ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

সরকারি জমি দখল করে ভাড়া দিচ্ছেন বিএনপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকারি জমি দখল করে ভাড়া দিচ্ছেন বিএনপি নেতা
সংগৃহীত ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে ১০ নম্বর সাইট এলাকায় প্রায় ১৫০ একর সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। দুই বছর আগে অভিযান চালিয়ে তাঁর দখলে থাকা জমি উদ্ধার করা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে তিনি আবার সেই জমি দখলে নেন। 

সাহাব উদ্দিন উপজেলা বিএনপির সভাপতির পাশাপাশি জেলা বিএনপির সহসভাপতি পদেও রয়েছেন। দখলকৃত এই সরকারি জমি তিনি পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ভোলাগঞ্জে দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারির পাশে সরকারের অন্তত ২৭৫ একর উন্মুক্ত জায়গা আছে। ২০০১ সালের দিকে এসব জায়গার দখল নেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমি দখলে নেন সাহাব উদ্দিন।

পরে পাশে কোয়ারি থাকায় জায়গাগুলো পাথর ভাঙার মেশিনের মালিকদের কাছে ভাড়া দেন দখলকারীরা।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ভোলাগঞ্জে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় তৎকালীন সরকার। পাশাপাশি পর্যটনের উন্নয়নে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। পরে দুই বছর আগে অভিযান চালিয়ে দখলকৃত জমি উদ্ধার করে প্রশাসন।

তবে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে আবার সেই জায়গা দখল করা হয়।

এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি জায়গা থেকে দখলকারদের উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। জায়গাটি নিয়ে মামলা ছিল। রায় সরকারের পক্ষে গেছে। দ্রুত রায় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিমে ১১২ একর ও পূর্বে প্রায় ১৫০ একর খাসজমির বেশির ভাগই অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছিলেন বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন। তবে সেখানে স্থলবন্দর নির্মাণ ও পর্যটনের উন্নয়নে পৃথক প্রকল্প নিলে ২০২৩ সালে জায়গাটি দখলমুক্ত করে প্রশাসন। পরে ৫২ দশমিক ৩০ একর জায়গা ইজারা নেয় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বছরের জুন মাসে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জমি ইজারা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে সাহাব উদ্দিনের ব্যবস্থাপক হিসেবে পরিচিত নির্মল কুমার সিংহ ও তার ভাই উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেন। পরে আদালত সরকারের পক্ষে রায় দিলে জায়গাটি প্রায় ৮ কোটি টাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্থলবন্দর নির্মাণে ইজারা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব অংশে ধলাই নদের পাড় পর্যন্ত প্রায় ১৫০ একর সরকারি খাসজমিতে স্থানীয় পর্যটনশিল্পের বিকাশে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে উন্নয়নকাজ শুরু করে। এ জন্য এসব জায়গা থেকে পাথর ভাঙার মেশিন অপসারণ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। 

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত বছর ৫ আগস্ট বিকেলে সাহাব উদ্দিনের লোকজন ফের ওই জমির দখল নেন। তারা স্থলবন্দর নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারদের জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া পর্যটনের উন্নয়নে নির্মিত সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলে। পরে নির্মাণাধীন স্থলবন্দরের ৫২ দশমিক ৩০ একর জমি ছাড়া উভয় পাশের প্রায় ২০০ একর জমির দখল নেন সাহাব উদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েকজন।

অভিযোগ আছে, সরকারি জমির দখল টিকিয়ে নিজের সাম্রাজ্য ঠিক রাখতে সাহাব উদ্দিন শুরু থেকেই স্থলবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন। স্থলবন্দর নির্মিত হলে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে আনা কয়লা, চুনাপাথর ও পাথরে কর ফাঁকি দেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে— এটাও বিরোধিতার অন্যতম কারণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে নির্মাণাধীন স্থলবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন সাহাব উদ্দিন। এ ছাড়া গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের ব্যানারে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সাহাব উদ্দিন ওই গ্রুপের সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন দাবি করেন, তিনি জমি দখল করে পাথর ব্যবসায়ীদের ভাড়া দেননি। পর্যটনকেন্দ্রিক উন্নয়নকাজ শুরুর আগে সেখানে তিন বিঘা জায়গায় তিনি পাথর রাখতেন। তবে যখন (২০২৩ সাল) সেখানে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ শুরু হয়, তখন তিনিসহ অন্যদের প্রশাসন উচ্ছেদ করে। এছাড়া রিট পিটিশন দায়ের করা নির্মল কুমার সিংহ তার ব্যবস্থাপক নন বলে দাবি করেন তিনি।

