লাভের আলু যখন গলার কাঁটা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
লাভের আলু যখন গলার কাঁটা

বাজারে দাম কম ও হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা। লাভের আশায় আলু চাষ করে এখন সেই আলু তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই দরপতন হয় আলুর। পরে বাজার কিছুটা উঠলেও আবার ধস নামে।

এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন আলু চাষিরা। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। চাষাবাদ হয়েছে পাঁচ হাজার পাঁচ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কার্ডিনাল পাঁচ শো ৪৫ হেক্টর, এস্টারিক্স আট শো ১৫ হেক্টর, ডায়মন্ড দুই হাজার ৬ শ ৭০ হেক্টর, পাকড়ি নয় শো ৬৫ হেক্টর ও ক্যারেজ ১০ হেক্টর।


উপজেলার নামুইট গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি ১৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এবার বেশি দামে বীজ কিনে আলু চাষ করতে বিঘায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন এক বিঘা জমির আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ হাজার টাকা।’


আলু চাষি মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে আলু উৎপাদন করেছি।

ফলনও ভাল হয়েছে। আলু তোলার আগেই আমি হিমাগারে বুকিং দিয়েও জায়গা সংকটের কারণে আলু রাখতে পারিনি। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ১০-১১ টাকা কেজি। এই দামে আলু বিক্রয় করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। তাই ন্যায্যমূল্যের আশায় মাঠেই আলু নিয়ে রাত্রি যাপন করছি।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, ‘এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বাজার মূল্য অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। হিমাগারে জায়গা সংকটের কারণে কৃষকরা বাড়িতে মাচা করে সারা বছর আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন মিটিং ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল এসআই কবীরের, ফিরলেন লাশ হয়ে

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল এসআই কবীরের, ফিরলেন লাশ হয়ে
ছবি: কালের কণ্ঠ

কর্মস্থল থেকে ঈদের  ছুটি পেয়েছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাভার থানার এসআই মো. ফজলুর রহমান কবীর (৩৯)। ছুটিতে তিনি মা ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তৈরি হচ্ছিলেন। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) তার বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু ছুটির আগেই বাড়িতে এলো তার নিথর দেহ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরের পর তিনি ঢাকার সভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার নিথর দেহ আসে। এ সময় তার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনসহ পাড়া-পড়শিরা। আজ বাদ জুমা জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

আরো পড়ুন
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানিম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানিম গ্রেপ্তার

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী মেঘলা, মেয়ে আয়াত (৩) ও ছেলে আলভি (১৮ মাস)-সহ মা শরবানুও কবিরের সঙ্গে সাভারে বসবাস করতেন তিনি। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শুক্রবারে (২৮ মার্চ) স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল তার।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাভার থানা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে অন্যদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন কবীর। দায়িত্ব পালন শেষে দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে রাখা তার মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে একটি বালুবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

আরো পড়ুন
ধামরাইয়ে সেই ওসিসহ শেখ হাসিনাকে আসামি করে সাড়ে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ধামরাইয়ে সেই ওসিসহ শেখ হাসিনাকে আসামি করে সাড়ে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে শ্যামলীর একটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভার থানার ৫ জন পুলিশ সদস্য লাশবাহী একটি ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার মরদেহ নিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে কবিরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন।

আজ দুপুরে কবিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে লোকজনের ভিড়। বাড়ির সামনেই রাখা হয়েছে লাশবাহী গাড়িটি।

সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত নিহত কবিরের বড় ভাই হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সাভার থানা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে ঘটনাটি জানিয়েছে। মা শরবানু কবিরের ওখানে ছিলেন, কথা ছিল ঈদের ছুটিতে শুক্রবারে সবাই একসঙ্গে বাড়িতে আসবে। সবাই এসেছে তবে আমার আদরের ছোট ভাইটি লাশ হয়ে ফ্রিজিং গাড়িতে করে...’ এ কথা বলেই কাঁদতে শুরু করেন তিনি।

প্রতিবেশীরা জানান, কবীরকে পোশাক পরলেই পুলিশ মনে হত। আসলে তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। এলাকার গর্ব ছিলেন তিনি। 

আরো পড়ুন
কদরের রাতে এক ডিম বিক্রি হলো ২২ হাজার টাকায়

কদরের রাতে এক ডিম বিক্রি হলো ২২ হাজার টাকায়

 

নিহতের মরদেহের সঙ্গে আসা সাভার থানায় কর্মরত এএসআই নেসার উদ্দিন বলেন, ‘তিনি শুধু একজন সিনিয়র অফিসারই ছিলেন না। তিনি সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন। একটি ট্রাক সব ধ্বংস করে দিয়েছে।’

