ময়মনসিংহ

ডিজি আজাদের অপসারণের দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
শেয়ার
ডিজি আজাদের অপসারণের দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কার্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

টানা ৭ দিনের মতো আজও ময়মনসিংহের বিনা (বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) কার্যালয়ের প্রথম ফটকে অবস্থান নিয়ে ডিজি ড. আবুল কালাম আজাদের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ডিজিকে আওয়ামী দোসর উল্লেখ করে অবিলম্বে অপসারণ করার দাবি জানান। 

এতে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা কৃষিবিদ আব্দুর রশিদ, ময়মনসিংহ মহানগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম, জে যুবদলের কোষাধ্যক্ষ রিপন আহমেদ নিপু, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আকন্দ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক মাসুদ, সহপ্রচার সম্পাদক আলম, সহদপ্তর সম্পাদক ফারুক, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক লিটন, কোতোয়ালি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল প্রমুখ। 

সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের দুই সদস্য।

অভিযোগ উঠেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ খোদ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। 

চাকরি পাওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সিয়াম হোসাইন আলী।

তিনি ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। 

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী বিনার ডিজি আবুল কালাম আজাদ প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রলীগ পুনর্বাসন করছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় তিনি ২৯ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে জ্যেষ্ঠ্যতা পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। ওই ২৯ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার মধ্যে প্রায় ১০ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী ও সক্রিয় নেতাকর্মী।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দাউদকান্দিতে চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

দাউদকান্দি(কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দাউদকান্দি(কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
দাউদকান্দিতে চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে খাবারের লোভ দেখিয়ে আট বছর বয়সী চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শরীফ হোসেন (৪২) নামের এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তার মো. শরীফ হোসেন উপজেলার মোহাম্মদুপর ইউনিয়নের মলয় গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে।


স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মলয় গ্রামের মুদি দোকানদার মো. শরীফ হোসেনের দোকানে আট বছর বয়সি শিশু খাবার কিনতে গেলে তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে শরীফ । পরে শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা দোকানে আসলে শিশুটিকে দোকানে রেখে পালিয়ে যান সে। পরে স্বজনরা শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে রেফার্ড করেন।


দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়টি জানতে শিশুটির চাচাতো ভাই মুদি দোকানদার মো. শরীফ হোসেনকে আটক করা হয়।

শিশুটি ও তার আত্মীয়-স্বজন ঢাকায় থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেনি। তাকে ১৬৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ড সরিয়ে নিলেন সেই বিএনপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ড সরিয়ে নিলেন সেই বিএনপি নেতা
সংগৃহীত ছবি

ঈদ আসছে। তাই নেতাদের ছবির পাশাপাশি নিজের বিশাল ছবি টানিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতা। কিন্তু দৃষ্টিপথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় একটি গাছ। শেষে বিলবোর্ডটি পথচারীদের দৃষ্টিগোচর করতে গাছটির সব ডাল কেটে দিয়েছেন তিনি।

এ নিয়ে শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ওই রাতে বিলবোর্ডটি সরিয়ে নেন বিএনপি নেতা মো. আমির হোসেন। 

এর আগে গাছের ডাল কাটার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় নেতাকর্মীদের এ ধরণের বিলবোর্ড অপসারণ করার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

আরো পড়ুন
গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!

গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!

 

এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সেই ভিডিও বার্তায় ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সিলেটের সর্বস্তরের আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আকুল আবেদন, সিলেট শহরকে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে দেখতে চাই। আমরা এমন কিছু করতে পারি না যেটা বিগত পতিত স্বৈরশাসকদের কাজ ছিল।

যার মাধ্যমে তারা জনগণের মধ্যে বিরক্তি ও বিতৃষ্ণা তৈরি করেছেন। আজ ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যেভাবে সারা শহরে আমার ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড টানানো হয়েছে এটি অত্যান্ত দৃষ্টিকটু এবং শহরের পরিচ্ছন্নতার হানি ঘটিয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে পতিত স্বৈরাচার বিদায়ের পরে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন এবং জনমতের প্রতি সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা প্রর্দশন করেছেন, তার সেই নির্দেশ এবং চর্চার প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে জনমতের প্রতি সম্মান রেখে দ্রুত আমার ছবি সম্বলিত ব্যানার বিলবোর্ডগুলো অপসারণ করে ফেলুন এবং নগরীর পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করুন। আপনারা যারা দ্রুত এই অনুরোধটি বাস্তবায়ন করবেন তাদের প্রতি আমার অগ্রিম কৃতজ্ঞতা।