সাহাব উদ্দিন আরো বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদ করার পর তিনি আর সেখানে পাথর রাখেননি। ৫ আগস্টের পর তিনি বা তার লোকজনের ওই জমি দখলের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। তাঁকে বিতর্কিত করতেই একটা মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আবর্জনার স্তূপে মিলল মুখ বাঁধা যুবকের মরদেহ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
শেয়ার
আবর্জনার স্তূপে মিলল মুখ বাঁধা যুবকের মরদেহ
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাইবান্ধার পলাশাবাড়ী উপজেলায় একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে মহেশপুর নামকস্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৯টার দিকে আবর্জনার স্তূপে কাপড়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের (২৮) মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।

পরে পুলিশকে জানালে তারা মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৮টার দিকে তারা মরদেহটি দেখেন। যুবকের মুখ বাঁধার পাশাপাশি মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।  

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।  

মন্তব্য

এনজিওকর্মীকে নগ্ন করে নির্যাতন; ভিডিও দেখিয়ে অর্থ আদায়

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
এনজিওকর্মীকে নগ্ন করে নির্যাতন; ভিডিও দেখিয়ে অর্থ আদায়
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার চান্দিনায় এনজিওর এক পুরুষ ও এক নারী কর্মীকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ও নারী কর্মীকে নগ্ন করে নির্যাতন করা হয়। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।

চান্দিনা থানার ওসি নাজমুল হুদা এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী দক্ষিণপাড়া দিঘীরপারের একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। তারা আইডিএফ নামে একটি এনজিওর চান্দিনা শাখায় কর্মরত। পরদিন মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন এনজিওর পুরুষ কর্মী তারেক রহমান।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা বন্ধ হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা

বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা বন্ধ হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইডিএফ নামে একটি এনজিওর এক পুরুষ ও এক নারী কর্মী তুলাতলী গ্রামে ঋণের কিস্তি আদায় করতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে তুলাতলী গ্রামের শেষে এতবারপুর মালিবাড়িসংলগ্ন একটি মৎস্য প্রজেক্টের পারে নিয়ে তাদের আদায় করা কিস্তির টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক লোক দেখে ফেলায় সেখান থেকে হাত ও চোখ বেঁধে তাদের তুলাতলী দক্ষিণপাড়া দিঘীরপারেনিয়ে আটক করে। এ সময় পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়।

নারী কর্মীকে নগ্ন করে লাঞ্ছিত করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবার চাঁদা দাবি করে। এ সময় ওই নারী তার বোনকে ফোন করেন এবং তার বোন নির্যাতনকারীদের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠান। ওই টাকা পাওয়ার পরও নারীকে শারীরিক নির্যাতন করা শুরু করে। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন টের পেয়ে ডাকাত বলে ধাওয়া করলে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।

আরো পড়ুন
আছিয়ার শোকে ভারসাম্যহীন বাবার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

আছিয়ার শোকে ভারসাম্যহীন বাবার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

 

আইডিএফ এনজিওর ঋণ আদায়কারী তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা কিস্তির টাকা আদায় শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। আমাদের বাগানে নিয়ে আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। তারা নারীকে নগ্ন করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা দাবি করে। বিকাশে ২০ হাজার টাকা এনে দিই কিন্তু তারা বাকি টাকা পেলে ভিডিও ডিলেট করবে বলে জানায়। এদিকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও তারা নারীর ওপর অত্যাচার শুরু করে। গ্রামবাসী টের পেয়ে ধাওয়া করে এবং আমাদের উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।’

