<p>বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও ঘিবলির সহপ্রতিষ্ঠাতা মিয়াজাকি। তাকে জাপানের অ্যানিমেশনের স্রষ্টা বলা হয়। একের পর এক অসাধারণ সব অ্যানিমে উপহার দিয়েছেন তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান। গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ও তার স্টুডিও সব বয়সের দর্শকের জন্য নির্মাণ করেছেন অ্যানিমেশন। তার ও ঘিবলির করা অ্যানিমেশনের ধারাকেই অ্যানিমে বলা হয়। অ্যানিমের রাজ্যে তিনিই মহারাজ। নির্মাণ করেছেন ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’, ‘মাই নেইবার টোটোরো’, ‘হাউলস মুভিং ক্যাসল’-এর মতো কালজয়ী সিনেমা। এর মধ্যে স্পিরিটেড অ্যাওয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় পুরস্কার অস্কার।</p> <p>এবার মিয়াজাকিকে মনোনীত করা হয়েছে র‍‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারের জন্য। একে বলা হয় ‘এশিয়ার অস্কার।’</p> <p>দ্য জাপান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার ফিলিপাইনের র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার কমিটি আরো তিনজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মিয়াজাকিকে এ বছরের বিজয়ী ঘোষণা করে। র‍‍্যামন ম্যাগসেসে মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করে। মিয়াজাকিকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে জাপানের সিনেমা, সংস্কৃতি ও অ্যানিমেশনে অবদান রাখার জন্য। আগামী নভেম্বরে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে।</p> <p>মিয়াজাকি মূলত সিনেমার, তিনি অ্যানিমেশনের ভাষাই বদলে দিয়েছেন। নতুন কিছু বিষয় যোগ করার পাশাপাশি জাপানের পুরাণ, লোককথা ইত্যাদি বিষয় এমন করে অ্যানিমেতে এনেছেন যা দর্শককে মুগ্ধ করেছে এবং এখনো করে।</p> <p>গত বছরের জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছিল মিয়াজাকি পরিচালিত সর্বশেষ আ্যানিমে- ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন।’ এটি মিয়াজাকি পরিচালিত শেষ অ্যানিমে হলেও হতে পারে। সিনেমাটি এরই মধ্যে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সারা বিশ্বেই মিয়াজাকি এখনো পরিচিত তার অনবদ্য কাজের জন্য। র‍‍্যামন ম্যাগসেসে তার সে কাজেরই স্বীকৃতি।</p>