ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী। পরিচিতরা তাকে শিমু নামেও ডাকেন। শৈশবে টোকাই নাট্যদলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গভীরভাবে অভিনয়ের প্রেমের পড়ে যান।
ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী। পরিচিতরা তাকে শিমু নামেও ডাকেন। শৈশবে টোকাই নাট্যদলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গভীরভাবে অভিনয়ের প্রেমের পড়ে যান।
ভারতে ‘মায়া নগর’ ছবির মাধ্যমে ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হলো। উপস্থিত ছিলেন সেখানে?
অনেক ইচ্ছা ছিল উপস্থিত থাকার। এটা ভারতে আমার প্রথম ছবি। বিশেষ একটা ভালোবাসাও ছিল। অথচ ভিসা জটিলতায় যাওয়া হলো না।
এটি ২০২১ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পেয়েছিল। এবার ভারতে কেমন সাড়া পাচ্ছে?
আমার সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তিনি বিভিন্ন গ্রুপে ছবিটি নিয়ে লেখাগুলো আমার সঙ্গে শেয়ার করেন। দেখলাম সাধারণ দর্শক ছবিটি পছন্দ করেছে। সেই সঙ্গে আমার অভিনয়ের প্রশংসাও করছে অনেকে। দিদি জানালেন, সমালোচকরাও বিশেষভাবে আমার নাম নিচ্ছেন। এটা আনন্দের।
‘চক্কর ৩০২’-এর টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এটার কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
অনেকে ফোন করছেন। টিজারের প্রশংসা করছেন। মোশাররফ করিম ভাই অসাধারণ অভিনেতা। তাঁকে ছাপিয়ে আলাদা করে নজর কাড়াটা কঠিন। তবে আমি চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে ছবিটি করেছি একমাত্র গল্প ও মোশাররফ ভাইয়ের জন্যই। ঈদে মুক্তি পেলে বাকিটা দর্শক বলতে পারবে।
ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
আমি মোশাররফ ভাইয়ের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। পর্দায় আমার খুব বেশি উপস্থিতি আছে সেটা বলব না। তবে যেটুকু আছে সেটাতে দর্শক আনন্দিত হবে। সব সময় আমি চেয়েছি সংলাপ কম থাকুক, চরিত্রের দৈর্ঘ্যও কম হোক তবে যেটুকু জায়গাতে আমি থাকব সেটুকু যেন দর্শকের মনে দাগ কাটে। ‘চক্কর ৩০২’ ঠিক তেমনই একটা ছবি। আমি উপভোগ করেছি কাজটি করতে গিয়ে।
প্রথমবার ঈদে আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আরো কয়েকটি বড় ছবিও আছে মুক্তির মিছিলে। একটু চাপ লাগছে?
সবার কাজকে আমি সম্মান করি। সবাই সবার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি সেটা অ্যাপ্রোশিয়েট করি। ঈদে সবার ছবিই দর্শক দেখুক এটাই চাওয়া। আমিও সবার কাছে দোয়া চাই। আমি অত বড় কোনো অভিনেত্রী নই, তবে চেষ্টা করে চলেছি। এই চেষ্টা যেন সফল হয় সেটাই লক্ষ্য।
‘ফেরেশতে’ কবে মুক্তি পাবে?
নির্মাতা ছবিটি নিয়ে অনেক প্ল্যান করেছেন। ধীরে ধীরে সেগুলো বাস্তবায়নের পথে। ‘ফেরশতে’ শুধু বাংলাদেশ-ইরান নয়, আন্তর্জাতিকভাবেই মুক্তি পাবে। যত দূর জানি, এই বছরেই ভালো কোনো দিনে আপনারা ‘ফেরেশতে’ দেখতে পাবেন।
গত বছর ইরানের ফজর উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল। আপনি গিয়েছিলেনও। জার্নিটা কেমন ছিল?
ছবির নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম দারুণ একজন মানুষ। আমরা তাঁর বাসায় দাওয়াতও খেয়েছি। ইরানে যাওয়ার পর দারুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানকার মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। আমার কাছে মনে হয়েছে কোনো নিকট-আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছি। বিশেষ করে তেহরান থেকে ইসফাহান যাওয়ার জার্নিটা এখনো চোখে ভাসে। কখনো একটু মন খারাপ হলে আমি এই জার্নিটার কথা মনে করি, সঙ্গে সঙ্গে বিষাদ কেটে যায়, রিফ্রেশ লাগে।
নতুন আর কী করছেন?
