পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট জমে উঠেছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। এক ছাদের নিচে গৃহস্থালির সব পণ্য একই স্থানে পাওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহের জায়গায় এখন আউটলেটটি। ঈদের দিনের জন্য ক্রেতাদের প্যাকেটজাত দুধ, মাছ-মাংস, ডিম, সেমাইসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই কিনতে দেখা গেছে।
ঈদ ঘিরে জমে উঠেছে বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট
অনলাইন প্রতিবেদক

আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘সি’ ব্লকের উম্মে কুলসুম রোডের (প্লট : ৫৬/এ) আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা ঈদকে মাথায় রেখে কেনাকাটা করছেন। বিশেষ করে ঈদের দিনের প্রয়োজনীয় চাল-ডাল, তেল-লবণ, সেমাই, মাছ-মাংসসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন। আবার অনেককেই প্রসাধনী ও নজরকাড়া তৈজসপত্র কিনতে দেখা গেছে।

‘জি’ ব্লক থেকে আসা ক্রেতা নজিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুই দিন পরেই ঈদ, তাই শেষ সময়ের কেনাকাটা করছি। ঈদের দিনের জন্য সেমাই, তেল, দুধ, বড় রুই মাছ এবং গরুর মাংস কিনলাম। এই আউটলেটে আজকেসহ দুইদিন বাজার করলাম।
আউটলেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ‘ঈদকে ঘিরে কেনাকাটা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ক্রেতারা আনন্দ সহকারে প্রয়োজনীয় সবকিছুই কিনছেন।
তৈজসপত্র কেনার সময় ‘ডি’ ব্লক থেকে আসা উর্মি খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, কাচ ও সিরামিকের তৈরি বাটি, গ্লাসসহ তৈজসপত্রের কালেকশনগুলো খুবই চমৎকার। দামও নাগালের মধ্যে। কিছু তৈজসপত্র কেনার ইচ্ছে আছে।’
আউটলেটটির ফ্লোর অপারেশন ম্যানেজার নাইমুল ইসলাম শাওন বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত পণ্যে ছাড় আছে। যেমন একটি পণ্য কিনলে তার সঙ্গে অন্যটি বা দুইটি কিনলে একটি ফ্রি এরকম ছাড় চলমান। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের সাড়া ভালো। যতই দিন যাচ্ছে ততই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি আমরা। এ ধারা যাতে অব্যাহত সেজন্য সর্বাক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ক্রেতাদের মানসম্মত সেবা দেওয়া।’
জানা গেছে, গত ৬ মার্চ আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং পরিচালক ইয়াশা সোবহান।
সম্পর্কিত খবর

ফের ঢাকা আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল
অনলাইন ডেস্ক

চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে। অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় এটি দ্বিতীয় সফর হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পায়। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

এপ্রিলেও জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত
অনলাইন ডেস্ক

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। চলতি মার্চ মাসের নির্ধারিত দামই থাকছে এ মাসে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম জানুয়ারির তুলনায় লিটারে এক টাকা বেড়েছিল।
আজ সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখার কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য বিদ্যমান মূল্য কাঠামো অনুযায়ী ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫.০০ টাকা, কেরোসিন ১০৫.০০ টাকা, অকটেন ১২৬.০০ টাকা এবং পেট্রল ১২২.০০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল হতে এ মূল্য কার্যকর হবে।

বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
বাণিজ্য ডেস্ক

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ১০০ মার্কিন ডলারের ওপর উঠেছে প্রতি আউন্স সোনার দাম। এর প্রভাবে দেশের বাজারেও বাড়তে পারে দাম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববাজারে স্পট সোনার দাম প্রতি আউন্স রেকর্ড ৩ হাজার ১০৬ দশমিক ৫০ ডলারে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ বছর সোনার দাম ১৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সোনার দাম প্রথমবারের মতো তিন হাজার ডলার ছাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হলো অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে বাড়তি উদ্বেগের প্রতিফলন।
ওসিবিসির বিশ্লেষকরা বলেছেন, বর্তমানে, ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ এবং শুল্কের অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে সোনার নিরাপদ আশ্রয় এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে আবেদন আরও শক্তিশালী হয়েছে।
গোল্ডম্যান স্যাশ, ব্যাংক অব আমেরিকা এবং ইউবিএস এ মাসে সোনার দামের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাশ পূর্বাভাস দিয়েছে, সোনার দাম বছরের শেষ নাগাদ ৩ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছাবে। তাদের আগের পূর্বাভাসে এর পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ ডলার বলা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকে রক্ষা এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে মধ্যে আমদানি করা গাড়ি এবং অটো যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে সব ধরনের আমদানিতে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি আগামী ২ এপ্রিল নতুন পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
মেরেক্সের পরামর্শক এডওয়ার্ড মেইর বলেন, শুল্কের বিষয়গুলো সোনার দামকে আরও বাড়াতে থাকবে, যতক্ষণ না টিট-ফর-ট্যাট অভিযানের কোনো সমাপ্তি আসে।

বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন
অনলাইন ডেস্ক

ঈদকে কেন্দ্র পরিবরের জন্য বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে চলতি মার্চ মাসের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে এসেছে।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ।