বহুদিন বাদে ব্যস্ত এফডিসি। এদিন এফডিসিতে ছিলেন শাকিব খান। শুটিঙে ছিল বেশ কয়েকটি দলও। এর মধ্যে শুটিং করছেন ইমন, নিরব ও জনপ্রিয় মডেল পিয়া জান্নাতুল।
নবাব, আব্বাস, আকবর; এক ক্যামেরায়
অনলাইন ডেস্ক

প্রযোজক সমিতির সামনে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করেন নিরব ইমন। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পর একসঙ্গে বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন ইমন-নিরব। মজার বিষয় হলো, এই বিজ্ঞাপনে নিরবকে দেখা যাবে তাঁর মুক্তি পাওয়া আলোচিত ছবি 'আব্বাস'-এর লুকে। আর ইমনকে দেখা যাবে তাঁর মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি 'আকবর'-এর লুকে।
দিনব্যাপী শুটিংয়ের পর আব্বাস ও আকবরের সঙ্গে সন্ধ্যায় দেখা হয় নবাবের। কারণ এফডিসিতে শাকিব খান তাঁর নবাব এলএলবির শুটিং করতে বিকেলে হাজির হন।
চিত্রনায়ক শাকিব খানের নবাব এলএলবির সেটে নিরব-ইমনকে আব্বাস ও আকবরের লুকে দেখে খুশি হন তিনি। তিনি জানান, এই লুক দারুণ পছন্দ হয়েছে তাঁর। পরামর্শ দেন এই লুকে দুজনকে কোনো ছবিতে অভিনয় করার। এ সময় নবাবের সঙ্গে আকবর ও আব্বাসের ফটোসেশন হয়।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই করোনাকালে শুটিং শুরু হওয়ায় এফডিসির চিত্রটা পাল্টে গেছে।
সম্পর্কিত খবর

পরকীয়া বন্ধে যে আইন করতে চান অপু বিশ্বাস
বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সাংসারিক ও দায়িত্ববান হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক একজন মানুষ হিসেবেই খ্যাতি রয়েছে অপুর। সমাজবিরোধী যেকোনো কাজেরই তিনি ঘোর বিরোধী।
এবার ঈদ-পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে আবারও পরকীয়া নিয়ে ক্ষোভের কথা শোনা গেল অপুর কণ্ঠে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে র্যাপিড ফায়ার নামে এক সেগমেন্টে অংশ নেন অপু।
সঞ্চালক অপু বিশ্বাসের কাছে জানতে চান, আপনাকে সুপার পাওয়ার দেওয়া হলে কী করবেন? জবাবে এই নায়িকা বলেন, ‘পরকীয়াটা বন্ধ করব। এমন আইন জারি করব যে দশজনের সামনে পাথর নিক্ষেপ করে মারা হয়।’
এরপর অপুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, জীবনের কোন অভ্যাসটি পরিবর্তন করে ফেলতে চান তিনি।
বর্তমানে বড় পর্দা থেকে একটু দূরেই আছেন অপু বিশ্বাস। তেমন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধও হননি এ চিত্রনায়িকা। নিজের ব্যবসা, শোরুম উদ্বোধন ও ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে ব্যস্ত তিনি।

দুঃসময় কাটাতে বাজরাঙ্গির সিক্যুয়াল আনছেন সালমান খান
বিনোদন প্রতিবেদক

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বলিউড ভাইজান সালমান খানের। একের পর এক সিনেমা ব্যর্থ হচ্ছে বক্স অফিসে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিকান্দার ঘিরে ভক্তদের আকাশসমান প্রত্যাশা থাকলেও সিনেমাটি দর্শক হৃদয় জয় করতে পারেনি। করতে পারেনি ভালো ব্যবসাও।
তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখালেন ভাইজান। জানা গেল নতুন খবর।
এবার জানা গেল, এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসতে যাচ্ছেন বলিউড ‘সুলতান’।
সূত্রটি এবার জানিয়েছে, সালমান কয়েক দিন আগে বিজয়েন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আলোচনা চলছে সিনেমাটি নিয়ে।
ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল চিত্রনাট্যকার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তিনিই একমাত্র লেখক, যিনি ভারতে একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমায় অবদান রেখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘মাগাধীরা’, ‘বাহুবলী’ ফ্র্যাঞ্চাইজি, ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’, ‘আরআরআর’।

