পিরোজপুরে নির্মীয়মাণ সদর মডেল মসজিদের ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি, হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর এবং টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার মুসাব্বির মাহমুদ সানি (৩২) পিরোজপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মাছিমপুর এলাকার মো. কিসলুর ছেলে। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির পিরোজপুরের ১ নম্বর সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
এ ঘটনায় নির্মীয়মাণ মসজিদের সাইট ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুর পৌরসভার পেছনে নির্মীয়মাণ মডেল মসজিদের ক্যাম্পাসে হামলা, ঠিকাদারের অফিস ভাঙচুর, মারধর এবং সেখান থেকে পাঁচ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুসাব্বির মাহমুদ সানির বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় তিনজন এজাহারভুক্ত এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলশ সুপার মো. মুকিত হাসান বলেন, দুই দিন আগে সানিসহ তাঁর দলের লোকজন শহরতলির বলেশ্বর ব্রিজ টোলঘর এবং মডেল মসজিদ নির্মাণ ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করে।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদা না পেয়ে তারা বলেশ্বর টোল অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং পরে পিরোজপুর পৌরসভার পেছনে মডেল মসজিদ নির্মাণকাজের ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানের অফিস ভাঙচুর করে পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সানিসহ তিনজনের নামে মামলা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই মামলায় সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরা যাচাই-বাছাই করে দেখে যদি সত্যতা পাই, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আবদুস সোবাহান বলেন, ‘মুসাব্বির মাহমুদ সানির বিরুদ্ধে ভাঙচুর, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে এবং মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া পিরোজপুর বলেশ্বর ব্রিজ টোল প্লাজায় অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি।
তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’