ঝিনাইদহে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
ঝিনাইদহে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন

ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক চিহ্নিত করছে ছাত্রদল

ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক চিহ্নিত করছে ছাত্রদল

 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা সিয়াম মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের বিএনপি নেতা সুরাবের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে রবিবার রাতে দুই গ্রুপের কমী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

 

আরো পড়ুন

ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হুতি-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হুতি-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

 

এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বগুড়ায় নারী হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
শেয়ার
বগুড়ায় নারী হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
সংগৃহীত ছবি

বগুড়ায় স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে হত্যার দায়ে হাবিব মন্ডল নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আদালত চলাকালে বগুড়ার জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া রায়ে ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। 

দণ্ডিত হাবিব মন্ডল বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রাখালগাছি এলাকার মৃত তোফাজ্জল মণ্ডলের ছেলে।

বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পিএম তারিকুল ইসলাম সাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাবিব মণ্ডলের দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার কচুরহাটের আজিবর রহমানের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা জয়তারা বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। 

এরই ধারাবাহিকতায় হাবিব মন্ডল ২০২০ খিস্টব্দের ১৭ জানুয়ারি রাতে জয়তারা বেগমকে সোনাতলা রেলওয়ে স্টেশনে ডেকে আনেন। সেখান থেকে তাকে হাবিব তার বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বাড়িতেই হাবিবের দুই স্ত্রীর সঙ্গে জয়তারার ঝগড়া হয়।

এক পর্যায়ে হবিবর জয়তারাকে মাঠে ডেকে নিয়ে যান হবিবর। উত্তেজিত হয়ে সেখানে জয়তারাকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ ওই মাঠেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান। ঘটনার দুইদিন পর পুলিশ জয়তারার মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে জয়তারা বেগমের বড় ভাই দুলু ব্যাপারী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
 

পুলিশ মামলার সুনির্দিষ্ট আসামি হিসেবে হাবিব মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে। হাবিব আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর আইনি প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।


 

মন্তব্য

মক্তবে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষককে গণপিটুনি

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
মক্তবে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষককে গণপিটুনি
সংগৃহীত ছবি

খুলনায় আট বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আবুল কাশেম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আবুল কাশেম কাশিমনগরের বাসিন্দা। তিনি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তব্যে শিশুদের আরবি পড়াতেন।

 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধি ৯-এর ৪(খ) ধারায় থানায় মামলা করেছেন। পাইকগাছার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ওই শিশুটি সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তবে অন্য শিশুদের সাথে আরবি শিখতে যায়। আবুল কাশেম স্লেটে আবরি বানান শিখাতে গিয়ে বারবার ওই শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন।

পরে বাড়ি পৌঁছে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনা ঘটনা জানাজানি হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কপিলমুনি বাজারে আবুল কাশেমের নিজস্ব দোকানে হানা দেয়। তাকে সেখান থেকে বের করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।  

পাইকগাছার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন জানান, শিশুটি নিপীড়ন ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

শিশুটি উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আবুল কাশেকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

থামছে না মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতারণা

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ
অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ
শেয়ার
থামছে না মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতারণা
জেলার মানচিত্র

মোটা চাল কেটে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ডিং করার প্রতারণা বন্ধ হয়নি ঝিনাইদহে। বিভিন্ন জাতের চিকন ধানের চাল তৈরি করে মিনিকেট বলে বাজারে ছাড়ছেন চালকল মালিকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, মিনিকেট নামে কোনো ধান আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয় না। অথচ মিনিকেট নামের চাল দেশের বাজার দখল করে নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই মিনিকেট প্রতারণা বন্ধ করতে পারছে না।

জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে ভারতের একটি কিট বক্সে চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয় নতুন একটি ধানের জাত। ভারতীয় চাষিদের মাধ্যমে এ ধান বাংলাদেশে চলে আসে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা ঝিনাইদহের মহেশপুর, যশোরের শার্শা, চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার চাষিরা চাষ করার সময় ভারতীয় চাষিদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করে এ জাতের ধান।