খন্দকার মুক্তাদিরের এই ভিডিও বার্তার পর রাতেই নগরের নয়াসড়কসহ অনেক স্থানে নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ করতে দেখা গেছে। 

এর আগে সিলেট নগরের পনিটুলা ও মদিনা মার্কেট পয়েন্টের মধ্যবর্তী হোটেল গ্র্যান্ড আক্তারের সামনের সড়ক বিভাজনে ঈদ শুভেচ্ছা সম্বলিত বিলবোর্ড লাগান সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মো. আমির হোসেন। পরে সামনে থাকা গাছের কারণে ঈদ শুভেচ্ছার বিলবোর্ড দৃষ্টিগোচর হতে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হলে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাছের সব ডাল কেটে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইনে ‘গাছের উপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। 

আরো পড়ুন
জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার

জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার

 

এ ঘটনায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।

রাত ১২টা ১৯ মিনিটে ভিডিও বার্তায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির দলের নেতাকর্মীদের ঈদ শুভেচ্ছা সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণের আহ্বান জানান। 
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘গাঙে মাছ নাই, হাতে টাহা নাই—কিয়ের ঈদ’

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘গাঙে মাছ নাই, হাতে টাহা নাই—কিয়ের ঈদ’
ছবি: কালের কণ্ঠ

নদীর কিনারে সারি সারি নৌকা, তারই একটিতে বসে আছেন ঝুমুর বেগম। ছোট্ট শিশু মুন্নি নায়ের নৌকার বৈঠায় হাত রেখে আনমনা চোখে তাকিয়ে রয়েছে। চোখের সামনে শান্ত নদী। কিন্তু বুকের ভেতর কষ্ট।

ঝলমলে আকাশে খাঁ খাঁ রোদ্দুর। বাজারে ঈদের আমেজ। কিন্তু তাদের ভাসমান এই জীবনে সেই আমেজের ছিটেফোঁটাও নেই। 

‘গাঙে মাছ নাই, হাতে টাহা (টাকা) নাই।

গরীবগো (গরীব) আবার কিয়ের (কিসের) ঈদ—এই কথাই আক্ষেপের সুরে বেড়িয়ে এলো ঝুমুর বেগমের মুখ থেকে। তার স্বামী শহীদ হাওলাদার চুপচাপ নৌকার ছইয়ে শুয়ে আছেন। নদীতে মাছ ধরে সংসার চলত, এখন নদী যেন অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নদীতে তেমন মাছ নেই, যা পাওয়া যায় তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলাই দায়।

আরো পড়ুন
বাসে উঠে যাত্রীদের খোঁজখবর নিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাসে উঠে যাত্রীদের খোঁজখবর নিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 


 
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ঘেঁষা বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে মান্তা পল্লীতে থাকেন ঝুমুর-শহীদ দম্পতি। ঝুমুর বেগমের পাশের নৌকাটি সোহেল ভূঁইয়ার। তার নৌকায় তাকাতেই আরেক দৃশ্য। ছোট্ট মেয়ে জমেলা নৌকার সামনেই বসা। তীরের শিশুদের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরেক বোন মিমিলা নৌকার পেছনের দিকে বসা। নৌকার কাছে যেতেই সোহেল বললেন, ‘নদীতে মাছ নাই। অনেক কষ্টে ধারদেনা করে বাচ্চার পোশাক কিনেছি। নিজেরা অহনও (এখনও) লই নাই।  বাজারে গেছিলাম দুই জনার কাপর চোপর কিনতে,  দাম কইল দুই হাজার টাকার বেশি। এত টাকা কই পাবো?’ হতাশ কণ্ঠে বলেন তিনি।

এই হতাশার গল্প শুধু এই দুই পরিবারেরই নয়। ঈদকে সামনে রেখে মান্তা পল্লীর অধিকাংশ পরিবারের উৎসবের গল্পে এমন করুণ সুর বাজছে। মান্তা সম্প্রদায়ের লোকজনের ভাষ্যমতে, গাঙে (নদীতে) তেমন মাছ নেই, ঈদের আনন্দ নেই। ঈদ মানেই তাদের কাছে শুধুই বিলাসিতা। নদীই মান্তা সম্প্রদায়ের জীবন। কিন্তু এবার ঈদের আগে সেই নদীর বুকে নৌকাগুলোতে কেবল হতাশা আর দারিদ্রের ছাপ।

আরো পড়ুন
জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার

জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার

 