রাবা খান
অন্যের ডিরেকশনে কাজ করতে ভালো লাগে না
বিনোদন প্রতিবেদক

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি পেলেও রাবা খান একাধারে লেখক, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি সংগীতশিল্পী ও পরিচালক আরাফাত মহসিন নিধিকে বিয়ে করে নতুন জীবনে পা রেখেছেন। রাবার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
ঈদের শুভেচ্ছা, সেই সঙ্গে নতুন জীবনের জন্য অভিনন্দন...
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দুজনের পরিচয় ও পরিণয় নিয়ে নানা রকম গল্প শোনা যাচ্ছে। সত্যিটা আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই।
আসলে আরাফাত মহসিন নিধিকে বেশ আগে থেকেই চিনতাম। আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলাম, ও তখন গান তৈরি করত। তবে সরাসরি কথা বা দেখা-সাক্ষাৎ সেভাবে হয়নি। ২০২০ সালের কথা, নিধি একটা অ্যালবাম করার পরিকল্পনা করে।
বিয়ের সিদ্ধান্ত কি হঠাৎ করেই নেওয়া?
খানিকটা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া। আমাদের পরিবারের অনেকেই বিদেশে সেটেলড। শুধু ঈদের ছুটিতেই তাঁরা দেশে আসেন। আমাদের প্রেমের কথা আগে থেকেই পরিবার জানত। ফলে দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ঈদেই বিয়েটা সম্পন্ন করার। আমি আর নিধি পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বসে পড়লাম বিয়ের পিঁড়িতে।
হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন?
আর বলবেন না! একটুও সময় নেই। আমি পুরো ঈদেই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। নিধিও ‘বরবাদ’ আর ‘দাগি’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে। এখন একটু বিশ্রাম নিতে চাই আমরা। আগামী মাসে আমার জন্মদিন। ঠিক করেছি, তখন দেশের বাইরে যাব। তবে কিছুদিনের মধ্যে কক্সবাজারে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সেখানে আমাদের দুজনের অনেক স্মৃতি আছে। বিশেষ করে গানগুলোর চিত্রায়ণ করেছিলাম আমরা সেখানে।
নিধি সংগীতের মানুষ, আপনিও গান করেন মাঝেমধ্যে। এখন থেকে কি নিয়মিত গান করবেন?
দারুণ আইডিয়া দিলেন তো! এটা লুফে নিলাম। আমার মাথায় ছিল না গানটা নিয়মিত করার। নিধিকে আজই বলব আমার জন্য গান বানাতে। শিগগিরই আমাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম আসবে, ঘোষণা দিলাম।
মাত্র একটা নাটকে আপনাকে পাওয়া গেছে। আর কেন অভিনয় করছেন না?
আমরা যারা কনটেন্ট ক্রিয়েট করি তারা খুব স্বাধীনচেতা। নিজেদের মতো করেই কনটেন্ট তৈরি করি। অন্যদিকে নাটক বা টেলিছবিতে অন্যের ডিরেকশনে কাজ করতে হয়। এটা ভালো লাগে না। মোটকথা, উপভোগ করতে পারি না। দেখবেন বেশির ভাগ কনটেন্ট ক্রিয়েটর অভিনয় করতে চান না। তার কারণ এই একটাই।
নতুন কোনো খবর দেবেন?
একটা খবর তো দেওয়াই যায়। শিগগিরই আমাকে কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে দেখতে পাবেন। জনপ্রিয় এক ওটিটি প্লাটফরমের জন্য একটা ফিকশন লিখেছি। ‘খুব কাছের কেউ’ নামের ফিকশনটি পরিচালনা করেছে নিধি। অভিনয় কারা করেছে, কবে মুক্তি পাবে, সেটা চরকি থেকেই জানাবে।
নতুন কোনো গল্প-উপন্যাস আসবে?
আপাতত না। কারণ আমাকে এখন থেকে নিয়মিত ফিকশন রাইটার হিসেবেই পাবেন। লেখালেখিটা পর্দায় দেখতে চাই। ছোটবেলা থেকেই কিন্তু আমি লেখালেখির সঙ্গে ছিলাম। অনেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমাকে চিনলেও লেখালেখিটা আমার প্রধান সত্তা।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। নতুন কোনো দায়িত্ব পেয়েছেন?
গত বছর পর্যন্ত ইউনিসেফের সঙ্গে ছিলাম। ‘ইউনিসেফ ইয়ুথ’ প্রজেক্টে ২৪ বছর পর্যন্ত কাজ করা যায়। আমি এ বছর পঁচিশে পা দিয়েছি। ফলে প্রজেক্টটি থেকে সরে আসতে হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে সচেতনতামূলক কাজে সব সময় থাকার চেষ্টা করব।

স্মরণ
টেলি সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক

বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলি সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) দুপুরে অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। টেলি সামাদের আসল নাম আবদুস সামাদ।
তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন এই কৌতুক অভিনেতা। তার বড় ভাই চারুশিল্পী আবদুল হাই।
অভিনয়ে টেলি সামাদের হাতেখড়ি অল্প বয়সেই। মুন্সীগঞ্জে মঞ্চনাটক করতেন। মঞ্চের এই তুখোড় অভিনেতাকে টেলিভিশনে নিয়ে আসে মঞ্চের সামনে থাকা দর্শকদের করতালির শব্দ।
নজরুল ইসলাম পরিচালিত ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কার বউ’ সিনেমাতে অভিনয় করেন টেলি সামাদ।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে— ‘ভাত দে’, ‘রঙিন রূপবান’, ‘নতুন বউ’, ‘মাটির ঘর’, ‘নাগরদোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, অশিক্ষিত, কালা, জয় পরাজয়, গুণ্ডা , জব্বার, সুজন সখী, চাষীর মেয়ে, কুমারী মা, সাথী হারা নাগিন, মায়ের চোখ, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, রিকশাওয়ালার ছেলে, মন বসে না পড়ার টেবিলে, কাজের মানুষ, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি, কে আমি, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, মিস ললিতা ও জিরো ডিগ্রি।