পিরোজপুরে একই পরিবারের ৮ জনকে অচেতন করে চুরি

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
পিরোজপুরে একই পরিবারের ৮ জনকে অচেতন করে চুরি
ফাইল ছবি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শিশুসহ একই পরিবারের ৮ জনকে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় আটজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অচেতন ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বেপারি (৬০), আনোয়ারা বেগম (৫০), বাহাউদ্দীন হোসাইন বেপারি (২৫), নাজমুন্নাহার বেগম (২৮), রিফাত ফরাজী (৬), সেকেন্দার আলী মোল্লা (৭৫) এবং রেদোয়ান ইসলাম (১৪)।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

এরপর মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা ৪৫-এর দিকে তারা সবাই সাহরির খেতে ঘুম থেকে ওঠে। এ সময় পরিবারের একজন বাদে সবাই সাহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভুক্তভোগীদের বাড়িতে বেড়াতে আসা সেকেন্দার আলীও সাহরি করে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। এ সময় রাস্তায় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সেহরি না করা সদস্য ঘুম থেকে উঠে সবাইকে অচেতন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরঞ্জিত সাহা বলেন, তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে তাদের অচেতন করা হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হাঁস ফসলি জমিতে যাওয়া দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
হাঁস ফসলি জমিতে যাওয়া দুইপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফসলি জমিতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের গুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

পূর্ব বিরোধের জের ধরেই এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় বিশ দিন আগে ওই এলাকার রোশেনা বেগমের কয়েকটি রাজহাঁস জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হন জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করেন। এর দুই দিন পর রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করে।

এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুইপক্ষ আপোষে রাজি হয়। সামাজিক আপোষ হলেও বিষয়টি মামলায় গড়ায়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলে টানা দুই ঘণ্টা।

এ বিষয়ে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ফোন করা হলে তিনি না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঈদ আসছে। তাই নেতাদের ছবির পাশাপাশি নিজের বিশাল ছবি টানিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা। কিন্তু দৃষ্টিপথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় একটি গাছ। শেষে বিলবোর্ডটি পথচারীদের দৃষ্টিগোচর করতে গাছটির সব ডাল কেটে দিয়েছেন তিনি।

এমন অভিযোগ মিলেছে সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ও সিলেট মহানগর বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আমির হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরের পনিটুলা-মদিনা মার্কেট পয়েন্টের মধ্যখানের রোড ডিভাইডারে এ ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন
এখনও আ. লীগের কোনো নেতার মামলার চার্জশিট হয়নি : উমামা ফাতেমা

এখনও আ. লীগের কোনো নেতার মামলার চার্জশিট হয়নি : উমামা ফাতেমা

 

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন কবির আহমদ জানান, ‘মধ্য রাতে রাস্তার পাশে আমরা চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় দেখতে পাই পনিটুলা ও মদিনা মার্কেট পয়েন্টের মধ্যবর্তী হোটেল গ্র্যান্ড আক্তারের সামনের সড়ক বিভাজনে একটি বড় গাছের ডাল কাটছেন এক ব্যক্তি।

আরো কয়েকজন নিচে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম সিটি করপোরেশন বা বিদ্যুৎ বিভাগের কেউ ডাল কাটছেন। পরে তাদের আচরণ দেখে সন্দেহ হলে এগিয়ে দিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিলবোর্ডে ঈদ শুভেচ্ছা গাছের আড়ালে ডাকা পড়ে গেছে দেখা যাচ্ছে না। তাই ডালগুলো ছেটে দিচ্ছেন।
সিসিকের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান। এরপর তারা আরো সাতটি গাছের ডালপালা কেটে ছেঁটে ফেলেন।’

শুধু মদিনা মার্কেট এলাকায়ই নয়, নগরের বিভিন্ন স্থানে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে পোস্টার লাগাতে গিয়ে গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে। অভিজ্ঞতা ছাড়া সাধারণ শ্রমিক দিয়ে এভাবে গাছের ডাল কাটার ফলে বৃক্ষের সহজাত বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলবোর্ডে পাঞ্জাবি পড়া মো. আমির হোসেনের বড়সড় ছবি দেওয়া আছে।

তার ঠিক পেছনে উপরের দিকে বায়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ছবি। ডানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি বড় ছবি। এর উপরে ছোট করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি। 

