রংপুর সিটি করপোরেশন

বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রধান নির্বাহীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মচারীরা

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রধান নির্বাহীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মচারীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

বেতন-বোনাসের দাবিতে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন নগর ভবনের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা। এ কারণে শিশুদের টিকা, নাগরিকত্ব সনদ দেওয়াসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে নগর ভবনের ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা প্রধান ফটক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন।

এ সময় অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা। পরে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে অফিস থেকে চলে যান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। 

এদিকে, বেলা ১২ টার দিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

কিন্তু দাবি আদায়ে অনড় কর্মচারীরা।

নগরভবনের কর্মচারীরা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৩ তারিখের আগে বেতন বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেন নি। এ কারণে সকাল থেকে সব ধরনের সেবা বন্ধ করে নগর ভবনে বিক্ষোভ করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

হঠাৎ করেই কর্মচারীদের এমন আন্দোলন দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষজন। নগরীর মাহিগঞ্জ থেকে আসা চৈতি বলেন, ২ মাসের বাচ্চাকে টিকা দিতে এসে দেখি আন্দোলন। গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই পারিনি। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছি।’

নগর ভবনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

তাদেরকে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খুলনায় কোটি টাকা চাঁদা দাবি, ফাঁদ পেতে ধরা হলো তিনজন

    * জিম্মিদশা থেকে ব্যবসায়ী উদ্ধার
খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় কোটি টাকা চাঁদা দাবি, ফাঁদ পেতে ধরা হলো তিনজন
ছবি: কালের কণ্ঠ

এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েক নেতা পরিচয়ে। জিম্মিদশা থেকে ব্যবসায়ীকে মুক্ত করতে পরিবারের সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা যোগাড় করার প্রতিশ্রুতিতে টাকা আনতে গিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়লেন চক্রের তিন সদস্য। তবে তিনজনের মধ্যে একজনের নাম পাওয়া গেছে। যার নাম ইমন মোল্লা।

তিনি নগরীর বসুপাপাড়া এতিমখানা রোডের বাসিন্দা আজগর মোল্লার ছেলে। 

শনিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন দরগা রোডে এ ঘটনাটি ঘটে। ধৃত তিনজনকে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এজন্য বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর আলম।

এদিকে, ফাঁদ পাতা হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন থেকে জানা গেছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা পরিচয়ে জিম্মি করা ব্যবসায়ীর ছেলের মোবাইলে রিং দিয়ে এক কোটি (কোটি উল্লেখ না করে শুধুমাত্র এক উচ্চারণ করা হয়) টাকা চাঁদা দাবি করে বলা হয়, ‘শোনো আমি বলি তোমাকে, গতকালতো তোমাকে একটা কথা আমি বলে আসছিলাম তাইনা? আমি একের কথা বলছিলাম। এ ঘটনা তো আমি ঘটাইনি। নিশ্চয়ই এর ওপরে আরো কেউ না কেউ আছে। এটাতো বোঝো তোমরা।

বা কারোনা কারো সিদ্ধান্তে এটা হচ্ছে। এটা যদি না বোঝো তাহলে তো বোকামি হবে। ঢাকার লোকজন এর সঙ্গে ইনভল্ভ। এখন আমি বলি, গতকালকে আমি তোমাকে বলে আসছি হার্ডভাবে যে, একের নিচে এখানে কোনো সমাধান হবে না। তারপরেও আজকে তোমাদের সার্বিক অবস্থা দেখে আমি ফাইট দিয়েছি, কথা বলেছি, আমি আমার জায়গা থেকে ফাইট দিয়ে বলেছি এক কোনোভাবে সম্ভব না।
ফিফটি দিতে হবে।’ 

এভাবে ছয় মিনিট ৫০ সেকেন্ডের কথায় চাঁদাবাজির পুরো চিত্র ফুটে উঠে। ওই চক্রের সঙ্গে ৩০ জন সদস্য রয়েছে বলেও কথোপকথনে বেরিয়ে আসে। রাতে টাকা নেওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান চক্রের তিনজন। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশপাশে অবস্থান করে হাতে-নাতে ওই তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের নিয়ে জিম্মি থেকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

তবে সর্বশেষ জানা গেছে, অপহরণ করা ওই ব্যবসায়ীর নাম নুর আলম (৫৬) এবং তিনি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কেএমপির লবণচরা থানাধীন দরগা রোডে বসবাস করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়।

