জয়া আহসান মানেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড়। নেটিজেনদের মন্তব্যের বন্যা। সোমবার বিকেল শেষের সন্ধ্যাবেলা; সন্ধ্যাও তখন রাতের বুকে পড়েছে―এমনই ক্ষণে নিজের সাম্প্রতিক তোলা কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। আর এতেই নেটিজেনদের মাথা ঘুরে যায়।
শীতের রাতে উত্তাপ ছড়ালেন জয়া
বিনোদন প্রতিবেদক

অজস্র প্রতিক্রিয়া যুক্ত হতে থাকে। একই সঙ্গে মন্তব্যের ঘরে বাড়তে থাকে ভিড়। বর্ণিল মন্তব্যে ভরে ওঠে জয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাক্স। নেটিজেনরা ইতিবাচক-নেতিবাচক নানা কথা বলছেন।
আরেকজন প্রশংসা করে লিখলেন, ‘অসাধারণ সুন্দর লাগতাছে তোমাকে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘শীতের রাতে উত্তাপ ছড়ালেন কেন?’
অবশ্য জয়া এসব মন্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখান না। একেবারে নীরব ভূমিকা পালন করেন।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে এই নায়িকাকে যেমন মোহনীয় রূপে দেখা গেছে, তেমনি স্টাইলেও দেখা গেছে বৈচিত্র্য। যদিও নেটিজেনদের একাংশ ছবিগুলো দেখে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সমালোচকদের বেশির ভাগই জয়ার সংক্ষিপ্ত পোশাক নিয়ে কথা বলেছেন।
জয়া অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তিনি ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে বিলকিস বানুর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পান।
সম্পর্কিত খবর

রাবা খান
অন্যের ডিরেকশনে কাজ করতে ভালো লাগে না
বিনোদন প্রতিবেদক

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি পেলেও রাবা খান একাধারে লেখক, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি সংগীতশিল্পী ও পরিচালক আরাফাত মহসিন নিধিকে বিয়ে করে নতুন জীবনে পা রেখেছেন। রাবার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
ঈদের শুভেচ্ছা, সেই সঙ্গে নতুন জীবনের জন্য অভিনন্দন...
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দুজনের পরিচয় ও পরিণয় নিয়ে নানা রকম গল্প শোনা যাচ্ছে। সত্যিটা আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই।
আসলে আরাফাত মহসিন নিধিকে বেশ আগে থেকেই চিনতাম। আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলাম, ও তখন গান তৈরি করত। তবে সরাসরি কথা বা দেখা-সাক্ষাৎ সেভাবে হয়নি। ২০২০ সালের কথা, নিধি একটা অ্যালবাম করার পরিকল্পনা করে।
বিয়ের সিদ্ধান্ত কি হঠাৎ করেই নেওয়া?
খানিকটা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া। আমাদের পরিবারের অনেকেই বিদেশে সেটেলড। শুধু ঈদের ছুটিতেই তাঁরা দেশে আসেন। আমাদের প্রেমের কথা আগে থেকেই পরিবার জানত। ফলে দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ঈদেই বিয়েটা সম্পন্ন করার। আমি আর নিধি পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বসে পড়লাম বিয়ের পিঁড়িতে।
হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন?
আর বলবেন না! একটুও সময় নেই। আমি পুরো ঈদেই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। নিধিও ‘বরবাদ’ আর ‘দাগি’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে। এখন একটু বিশ্রাম নিতে চাই আমরা। আগামী মাসে আমার জন্মদিন। ঠিক করেছি, তখন দেশের বাইরে যাব। তবে কিছুদিনের মধ্যে কক্সবাজারে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সেখানে আমাদের দুজনের অনেক স্মৃতি আছে। বিশেষ করে গানগুলোর চিত্রায়ণ করেছিলাম আমরা সেখানে।
নিধি সংগীতের মানুষ, আপনিও গান করেন মাঝেমধ্যে। এখন থেকে কি নিয়মিত গান করবেন?
দারুণ আইডিয়া দিলেন তো! এটা লুফে নিলাম। আমার মাথায় ছিল না গানটা নিয়মিত করার। নিধিকে আজই বলব আমার জন্য গান বানাতে। শিগগিরই আমাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম আসবে, ঘোষণা দিলাম।
মাত্র একটা নাটকে আপনাকে পাওয়া গেছে। আর কেন অভিনয় করছেন না?
আমরা যারা কনটেন্ট ক্রিয়েট করি তারা খুব স্বাধীনচেতা। নিজেদের মতো করেই কনটেন্ট তৈরি করি। অন্যদিকে নাটক বা টেলিছবিতে অন্যের ডিরেকশনে কাজ করতে হয়। এটা ভালো লাগে না। মোটকথা, উপভোগ করতে পারি না। দেখবেন বেশির ভাগ কনটেন্ট ক্রিয়েটর অভিনয় করতে চান না। তার কারণ এই একটাই।
নতুন কোনো খবর দেবেন?
একটা খবর তো দেওয়াই যায়। শিগগিরই আমাকে কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে দেখতে পাবেন। জনপ্রিয় এক ওটিটি প্লাটফরমের জন্য একটা ফিকশন লিখেছি। ‘খুব কাছের কেউ’ নামের ফিকশনটি পরিচালনা করেছে নিধি। অভিনয় কারা করেছে, কবে মুক্তি পাবে, সেটা চরকি থেকেই জানাবে।
নতুন কোনো গল্প-উপন্যাস আসবে?
আপাতত না। কারণ আমাকে এখন থেকে নিয়মিত ফিকশন রাইটার হিসেবেই পাবেন। লেখালেখিটা পর্দায় দেখতে চাই। ছোটবেলা থেকেই কিন্তু আমি লেখালেখির সঙ্গে ছিলাম। অনেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমাকে চিনলেও লেখালেখিটা আমার প্রধান সত্তা।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। নতুন কোনো দায়িত্ব পেয়েছেন?
গত বছর পর্যন্ত ইউনিসেফের সঙ্গে ছিলাম। ‘ইউনিসেফ ইয়ুথ’ প্রজেক্টে ২৪ বছর পর্যন্ত কাজ করা যায়। আমি এ বছর পঁচিশে পা দিয়েছি। ফলে প্রজেক্টটি থেকে সরে আসতে হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে সচেতনতামূলক কাজে সব সময় থাকার চেষ্টা করব।

স্মরণ
টেলি সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক

বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলি সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) দুপুরে অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। টেলি সামাদের আসল নাম আবদুস সামাদ।
তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন এই কৌতুক অভিনেতা। তার বড় ভাই চারুশিল্পী আবদুল হাই।
অভিনয়ে টেলি সামাদের হাতেখড়ি অল্প বয়সেই। মুন্সীগঞ্জে মঞ্চনাটক করতেন। মঞ্চের এই তুখোড় অভিনেতাকে টেলিভিশনে নিয়ে আসে মঞ্চের সামনে থাকা দর্শকদের করতালির শব্দ।
নজরুল ইসলাম পরিচালিত ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কার বউ’ সিনেমাতে অভিনয় করেন টেলি সামাদ।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে— ‘ভাত দে’, ‘রঙিন রূপবান’, ‘নতুন বউ’, ‘মাটির ঘর’, ‘নাগরদোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, অশিক্ষিত, কালা, জয় পরাজয়, গুণ্ডা , জব্বার, সুজন সখী, চাষীর মেয়ে, কুমারী মা, সাথী হারা নাগিন, মায়ের চোখ, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, রিকশাওয়ালার ছেলে, মন বসে না পড়ার টেবিলে, কাজের মানুষ, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি, কে আমি, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, মিস ললিতা ও জিরো ডিগ্রি।

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) পাবনা সদরে সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা শহরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান তিনি।
পরের বছর উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরপর থেকে বাংলা সিনেমায় এই জুটি আজও আইডল। উত্তম-সুচিত্রা জুটির ৩০টি বাংলা সিনেমা সফলতার মুখে দেখে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘সবার উপরে’, ‘পাপমোচন’, ‘শিল্পী’, ‘সাগরিকা’, ‘পথে হল দেরি’, ‘হারানো সুর’, ‘গৃহদাহ’, ‘প্রিয় বান্ধবী’ ইত্যাদি।
১৯৫৫ সালের ‘দেবদাস’ ছিল সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা। এরপর অভিনয় করেন হিন্দি ‘আন্ধি’তে। এই সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন।
১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান সুচিত্রা সেন। কোন এক অজানা কারণে প্রায় ৩৬ বছর কলকাতায় একাকী থাকতেন বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে।
ব্যক্তি জীবনে ১৯৪৮ সালে কলকাতার শিল্পপতি আদিনাথ সেন তনয় দিবানাথ সেনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন সুচিত্রা সেন। তার একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেন।
সুচিত্রা সেনই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে কোনো আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান। ‘সাত পাকে বাঁধা’ সিনেমার জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
১৯৭২ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পান সুচিত্রা সেন। এছাড়া ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণে তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুচিত্রা সেন।

সাঙ্গাকারার সঙ্গে মালাইকার প্রেম, জল্পনা উসকে দিলেন অর্জুন?
বিনোদন ডেস্ক

অর্জুন কাপুরের সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন মালাইকা অরোরা। তা নিয়ে জল ঘোলাও কম হয়নি। মালাইকার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজেকে ‘একাকী’ বলে দাবিও করেছেন অভিনেতা। এমনকি অবসাদ নিয়েও খোলাখুলি কথা বলেছেন।
কিন্তু সম্প্রতি ক্রিকেট তারকা কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রীর। এই নতুন জল্পনার মধ্যেই অর্জুনের সমাজমাধ্যমের পোস্ট নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে।
চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালসের খেলা দেখতে মাঠে হাজির ছিলেন মালাইকা। এ সময় তার পাশে ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেট তারকা। এ দৃশ্য দেখেই নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পাশাপাশি বসে খেলা দেখেছেন দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তারা দুজনে কি প্রেম করছেন? এই নিয়ে আলোচনা জারি রয়েছে নেট মাধ্যমে।
অর্জুনের তার পোস্টে লেখেন, ‘কোনো বিষয়ে ধৈর্য রাখার একমাত্র পথ হলো, বিষয়টিকে মেনে নেওয়া এবং তার ওপর বিশ্বাস রাখা। যেটি যেমন, সেটিকে তেমনভাবেই মেনে নেওয়া উচিত। নিজের চারপাশ বাস্তবের চশমা দিয়ে দেখা উচিত।’
অর্জুন বরাবরই নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার কথা বলেছেন।
এই পোস্ট দেখে অর্জুনের অনুরাগীদের মধ্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ বছর থাকার পরে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন মালাইকা ও অর্জুন।