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আমরা তাদের থানায় এনে বিস্তারিত শুনে মামলা নিই। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানাতে যাওয়ার পথে তরুণের পা দ্বিখণ্ডিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানাতে যাওয়ার পথে তরুণের পা দ্বিখণ্ডিত
জেলার মানচিত্র

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দ্রুতগতির ট্রাকচাপায় মুজিবুর রহমান (২৩) নামে এক তরুণের পা দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার দিগাম্বর বাজারের কাছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই তরুণ তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানানোর শোডাউনে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

আহত মুজিবুর বাহুবলের ইজ্জতপুর গ্রামে ইদ্রিস আলীর ছেলে।

তার সাথে যাওয়া স্নানঘাটের আজমান আলীর ছেলে তারেক মিয়াও (২২) একই দুর্ঘটনায় আহত হন।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ফুটবলার দেওয়ান হামজা চৌধুরী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে বাহুবলে আসেন। মোটরসাইকেল আরোহী ওই দুই তরুণ তাকে স্বাগত জানানোর শোডাউনে গিয়েছিলেন। দিগাম্বর বাজারের পাশে কালিবাড়ি নামক স্থানে যাওয়ার পর দ্রুতগতির একটি ট্রাকের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগলে উভয়ে আহত হন।

এর মধ্যে মুজিবুরের ডান পা দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুজিবুরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তারেককে বাহুবলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানানোর শোডাউনে গিয়ে দুজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন।

পরে পুলিশ ওই দুই যুবকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
কুড়িগ্রাম

ঈদকে সামনে রেখে সুই-সুতা নিয়ে ব্যস্ত ‘টুপি’ তৈরির কারিগররা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদকে সামনে রেখে সুই-সুতা নিয়ে ব্যস্ত ‘টুপি’ তৈরির কারিগররা
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন টুপি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নারীরা। সুই-সুতোর নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি নকশাদার টুপি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় যাচ্ছে নারীদের তৈরি এসব টুপি।

এ শিল্পের মাধ্যমে ফুলবাড়ীর অনেক নারী স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

ঘরে বসেই টুপি তৈরি করে তারা অর্থ উপার্জন করছেন। যা তাদের পরিবারে এনে দিয়েছে সচ্ছলতা। ফলে শুধু অর্থনৈতিক উন্নতিই নয়, নারীদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালাটারী গ্রামের মায়া বেগমের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, কয়েকজন নারী সুই-সুতা হাতে নিয়ে মনোযোগ দিয়ে টুপি তৈরিতে ব্যস্ত।

এখানকার নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে এ কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন এবং নিয়মিত কাজ করছেন। প্রায় ৪০ জন নারী বিভিন্ন নকশার টুপি তৈরি করছেন, যা দেশীয় বাজার ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

টুপি তৈরির মূল্য নির্ভর করে এর সূচিকর্ম ও নকশার ওপর। দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মায়া বেগম জানান, প্রতিটি টুপি তৈরি করলে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পাওয়া যায়।

দুই বছর ধরে এই কাজে যুক্ত খাদিজা বেগম বলেন, ‘আগে সংসারের খরচ চালানো খুব কষ্টকর ছিল। কিন্তু টুপি তৈরির কাজ শেখার পর এখন নিজেই আয় করতে পারছি। মাসে দুই থেকে তিনটি টুপি তৈরি করে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা আয় হয়। যা সংসার চালাতে অনেক সহায়তা করছে।’

আরেক নারী উদ্যোক্তা আদরী বেগম জানান, ‘অভাবের কারণে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো।

কিন্তু এখন ঘরে বসেই কাজ করতে পারছি, সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।’

নারীদের এই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে তালুক শিমুলবাড়ী ফকিরপাড়া গ্রামের বাবলু খন্দকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তার সহায়তায় অনেক নারী এখন নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

বাবলু খন্দকার বলেন, ‘আমি রোমানিয়া টুপি তৈরির উপকরণ সরবরাহ করি এবং তৈরি শেষে নির্ধারিত মজুরি দিয়ে টুপি সংগ্রহ করি। বর্তমানে আমার উদ্যোগের আওতায় ৮০০ নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