সরকারি জমি দখল করে ভাড়া দিচ্ছেন বিএনপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকারি জমি দখল করে ভাড়া দিচ্ছেন বিএনপি নেতা
সংগৃহীত ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে ১০ নম্বর সাইট এলাকায় প্রায় ১৫০ একর সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। দুই বছর আগে অভিযান চালিয়ে তাঁর দখলে থাকা জমি উদ্ধার করা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে তিনি আবার সেই জমি দখলে নেন। 

সাহাব উদ্দিন উপজেলা বিএনপির সভাপতির পাশাপাশি জেলা বিএনপির সহসভাপতি পদেও রয়েছেন। দখলকৃত এই সরকারি জমি তিনি পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ভোলাগঞ্জে দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারির পাশে সরকারের অন্তত ২৭৫ একর উন্মুক্ত জায়গা আছে। ২০০১ সালের দিকে এসব জায়গার দখল নেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমি দখলে নেন সাহাব উদ্দিন।

পরে পাশে কোয়ারি থাকায় জায়গাগুলো পাথর ভাঙার মেশিনের মালিকদের কাছে ভাড়া দেন দখলকারীরা।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ভোলাগঞ্জে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় তৎকালীন সরকার। পাশাপাশি পর্যটনের উন্নয়নে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। পরে দুই বছর আগে অভিযান চালিয়ে দখলকৃত জমি উদ্ধার করে প্রশাসন।

তবে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে আবার সেই জায়গা দখল করা হয়।

এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি জায়গা থেকে দখলকারদের উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। জায়গাটি নিয়ে মামলা ছিল। রায় সরকারের পক্ষে গেছে। দ্রুত রায় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিমে ১১২ একর ও পূর্বে প্রায় ১৫০ একর খাসজমির বেশির ভাগই অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছিলেন বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন। তবে সেখানে স্থলবন্দর নির্মাণ ও পর্যটনের উন্নয়নে পৃথক প্রকল্প নিলে ২০২৩ সালে জায়গাটি দখলমুক্ত করে প্রশাসন। পরে ৫২ দশমিক ৩০ একর জায়গা ইজারা নেয় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বছরের জুন মাসে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জমি ইজারা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে সাহাব উদ্দিনের ব্যবস্থাপক হিসেবে পরিচিত নির্মল কুমার সিংহ ও তার ভাই উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেন। পরে আদালত সরকারের পক্ষে রায় দিলে জায়গাটি প্রায় ৮ কোটি টাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্থলবন্দর নির্মাণে ইজারা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব অংশে ধলাই নদের পাড় পর্যন্ত প্রায় ১৫০ একর সরকারি খাসজমিতে স্থানীয় পর্যটনশিল্পের বিকাশে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে উন্নয়নকাজ শুরু করে। এ জন্য এসব জায়গা থেকে পাথর ভাঙার মেশিন অপসারণ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। 

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত বছর ৫ আগস্ট বিকেলে সাহাব উদ্দিনের লোকজন ফের ওই জমির দখল নেন। তারা স্থলবন্দর নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারদের জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া পর্যটনের উন্নয়নে নির্মিত সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলে। পরে নির্মাণাধীন স্থলবন্দরের ৫২ দশমিক ৩০ একর জমি ছাড়া উভয় পাশের প্রায় ২০০ একর জমির দখল নেন সাহাব উদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েকজন।