বিলবোর্ডে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমির হোসেন লিখেছেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৯নং ওয়ার্ডসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সর্বস্তরের জনসাধারণকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’

তবে গাছের ডাল কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিলবোর্ডের জন্য গাছের ডাল কাটা হয়েছে এমন অভিযোগ সত্য নয়। রোড ডিভাইডারের গাছগুলোর ডাল বড় হয়ে অনেক সময় বড় ট্রাক, ভার্সিটির দোতলা বাসের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে। সে কারণে যে কেউ এটি কাটতে পারেন। সিটি করপোরেশন আবার বিদ্যুৎ বিভাগও অনেক সময় গাছের ডাল কেটে দেয়। অন্য কেউও অসুবিধার কথা চিন্তা করে কাটতে পারেন।’ 

যারা কেটেছেন তারাই বলেছেন বিলবোর্ডে ঈদ শুভেচ্ছা দেখা না যাওয়ায় কাটা হয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা বলেছে তারা ফাউল। আমি কোনো ডাল কাটাইনি। অন্য কেউ কাটিয়েছেন।’

নগর কর্তৃপক্ষ গাছ কাটায়নি নিশ্চিত করে সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন, ‘বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করলে সিটি করপোরেশন অনুমোদন দেয়। তবে গাছ কাটার অনুমোদন কখনই দেয় না। কারণ গাছা কাটার অনুমতি দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।’ 

বিজ্ঞাপন দেখা না যাওয়ায় গাছের ডাল কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

শরণখোলায় সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় কোরাল বিক্রি

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
শরণখোলায় সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় কোরাল বিক্রি
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাগেরহাটের শরণখোলায় ২১ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) খুড়িয়াখালী বাজারে মাছটি সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ী মো. রাসেল আহমেদ জানান, বনের কটকা এলাকা থেকে আ. হালিম নামের এক জেলে জাল পেতে মাছটি ধরেন। পরে খুড়িয়াখালী বাজারের মুকুল নামের এক মৎস্য আড়তদার এক হাজার ১৯০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার টাকায় মাছটি ক্রয় করেন।

 

আরো পড়ুন
দুধ গরম করতে গেলে উথলে পড়ে? যেভাবে সামলাবেন

দুধ গরম করতে গেলে উথলে পড়ে? যেভাবে সামলাবেন

আড়তদার মুকুল জানান, কোরাল মাছটি তিনি ২৭ হাজার ৫০০ টাকায় স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। এতে তার আড়াই হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এতো বড় কোরাল সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় মাছের চাহিদা থাকায় দাম বেশি হলেও বিক্রি করতে কোনো সমস্যা হয় না।

 

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. ফারুক আহমেদ জানান, বছরের তিন মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। যে কারণে নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। 

আরো পড়ুন
‘এক পরিবারের স্বার্থে আটকে যাবে না দেশের সংস্কার’

‘এক পরিবারের স্বার্থে আটকে যাবে না দেশের সংস্কার’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অপরাধ রোধে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
অপরাধ রোধে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার
সংগৃহীত ছবি

ঈদকে কেন্দ্র করে চুরি, ছিনতাই ও  বিভিন্ন অপরাধ রোধে মাধবপুরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অপরাধ ঠেকাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার। বাস টার্মিনাল, হাট-বাজারে বিভিন্ন এলাকায় থাকবে পুলিশের কড়া নজরদারি।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মাধবপুর থানা থেকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একটি মোটরসাইকেল মহড়া বের করা হয়।

উপজেলা সদর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুলিশের উপস্থিতি জানান দেন।

আরো পড়ুন
আমরা এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরে পাইনি : মির্জা ফখরুল

আমরা এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরে পাইনি : মির্জা ফখরুল

 

ইতোমধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও মাধবপুর উপজেলা সদরে দুটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারের চৌকি থেকে মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করা হবে। শুক্রবার বিকালে ওয়াচ টাওয়ারের উদ্বোধন করা হয়।

ওসি জানান, ইতোমধ্যে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন বিপণিবিতান, হাট-বাজার, সড়কের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে স্পর্শকাতর স্থান, সড়ক, স্থাপনা, বিপণিবিতান, বাসস্ট্যান্ড, পুলিশ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ছিনতাইকারী, ডাকাত, অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যদের ধরতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম সক্রিয় রয়েছে। এখন পর্যন্ত মাধবপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