ঝুমুর বেগমের মতো মায়েরা সন্তানদের নতুন জামা দিতে পারেননি, পুরনো কাপড় ধুয়ে ঈদের দিন কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোহেল মাঝির মতো বাবারা ঈদের বাজারে গিয়ে সন্তানের জন্য কিছু কিনলেও নিজেদের জন্য কিনতে পারেননি। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরে এসেছেন শূন্য হাতে। শহীদ হাওলাদারের মতো জেলেরা কাজ হারিয়ে নৌকার ছইয়ে শুয়ে থাকেন। দিন পার করেন দুশ্চিন্তায়। গ্রামের বাজারে ঈদের বাজার জমজমাট। কিন্তু মান্তা পল্লীতে নেই কোনো খুশির ঝলকানি। নেই ভালো খাবার, নেই নতুন পোশাকের তেমন আয়োজন। ঈদের চাঁদ উঠলেও হয়তো তাদের ঘরে আলো আসবে। 

মান্তা সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, তাদের ঈদ নির্ভর করে নদীতে ভাসা মাছের ওপর। শেষ মুহূর্তে যদি ভাল মাছ ধরা পরে তবেই হবে ঈদ। আর মাছ না পেলে এবারের ঈদের আনন্দ আধরাই থেকে যাবে তাদের জীবনে। এ বিষয়ে কথা হয় মান্তা শিশুদের পড়াশোনা করানো শিশু বাগান স্কুলের শিক্ষক আইয়ুব খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে নতুন দিনের স্বপ্ন। কিন্তু মান্তা সম্প্রদায়ের কাছে ঈদ মানে শুধুই আরেকটি দিন, যেখানে নতুন পোশাক বা ভালো খাবারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাগ্যের সহায়তা।’ 

ভাগ্যের এই খেলায় তারা বড্ড অসহায়, তবুও আশায় বুক বাঁধে—হয়তো এবার  ঈদের দিনটি একটু আলাদা হবে মান্তা সম্প্রদায়ের জীবনে। শেষ মুহূর্তে ভাল মাছ মিললেই শিশুদের জন্য আসতে পারে নতুন জামা, পরিবারগুলোর পাতে উঠতে পারে একটু ভাল খাবার। ঈদের দিনে নদীর জলেও প্রতিফলিত হতে পারে তাদের হাসির ঝিলিক। 

মান্তা শিশুদের শিশুদের শিশুবাগান বিদ্যালয়ের শিক্ষক আইয়ুব খান বলেন- মান্তা সম্প্রদায় শতভাগ মুসলমান হওয়া সত্তে¡ও তাদের ঈদ একটা বিলাসিতা মাত্র। আসলে এই সম্প্রদায়ের যারা ঢাঙ্গা এবং জলে ভাসমান অবস্থায় যারা  রয়েছেন তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইচ্ছে হয়। তবে যারা জলে ভাসমান রয়েছে তারা ঈদের নামাজ শেষে আবার নৌকায় ফিরে যায়। আসলে তাদের যাওয়ার তেমন কোন জায়গা নেই। চলতি সময়ে নদীতে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না । ফলে তাদের অধিকাংশ পরিবার ঈদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

আরো পড়ুন
ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় রাস্তায় সন্তানের জন্ম : ভিডিও

ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় রাস্তায় সন্তানের জন্ম : ভিডিও

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, ‘মান্তা সম্প্রদায়ের জীবনসংগ্রাম সম্পর্কে আমরা সচেতন। সরকার ও প্রশাসন তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। ঈদ যেন সবার জন্য আনন্দ নিয়ে আসে, সে জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। মান্তা পল্লীর জেলেদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবো। 

তিনি আরও বলেন, নদীই তাদের জীবন, তাই টেকসই সমাধানের জন্য নদী ও জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে ওই সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তাদের শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও আমাদের লক্ষ্য। ঈদের আনন্দ সবার কাছে পৌঁছে দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছি, ভবিষ্যতেও নেব।’

মন্তব্য

জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন শান্তিধাম মোড়ের জাতিসংঘ পার্ক থেকে বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে র‌্যাবের একটি বিশেষজ্ঞ টিম।

খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে জাতিসংঘ পার্কের অফিসসংলগ্ন গাছপালার মধ্যে লাল রঙের টেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি বস্তু দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে বস্তু তিনটি উদ্ধার করেন।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ পার্কে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ দিনব্যাপী ঈদ মেলার প্রস্তুতি চলছে।

সেখানে মেলার জন্য বিভিন্ন খেলনাসামগ্রীও স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সেখানে কে বা কারা ওই বোমা সদৃশ বস্তুগুলো রাখল সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

আরো পড়ুন
খুলনায় যুবলীগ নেতা বিপ্লব গ্রেপ্তার

খুলনায় যুবলীগ নেতা বিপ্লব গ্রেপ্তার

 
প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