কটিয়াদীর ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত আট বছরের শিশু আরাফের হাতে যখন ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছিল; সে না নিয়ে হাত বাড়াল মঞ্চে শোভিত বেলুনের দিকে।
দৃশ্যটি দেখে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান আয়োজকদের বললেন, বাচ্চাটাকে যেন বেলুনগুলো উপহার দেওয়া হয়।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আয়োজিত ঈদ উপহার হিসাবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানটি ছিল উৎসবমুখর।
প্রতিবছরের মতো এবারও মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে দুই শতাধিক দরিদ্র প্রতিবন্ধী পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বাজিতপুরের বিলপাড়-ডুয়াইগাঁও গ্রামে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারাশিদ বিন এনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন দৈনিক কালের কণ্ঠ’র স্টাফ রিপোর্টার নাসরুল আনোয়ার।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অবুঝ শিশুদের সান্নিধ্য তাকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি সাধ্যমতো এসব শিশু, তাদের পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াবার অঙ্গীকার প্রকাশ করেন।
আরেক বিশেষ অতিথি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. বাবুল মিয়া, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূরে হায়াত আফসানা, অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পুরো আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন লেখক-কলামিস্ট ম. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে জানান, বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল দুই কেজি আটা, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবণ, এক কেজি পোলাওয়ের চাল, এক কেজি মসুরের ডাল, দুই প্যাকেট সেমাই, দুই কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ছোলা বুট এবং সাবান ও হুইল পাউডার।
আয়োজকরা জানায়, ঈদসামগ্রী প্রদানের এই মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ডা. মেহেরুল হুদার নেতৃত্বে পরিচালিত ‘নূরুন্নাহার-মেহেরুল ফাউন্ডেশন’ সহ একাধিক দানশীল ব্যক্তিরা।