একটা আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য করলাম জানুয়ারিতে। শিগগির মুক্তি পাবে। নির্মাতা নিউ ইয়র্কের, প্রোডাকশনটিও সেখানকার। আপাতত এর বেশি বলতে পারব না। এমনিতেও তো আমি কাজ কম করি, এটা সবার জানা। এর মধ্যে ভালো কিছু হলে অবশ্যই জানাব।
সম্পর্কিত খবর
শঙ্খনীল দেব
সিনেমা শুধু বিনোদনের মাধ্যমই নয়, বরং সিনেমা আমাদের বাস্তব জীবনকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখার সুযোগ করে দেয়। সিনেমা কাল্পনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শকদের শুধু মুগ্ধই করে না, বরং অনুপ্রাণিতও করে। কখনো ভাবায়, কখনো বা আবেগে ভাসায়। আর সেই সিনেমা যদি তৈরি হয় সত্য ঘটনা অবলম্বনে, তাহলে তা হয়ে উঠে শিক্ষণীয়।
‘মঞ্জুম্মেল বয়েজ’ একটি বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্র। ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অসাধারণ সারভাইভাল থ্রিলারটির নির্মিত হয়েছে কেরালার কোচির মঞ্জুম্মেল এলাকার একদল বন্ধুকে ঘিরে, যারা মজার ছলেই কোড়াইকানালের বিখ্যাত ‘গুনা গুহা’ ঘুরতে যায়। এই গুহা একদিকে যেমন রহস্যময়, তেমনই বিপজ্জনক। একে শয়তানের গুহাও বলা হয়।
গুহার গভীরে পড়ে যাওয়া সুবিকে উদ্ধারের জন্য বাকি বন্ধুরা আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু সমস্যা একটাই—গুহাটি এতটাই গভীর ও সংকীর্ণ যেকোনো সাধারণ উপায়ে সেখানে নামা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীদের সাহায্য পেতে দেরি হওয়ায় বন্ধুরা নিজেরাই উদ্ধারের পরিকল্পনা করতে শুরু করে। এই সময়েই বন্ধুত্বের প্রকৃত পরীক্ষা শুরু হয়। একজন বন্ধুর জীবন বাঁচাতে অন্যরা নিজের জীবন বাজি রেখে চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিভাবে তারা এ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করল, কিভাবে সুবিকে জীবিত উদ্ধার করল! জানতে হলে দেখে নিন চমৎকার মালয়ালম এ সিনেমাটি।
২০০৬ সালে ঘটে যাওয়া বাস্তব এই ঘটনায়, সেই বন্ধু দলের সদস্য সিজু ডেভিস অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ১২০ ফুট গভীর ফাটল থেকে তার বন্ধু সুবাসকে বাঁচিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সিনেমার কারণে সেই ঘটনা আবারও আলোচনায় এসেছে, যেখানে তামিলনাড়ুর স্বরাষ্ট্র সচিব পি. আমুধা রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালককে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গুনা গুহায় ঘুরতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ জনেরও বেশি পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুহায় পড়ে যাওয়া সেই সুবাস জানিয়েছেন, তিনি সেই গুনা গুহায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করেন আজও। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অনুশোচনা তো করি। তবে এখন আমি দেখছি, আমার গল্প থেকে মানুষ অনুপ্রেরণা নিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটি বিপদে পড়া মানুষদের উৎসাহ জোগাতে সহায়তা করছে। এছাড়াও, পুরনো বন্ধুরা আবার যোগাযোগ শুরু করেছে। আগে আমি ভাবতাম, কেন আমি বেঁচে গেলাম! এখন আমি বুঝতে পারছি – হয়তো অন্যদের আশার আলো দেখানোর জন্য বেঁচেছি আ। আমি এর জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
চিদাম্বরমের পরিচালনায় ‘মঞ্জুম্মেল বয়েজ’ মুক্তি পায় ২০২৪ সালে। সিনেমাটিতে অভিনয় করা প্রতিটি চরিত্রই বাস্তবধর্মী ও প্রাণবন্ত ছিল পর্দায়। বিশেষ করে শ্রীনাথ ভাসি, সৌবিন শাহির, দীপক পরমবল, বালু ভার্গিসদের বন্ধুত্বের যে আবেগ ফুটিয়ে তুলেছেন, তা দর্শকের মনে গভীর দাগ কাটে। পরিচালক চিদাম্বরম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গল্পটিকে পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। সিনেমার টানটান উত্তেজনা, আবেগ ও বাস্তববাদী উপস্থাপন সিনেমাটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মাত্র ২০ কোটি বাজেটে নির্মিত সিনেমাটি ২৪২ কোটি টাকা আয় করে বক্স অফিসের পাশাপাশি দর্শক সমালোচকদের মনও জয় করেছে।
খুব ছোটবেলায় ঈদের আগে নিউমার্কেট থেকে আর্ট পেপার কিনে নিজ হাতে কার্ড বানাতেন সংগীত তারকা আঁখি আলমগীর। সমসাময়িক ভাই-বোন বা বন্ধুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো, কার তৈরি কার্ড সবচেয়ে বেশি সুন্দর হয়। দেশের ভেতর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা পেতো সেই কার্ড। কখনো আবার দেশের বাইরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদেরও সেই কার্ড পাঠানো হতো।