এদিকে, অপর একটি সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় খুলনা মহানগর যুবদল নেতা মাহবুব হাসান পিয়ারুকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অপরাধী চক্রের মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করে এর সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
জোবায়ের হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জোবায়ের হোসেন (৩৫) নামে এক ইট-বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের গোলামবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোবায়েরের বাবার নাম মৃত মীর হাবিবুর রহমান। গোলামবাজার মজিদপাড়ায় তাদের বাড়ি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোালামবাজারে নিজ ইট-বালুর গদিতে বসা ছিলেন জোবায়ের। দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোবহান ঢালীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক ধারাল অস্ত্র নিয়ে গদিতে হামলা করে। এসময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে জোবায়ের। হামলাকারীরা পেছন পেছন দৌড়ে জোবায়েরকে কোপাতে থাকে।

একপর্যায়ে সে পার্শ্ববর্তী মরিয়মের চায়ের দোকানে ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানায়। হামলাকারীরা সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে দোকানের বাইরে এনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে জোবায়েরের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে জোবায়েরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, গোলামবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে থানা শুভাঢ্যা ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা ফারুক ও জনৈক স্থানীয় সেন্টুর মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই জমি সেন্টু দেখভাল করতে জোবায়েরকে দায়িত্ব দেয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি মোল্লা ফারুক। তার ইশারায় সোবহান ঢালীর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।

জানা যায়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের মদদপুষ্ট হয়ে শুভাঢ্যার ত্রাস হয়ে উঠে যুবলীগ নেতা সোবহান ঢালী ও তাঁতী লীগ সভাপতি মোল্লা ফারুক।

ওই সময় জমি দখল, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তারা। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মোল্লা ফারুকের বিএনপিতে যোগ দিলে তার সঙ্গে যোগ দেন সোবাহান ঢালী। এ সময় মোল্লা ফারুকের অন্যতম ক্যাডার হয়ে উঠেন সোবহান ঢালী। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সোবাহান ঢালীর নামে রয়েছে একাধিক মামলা।

এদিকে ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে নিহত জোবায়েরের স্বজনরা লাশ নিয়ে হাসপাতালে থাকায় এবং মোল্লা ফারুকের মোবাইল ফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দক্ষিণ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। 

মন্তব্য

মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীর ৭৮ লাখ টাকা ছিনতাই

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীর ৭৮ লাখ টাকা ছিনতাই
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছিনতাইকারীরা গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় গোড়াই-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার বিন্দারামপুর গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে পিয়ারোল, একই এলাকার লিটন মিয়া, মনিরুল ও জেবেল মিয়া।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কাইতলা গরু হাট অন্যতম বৃহৎ হাট।

প্রতি শনিবার এ হাটে পশু কেনাবচা হয়। এই হাটে মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পশু ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু, ছাগল, মহিষ, উটসহ বিভিন্ন পশু আমদানি হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরাও ওই হাটে পশু নিয়ে আসেন। 

শনিবার সাপ্তাহিক হাটে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রি করে সন্ধ্যায় টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে হাট থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন।

পথিমধ্যে হাট থেকে আনুমানিক ৭/৮ কিলোমিটার দূরে নয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাসে ছিনতাইকারীরা ব্যবসায়ীদের প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। পরে ডাকাতরা প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সঙ্গে থাকা ৭৮ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নেয়। এর পর তারা খাটিয়ারহাট সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায় বলে গরু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।

খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, মির্জাপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী ও মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন, টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যান।

পরে তারা এ ব্যাপারে গরু ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন।

গরু ব্যবসায়ী পিয়ারোল বলেন, ‘ডাকাতরা গুলি ছুড়লে আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের ৭৮ লাখ টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। 

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন।

মির্জাপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী বলেন, মির্জাপুর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন।

দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য

মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শেয়ার
মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশ পাড়ায় নাবালক ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা কে এম রিন্টু (৫২) নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। নিহত রিন্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার মৃত কাজী নূর মোস্তফার ছেলে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, মোবাইল আসক্ত ছেলে কে এম রিফাতকে (১৭) মোবাইল ফোনে গেমস খেলতে বাধা দেওয়ায় রিফাত ক্ষুব্ধ হয় এবং শনিবার রাতে এশার নামাজরত অবস্থায় রিফাত তার বাবাকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত রিন্টুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ পলাশ পাড়ায় রিন্টুর বাড়িতে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