এ ধান সাধারণত চিকন ও ভাত দেখতে ভালো হয়। তখন চাষিরা এ ধানের নাম দেয় মিনিকেট। সে সময় ধানটি ভালো বাজার পায়। এরপর থেকে নতুন এ জাতের ধানের চাষ বাড়তে থাকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে।
দিন যতই যেতে থাকে বাজারে এ ধানের চাহিদা ততই বাড়তে থাকে। আর সুযোগ নেয় দেশের চালকল মালিকরা।

আরো পড়ুন
গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমাদের দেশে বর্তমানে বিআর-২৮, বিআর-২৯, বিআর -২৮, বি আর-৪৯, বিনা-৭, বিআর- ৫৮, বিআর ৬৭, বিআর-৭৪, বিআর- ৮১, বিআর -৮৮, বিআর-৮৯, বিআর-৯২ ও বিআর -৯৬ জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। এসব জাতের ধান চিকন হয়। আর এসব ধানের চাল তৈরি করে মিনিকেট লেখা বস্তায় ভরে বাজারজাত করছে চালকল মালিকরা।

কোনো কোনো চালকল মালিক সুপার মিনিকেট, স্পেশাল মিনিকেট লেখা বস্তায়ও বাজারে ছাড়ছে। আর এ কারণে চালকল মালিকরা প্রতি কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চালের জাত যথাযথ মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা দিনের বছরের পর বছর এ ফায়দা লুটে যাচ্ছে।
 
শৈলকুপার ভাটইবাজারের চাল ব্যবসায়ী লক্ষন কুমার বলেন, ‘আমাদের কাছে মিনিকেট চাল বলে বিক্রি করছে মিল মালিকরা। আমরাও ক্রেতাদের কাছে একই নামে বিক্রি করছি তবে বস্তার মধ্যে কোন জাতের চাল আছে সেটা আমার সঠিক জানা নেই।’

ঝিনাইদহ শহরের ছোট বাজারের চাল ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান বলেন, ‘এটা করছে চালকল মালিকরা। তারা যা বলছেন আমরা তাই বিক্রি করছি। প্রশাসন যদি মিনিকেট চাল নিয়ে তদারকি করে তাহলে এ জটিলতা নিরসন হবে। এছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই।’

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের কাছ থেকে মিনিকেট ধান কিনে চাল তৈরি করি। মিনিকেট চাল নিয়ে আমরা কোনো প্রতারণা করছি না। এ চাল নিয়ে একেক সময় একেক ধরনের গুজব সৃষ্টি করে কিছু মানুষ।’

ঝিনাইদহের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘কতিপয় চালকল মালিক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা মিনিকেটের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এমন প্রতারণা শুধু এ জেলাতেই নয় সারাদেশেই চলছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ঊর্ধতন কর্তপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আমরা নির্দেশনা পেলেই মিনিকেট চাল নিয়ে প্রতরণা বন্ধে অভিযান চালাবো।’
 
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ষষ্ঠী চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মিনিকেট নামে কোনো চাল নেই। এমনকি এ জাতের কোনো ধানও নেই। ভারতের কিছু চিকন জাতের ধান এদেশে চাষ করা হয়। সেটাকে এ দেশে মিনিকেট বলে চালানো হচ্ছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সীমান্তে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
সীমান্তে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
সংগৃহীত ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্ত দিয়ে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। 

বিজিবি ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই বাংলাদেশির নাম মো. আলমগীর শেখ।

তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুরের আব্দুর রহমত শেখের ছেলে। 

বিজিবি অধিনায়ক মো. মনির-উজ-জামান বলেন, ‘সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তের ৭/৯-এস পিলার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতে চলে যান আলমগীর। এ সময় ভারতের ৭০০ গজ অভ্যন্তরে তাকে আটক করে বিএসএফের নিমতিতা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফর কম্পানি কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএসএফ সদস্যরা আলমগীরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময়র তার ব্যবহৃত মাছ ধরার জাল ও নৌকাটিও ফেরত দেওয়া হয়।’

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আলমগীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