ঈদের আনন্দের মুহূর্তের কথা টেনে আঁখি আলমগীর বলেন, ‘আমি এখনো দেশের বাইরে গেলে কার্ডের দোকানে যাই। কার্ড কিনি। প্রিয়জনদের জন্য বা হয়তো নিজের জন্য কার্ড কিনে দেশে ফিরে ড্রয়ারে রেখে দেই। এটি আমার অন্য ধরনের ভালো লাগার একটি বিষয়’
মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিদিন সকালের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদের বিশেষ আয়োজনে এসে এই সংগীতশিল্পী জানান, একসময় প্রিয়জনকে চিঠি লিখতেন।
আঁখি আলমগীরের জীবনীশক্তি বরাবরই প্রশংসা পায় সংগীত জগতে। এ প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, একবার বাংলা নববর্ষে একই দিনে ৩টি শোতে বিরতিহীনভাবে গান করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বেশ কয়েকবার ঢাকার বাইরে থেকে শো করে জ্যাম ঠেলে ঢাকায় আরেকটি শো ধরার রেকর্ডও রয়েছে।
অভিনয় ও সংগীত-দুই শাখাতে একমাত্র শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী আঁখি আলমগীর বলেছেন, আইন বিষয়ে পড়াশোনার মাঝেই ছেদ পড়েছিল। তবে সুযোগ পেলে নতুন করে পড়াশোনা শেষ করে আইনজীবী পরিচয়েও নিজেকে পরখ করে নিতে চান, মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান।
রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের চতুর্থ দিন সকাল ৭টা থেকে ৯টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।
বলিউডের শাহনেশা তিনি। রুপালি পর্দায় কয়েক দশক ধরে একচ্ছত্র আধিপত্য তার। ক্যারিয়ারে বহু উত্থান পতন দেখেছেন। অর্থ বিত্ত আভিজাত্যে যেমন ছিলেন সবার সেরা, তেমনই ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে দেউলিয়া পর্যন্ত হয়েছেন।
পিঙ্কভিলার একটি নতুন রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে অমিতাভের আয় দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, অমিতাভের আয়ের অন্যতম উৎস হল ফিল্ম প্রজেক্ট, এনডোর্সমেন্ট ডিল এবং জনপ্রিয় গেম শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতির হোস্টিং করা।
বর্তমানে জনপ্রিয় টিভি কুইজ শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (কেবিসি) ১৬-এর সঞ্চালনা করছেন অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ‘ভেট্টাইয়া’ ও ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ চলচ্চিত্রে। ভেট্টাইয়াতে তাকে রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তিন দশক পর রজনীকান্তের সঙ্গে পর্দায় ফের জুটি বাঁধেন অমিতাভ।
মধুমিতা সরকারের জীবনে এসেছে নতুন বসন্ত। প্রেম করছেন অভিনেত্রী। সম্পর্কের বয় প্রায় ৫ বছর। গেল পূজায় অনুরাগীদের মন ভেঙে প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তিনি।
মাঝেমধ্যেই কাছের মানুষের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন এদিক সেদিক ঘুরতে। এবারো দোল কাটিয়েছেন সিকিমের নিরিবিলি ইয়ামথাং ভ্যালিতে।
মধুমিতা জানিয়েছেন, “এই বছর ডিসেম্বর মাসে কিংবা আগামী বছরের শুরুর দিকে বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। কারণ শীতকাল আমাদের দুজনেরই বেশ পছন্দ।”
পাহাড় তাদের এতটাই প্রিয় যে এর পরই অভিনেত্রীর সংযোজন, “বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে স্মৃতি তৈরি করে যাব।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, “২০১৯ সালে আমাদের প্রথম দেখা। কিন্তু কোনোভাবে আমরা সংস্পর্শে ছিলাম না। তবে মাসখানেক আগে আবার আমাদের দেখা হয়। তারপর থেকেই ফের টেক্সট চালাচালি শুরু। বন্ধু হিসেবেই প্রথমে কথা বলা শুরু করেছিলাম।
‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকের পাখি হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মধুমিতা। এর পর সিনেমার জগতে নিজের সফর শুরু করেন। ‘পরিবর্তন’, ‘লাভ আজ কাল পরশু’, ‘চিনি’, ‘দিলখুশ’, ‘সূর্য’, ‘কুলের আচার’-এর মতো একাধিক সিনেমা রয়েছে তার ঝুলিতে। অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেতা-পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৯ সালে মধুমিতা ও সৌরভের বিচ্ছেদ হয়।
সেই বছরই দেবমাল্যর সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথম বিয়ে ভাঙার পর ক্যারিয়ারে মন দেন অভিনেত্রী। তবে গত বছর পূজাতেই মধুমিতার জীবনে উঁকি দেয় নতুন প্রেম। প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের ঘোষণা নিজেই করেছিলেন মধুমিতা।