অভিযোগ আছে, সরকারি জমির দখল টিকিয়ে নিজের সাম্রাজ্য ঠিক রাখতে সাহাব উদ্দিন শুরু থেকেই স্থলবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন। স্থলবন্দর নির্মিত হলে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে আনা কয়লা, চুনাপাথর ও পাথরে কর ফাঁকি দেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে— এটাও বিরোধিতার অন্যতম কারণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে নির্মাণাধীন স্থলবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন সাহাব উদ্দিন। এ ছাড়া গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের ব্যানারে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সাহাব উদ্দিন ওই গ্রুপের সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন দাবি করেন, তিনি জমি দখল করে পাথর ব্যবসায়ীদের ভাড়া দেননি। পর্যটনকেন্দ্রিক উন্নয়নকাজ শুরুর আগে সেখানে তিন বিঘা জায়গায় তিনি পাথর রাখতেন। তবে যখন (২০২৩ সাল) সেখানে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ শুরু হয়, তখন তিনিসহ অন্যদের প্রশাসন উচ্ছেদ করে। এছাড়া রিট পিটিশন দায়ের করা নির্মল কুমার সিংহ তার ব্যবস্থাপক নন বলে দাবি করেন তিনি।

সাহাব উদ্দিন আরো বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদ করার পর তিনি আর সেখানে পাথর রাখেননি। ৫ আগস্টের পর তিনি বা তার লোকজনের ওই জমি দখলের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। তাঁকে বিতর্কিত করতেই একটা মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এক ট্রেন চালাতে তিন ইঞ্জিন

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে শিডিউল বিপর্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
শেয়ার
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে শিডিউল বিপর্যয়

একটি ট্রেন চালাতে তিন-তিনটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবু প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেছে ট্রেনটি। এরকম ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে চলাচলকারী ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামক আন্তঃনগর ট্রেনটিতে। মূলত ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

ফলে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে সিডিউল বিপর্যয় ঘটায় এ দুই রেলপথের অন্তত চারটি ট্রেনের কয়েক হাজার যাত্রী আজ দিনভর সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শী রেলযাত্রী ও রেলওয়ে সূত্রগুলো জানায়, শনিবার (১৭ মার্চ) নির্ধারিত সময় বেলা সাড়ে ১০টায় ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ (৭৮১ ডাউন) নাম ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ভৈরব জংশনে পৌঁছে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরই তাতারকান্দি নামক স্থানে ট্রেনের ইঞ্জিন (নং ২৯১৩, এমইআই-১৫) বিকল হয়ে পড়ে। 

এতে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরারচর স্টেশনে এবং ময়মনসিংহের বাহাদুরাঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ‘নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি কুলিয়ারচর স্টেশনে আটকা পড়ে।

এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিকল হয়ে পড়া ট্রেনটি ভৈরব জংশনে ফিরিয়ে নিতে নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি (নং ২৭১৪, এমইএল-১৫) এনে আটকেপড়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি উল্টো ধাক্কায় ভৈরব নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

অবশ্য টানা প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল বসে থাকা ট্রেনটিকে ভৈরবের দিকে নিতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ‘সচল’ ইঞ্জিনটি বিকল ট্রেনকে কিছুদূর সামনে নেয় তো আবার পিছিয়ে যায়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত এরকম ‘ইঁদুর-বেড়াল’ খেলা চলার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন থেকে একটি রিলিফ ইঞ্জিন এসে বাকি দুই ইঞ্জিনসমেত বিকল ট্রেনটিকে ভৈরব স্টেশনে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

 

এরপরই সরারচর স্টেশনে আটকেপড়া এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব জংশন হয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঢাকার পথে ছেড়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম হুমায়ুন ও তার স্ত্রী সৈয়দা তামান্না জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর তিনি ট্রেন থেকে নেমে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন। ইফতার করতে হয়েছে গচিহাটা স্টেশনে। চার ঘণ্টা ট্রেনে বসে থেকে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার ইসমাইল হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, তার ট্রেনের ইঞ্জিনের সাধ্যে কুলায়নি বলেই বিকল ট্রেনটি চালাতে সক্ষম হননি। এদিকে ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুই চালক (লোকোমাস্টার) আব্দুল হান্নান খান ও মো. সুমন মিয়া জানান, তার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ট্রেন আটকে ছিল। 

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে নিয়মিত যাতায়াত ও চলাচলকারী যাত্রীরা জানায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলায় এ দুই রেলপথের বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ জেলার ট্রেনযাত্রীরা বছরের পর বছর ধরেই সীমাহীন কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ রেলপথের উন্নয়নে কেউ কখনো নজর দিচ্ছে না। 

রাষ্ট্রের সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম গতকালের দুর্ভোগের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেল ব্যবস্থা বাংলাদেশের সবচাইতে অবহেলিতগুলোর একটি। অবিলম্বে এর সংস্কার দাবি করছি’। 

রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরাও স্বীকার করেন, ইঞ্জিনের সঙ্কট রয়েছে। ফলে বেশকিছু ইঞ্জিন পথিমধ্যে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে। এরকম একটি ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনই গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হয়।

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় কালের কণ্ঠকে জানান, প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে পৌনে ৭টা নাগাদ ট্রেন নিয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছান এবং একইরকম বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

তবে বিকল ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানোর কারণ জানতে ঢাকা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) জহিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মন্তব্য

গোপালগঞ্জে দুই ইউপি মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জে দুই ইউপি মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
সংগৃহীত ছবি

গোপালগঞ্জে বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি মেম্বারের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, বোড়াশী ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার মিটু মোল্লার সঙ্গে সাবেক মেম্বার আলিম মোল্লার সঙ্গে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলেছিল। এর আগেও একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে মিটু মোল্লার নেতৃত্বে তার সমর্করা আলিম মোল্লাসহ তার লোকজনের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । 

মন্তব্য

চাঁদা না দেওয়ায় সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁদা না দেওয়ায় সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম
সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরের সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় মো. গোলাম মোস্তফা (৬০) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের এ ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে সালথা থানায় একটি মামলা করেছেন আহত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মোসা. মঞ্জু বেগম।

মামলার বাদী মঞ্জু বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোস্তফার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রহমান মিয়া ও হুমাউন মিয়াসহ তাদের সহযোগিরা। ওই টাকা না দেওয়ায় গত রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে বাড়ির পাশে ফসলি জমিতে কাজ করার সময় মোস্তফার উপর অতর্কিত হামলা চালায় রহমান মিয়া ও হুমায়ন মিয়াসহ ৫-৬।

এ সময় হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যর উপর হামলার ঘটনায় সোমবার একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জানা গেল রাফির স্ত্রীর পরিচয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জানা গেল রাফির স্ত্রীর পরিচয়
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বিয়ে করেছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করে বিয়ের খবর নিশ্চিত করেন রাফি। 

রাফি তার পোস্টে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দোআ একান্ত কাম্য।

০৩/১২/১৪৩১ বাংলা।’ তবে তিনি কোথায় বিয়ে করেছেন তা উল্লেখ করেননি। অপর আরেকটি পোস্টে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে একটি ফেসবুক আইডিকে যুক্ত করে রিলেশনশিপ স্টাটাসও দেন তিনি। 

আরো পড়ুন
গরু ডাকাতির সময় আটক ৪

গরু ডাকাতির সময় আটক ৪

 

এদিকে রাফির ওই পোস্টের পরেই তিনি বরগুনায় বিয়ে করেছেন উল্লেখ করে নানা শ্রেণি-পেশার পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করতে শুরু করেন।

এছাড়াও রাফির পোস্ট করা জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ওই ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়, দুজনের একটি ছবি পোস্ট করে জান্নাতুল ফেরদৌসও লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ১৭/০৩/২০২৫।’ 

জানা যায়, জান্নাতুল ফেরদৌস বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গাবতলা নামক এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। তার মা পূর্ব চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাবাও একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।

 

জান্নাতুল ফেরদৌস এবং রাফির বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকায় একটি কোচিংয়ে একত্রে পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকে পরিচয় সূত্রে উভয় পরিবারের সম্মতিতে রাফি এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে রাফির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত মাসের ৮ তারিখ রাফির বাবার সঙ্গে বসে বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছে। পরে আজ সন্ধ্যায় ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন রাফির বোনের বাসায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।

তবে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতার তারিখ বা কোনো দিন এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