নিহত কবীর নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের মেরেঙ্গা ভূইয়া বাড়ির মৃত শুনু ভূইয়ার ছেলে। স্থানীয় আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশের পর নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেনে। এরপর ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি পাশের পর আইনে স্নাতক ডিগ্রি করেন। ২০০৬ সালে পুলিশের কনস্টেবলপদে যোগদান করেন কবির। এরপর পদোন্নতি পেয়ে এএসআই ও ৬ বছর এসআই হন।

মন্তব্য

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানিম গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানিম গ্রেপ্তার
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামে ইরফান হাসান মান্নান তানিম (৪০) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় কাজির দেউড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তানিম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

ওসি আবদুল করিম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তানিমকে কাজির দেউড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছ। আসামীর বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্ত অব্যাহত আছে।’

মন্তব্য

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসজুড়ে রংপুর মহানগর ছাত্রদলের কর্মসূচি

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসজুড়ে রংপুর মহানগর ছাত্রদলের কর্মসূচি
সংগৃহীত ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আশু সুস্থতা কামনায় পবিত্র রমজানে মাসজুড়ে রংপুরে অসহায় দুঃস্থ, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহেরি বিতরণ করেছেন মহানগর ছাত্রদল। প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ইফতার ও সেহেরিতে এতিম, অসহায়, ছিন্নমূল, পথচারী ও দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে রংপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস হাসান ও ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসানের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে সেহরি বিতরণ করা হয় ।

এ সময় রংপুর মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শফিউল ইসলাম সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক জুনায়েদ হোসেন অনিক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মারুফ, রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক আহবায়ক রোমিও, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা সুমন, লাবিব, মিলন ও ২৩, ২৫ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক আহবায়ক রোমিও বলেন, আমাদের দেশে অসহায় মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, কিছু মানুষের অসহায়ত্ব দেখে নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি বেরিয়ে আসে। কিছু মানুষ সেহেরি না করে রোজা থাকছে। কিছু মানুষ পানি দিয়ে ইফতার করে তারপর থেকে সেহেরি পর্যন্ত কিছু না খেয়ে আছে। অল্প কিছু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।

আরো পড়ুন
পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো ভোগান্তিহীন পারাপার

পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো ভোগান্তিহীন পারাপার

 

মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খান সুজন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ, নব্বইয়ের গণআন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে জনকল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি বলেন, সহমর্মিতা ও সংযমের মাস রমজানের শুরু থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়া।

মন্তব্য

ধামরাইয়ে সেই ওসিসহ শেখ হাসিনাকে আসামি করে সাড়ে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধামরাইয়ে সেই ওসিসহ শেখ হাসিনাকে আসামি করে সাড়ে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সংগৃহীত ছবি

ধামরাইয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ধামরাই থানার সাবেক ওসিসহ ৩৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও হামলার ঘটনায় গতকাল ধামরাই থানায় এ মামলা দায়ের করেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শরিফুল ইসলাম সুজন (২৮) নামে এক ব্যক্তি। তিনি সাভারের আশুলিয়া থানার খেজুরটেক এলাকার আব্দুর রশিদ প্রামানিকের ছেলে।

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধামরাই থানার সাবেক ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ ও  ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো ভোগান্তিহীন পারাপার

পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো ভোগান্তিহীন পারাপার

 

জানা গেছে, বর্তমানে সিরাজুল ইসলাম শেখ গাইবান্ধা পুলিশ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত আছেন।  

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট ধামরাই থানাধীন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানারোড তিন রাস্তার মোড়ে মহাসড়কের উত্তরপাশে পাকা রাস্তার ওপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে অনেকে আহতসহ মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম সুজনের বাম হাতের কবজি গুলি লেগে বাম হাতের হাড়সহ গুলি বের হয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হন।

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ধামরাই থানায় ৪টির মতো মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নতুন এ মামলায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

আরো পড়ুন
টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ২২ শিশু-কিশোর

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেল ২২ শিশু-কিশোর

 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখের নেতৃত্বে সকালে থানা বাস স্ট্যান্ড, ঢুলিভিটা, কালামপুর, আইঙ্গন মোড়, শরীফবাগ, সীমা সিনেমা হল মোড়সহ কয়েকটি এলাকায় গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। এতে শরীফবাগ এলাকায় একজন নারী গুলিবিদ্ধ হন।

এ ছাড়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটে পুলিশের গুলিতে আহত হন সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের এইচএসসি-২৫ ব্যাচের ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ দিন পর (৮ আগস্ট) নিহত হন। এতে নিহত সাদের নানা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করলেও তৎকালীন ওসি সিরাজুল ইসলামসহ কোনো পুলিশকে আসামি করা হয়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