে লিখেছেন, মমলার বাদী যদি তাকে না চেনেন তাহলে কীভাবে তাকে আসামি করেছেন। বর্তমানে বামনা উপজেলায় ওই অডিও রেকর্ড নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা রাফান জোমাদ্দার আকাশ তার ফেসবুকে এ অডিওটি ফাঁস করেন।
অডিওতে শোনা গেছে, ওই ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলার বাদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেন সোহাগকে ফোন করেন।
ফোনে ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমি বিগত ১৬ বছরে কিছুই করতে পারিনি। টিআর,কাবিখা এসবের শুধু নামই শুনেছি এখন আপনাকে যা দিতে হবে তা মহারাজ ভাইয়ের কাছ থেকে এনে দিতে হবে। এখন কয়টাকা দিতে হয় বলেন আমি এনে দেই।
অপর দিকে ওই স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা বলেন, ওই ‘হা*লা*রে ফোন দে (জনৈক এক পুলিশ সদস্য) ওরে ক। জবাবে ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সেতো মোরে দশ এর কথা বলছে এখন আপনি যেটা বলবেন সেটা। জবাবে আবারো মামলার বাদী বলেন, মোরে কয় ত্রিশ আর তোরে কয় দশ হা*লা*রে লাগে এহন কেনু। ছাত্রলীগ নেতা বলেন ত্রিশ হাজার? সে যদি আপনাকে ত্রিশ হাজার বলে থাকে তাহলে আমি এতো টাকা পামু কই বলেন? ওই নেতা বলেন, এহন তুই যা দেও যা হরো হ্যার লগে কথা কইয়া হর। তুই আবার রেকর্ড কইরা মোরে ভোগে হালাইস না।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে গত ৭ নভেম্বর বামনা বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে ১১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেন সোহাগ। ওই মামলায় বামনা উপজেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগসহ ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায় বামনা থেকে প্রকাশিক দৈনিক সাগরকুল সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নেসার উদ্দিনকেও আসামি করা হয়। এ ব্যাপারে সাগরকুল পত্রিকার সম্পাদক মো. নেসার উদ্দিন জানান, মামলায় যে সময় ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় আমি বামনাতে ছিলাম না। অথচ আমাকে সেই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে অনেক অডিও রেকর্ড ফাঁস হচ্ছে যাতে শোনা যাচ্ছে মামলার বাদী মামলা থেকে বাদ দিতে কয়েকজন আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন।