ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। পাখির মতো মরছে মানুষ। আহতদের চিৎকারে ভারী আকাশ-বাতাস।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। পাখির মতো মরছে মানুষ। আহতদের চিৎকারে ভারী আকাশ-বাতাস।
গাজার এমন পরিস্থিতিতে হতবাক বিশ্বমানবতা। এ বর্বরতা হৃদয় স্পর্শ করেছে বিশ্বের সব শ্রেণিপেশার মানুষের। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। শোবিজ অঙ্গনেও দেখা গেছে গাজাবাসীদের জন্য শোকের ছায়া।
অভিনেত্রী জয়া আহসান বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। রবিবার (৬ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনারা ১৫ জন জরুরি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যা করেছে। গাজায় যে নিষ্ঠুর আর হৃদয়হীন গণহত্যা ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, এটা তারই অংশ।
চিত্রনায়ক সিয়ামও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
গাজা নিয়ে লিখেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানও। রবিবার নিজের ফেসবুকে সাদিয়া লিখেছেন, ‘গাজায় যেভাবে প্রতিদিন নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা নৃশংসভাবে প্রাণ হারাচ্ছে, তা মানবতা এবং মুসলিমদের জন্য এক কলঙ্ক। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজারো স্বপ্ন, কান্না আর আর্তনাদ। এই নিষ্ঠুরতা যেন কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। হে আল্লাহ তায়ালা, তুমি গাজার মানুষদের হেফাজত করো। তুমি তাদের ধৈর্য দান করো, শত্রুদের অন্তরে শান্তি ও মানবতা দান করো এবং সব নির্যাতনের অবসান ঘটাও। আমিন।’
গায়ক আসিফ আকবর গাজাবাসীদের নিয়ে লিখেছেন, ‘বিদায় রাফাহ্-গাজার জান্নাতি শহীদেরা। শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী আর তাদের নিকৃষ্ট শাসকরা আনন্দে থাকুক জ্বলন্ত জমিনের দোজখে।’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং এর মধ্যেই এক দিনে আরও অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছে গেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সম্পর্কিত খবর
আগামী ১৮ এপ্রিল মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের নতুন ছবি ‘কেসারি : চ্যাপ্টার টু’। দেশাত্মবোধক ঘরানার ছবিটির ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে নিয়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। এরই মধ্যে ছবিটির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অক্ষয়। সেখানে জানান, ছবিটি ব্রিটিশ সরকার ও রাজা তৃতীয় চার্লসের দেখা উচিত।
শুক্রবার প্রচারণায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অক্ষয় কুমার। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার অপ্রকাশিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী অক্ষয় মনে করেন, নিজেদের ভুল বোঝার জন্য ব্রিটিশ সরকার ও কিং চার্লসের এই ছবিটি দেখা উচিত। সাংবাদিকদের অক্ষয় বলেন,“তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত, এমন কিছু বলার জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি চাই, তারা অন্তত এই সিনেমাটি দেখুক এবং নিজেদের ভুল বুঝতে পারুক।
পাশাপাশি ছবিটি ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়েও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’খ্যাত এই অভিনেতা।
১৯১৯ সালে ঘটে যাওয়া জালিয়ানওয়ালা বাগ-কাণ্ড ভারতের বুকে এক কালো দিন। নিরপরাধ ভারতীদের এই দিন নৃশংস ভাবে হত্যা করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। গুলি করে ঝাঁজরা করে দেয় তাদের।
করণ সিং ত্যাগীর পরিচালনায় ‘কেসারি : চ্যাপ্টার টু’তে সি. শঙ্করন নায়ারের চরিত্রে দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে। অক্ষয়ের সঙ্গে সিনেমাটিতে আরো আছেন আর মাধবান ও অনন্যা পাণ্ডে। ১৮ এপ্রিল মুক্তি পাবে এটি।
প্রতিবারের মত এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন নিয়ে আসছে ফাগুন অডিও ভিশন। এর প্রতিটি আইটেম উপস্থাপন করা হয় নাটকীয়ভাবে। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন।
বৈশাখী পাঁচফোড়নের এবারের পর্বে দেখা যাবে পহেলা বৈশাখের দিনে এক দম্পতি পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে।
বাংলা বর্ষবরণ নিয়ে এবারের পাঁচফোড়নে ‘নবীনের ডাক এসো’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটির কথা লিখেছেন প্রখ্যাত গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।
পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়েই বিভিন্ন ধরনের নাট্যাংশ করা হয়।
অনুষ্ঠানটি এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ), সোমবার-রাত ০৭:৫০ মিনিটে।
দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পর্দায় দর্শকদের বিনোদিত করে আসছেন তিনি। একটা সময়ে শুধু রোমান্টিক চরিত্রেই তাকে দেখা যেত, যার দরুণ ‘চকলেট বয়’ আখ্যাও পেয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ভেঙ্গে এখন ভার্সেটাইল হয়ে উঠছেন আব্দুন নূর সজল। নানামাত্রিক চরিত্রে হাজির হয়ে প্রশংসাও কুড়ান জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘জ্বীন ৩’, যা তিন বছর আগে নির্মিত ‘জ্বীন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। সিনেমাটি মুক্তির আগে অন্তর্জালে আসা এর গান ‘কন্যা’ রীতিমতো দর্শক মনে আলোড়ন তৈরি করে। প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও গানটি রয়েছেন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে।
গানটি নিয়ে তুমুল প্রশংসা কুড়ালেও সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
সিনেমাটি দেখে কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফান জানান যে, তিনি হতাশ হননি।
সজলের অভিনয়ের প্রশংসা করে রুম্মান রশীদ খান লিখেন, ‘সজল ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। কেন জানি বড় পর্দায় তাকে সেভাবে এতদিন পাইনি। পেলেও অনিয়মিতভাবে। ‘মা: জ্বীন ৩’ সিনেমায় চরিত্র অনুযায়ী তার অভিনয় ছিল ভীষণ বিশ্বাসযোগ্য। সজলকে বড় পর্দায় আরো নিয়মিত চাই।’
ইমতিয়াজ ইমতু নামের এক দর্শক তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে লিখেন, ‘কন্যা গানটির জন্যই সিনেমাটি দেখতে যাওয়া। যাবার পর গল্প বলার ধরণে আটকে গেলাম পুরো ছবিতে। ছবিটি এক ধাক্কায় শেষ হওয়ার মতো ছবি। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সজল নূরের অভিনয়। বিশেষ করে নুসরাত ফারিয়াকে কিলিংয়ের দৃশ্যে। সজল-ফারিয়া দুজনেই এই দৃশ্যটিতে ভালো করেছেন। রোমান্টিক থেকে একটা ডেভিল রূপ চলে আসে সজলের ওপর, ট্রানজিশনটা তিনি দুর্দান্ত করেছেন এবং সংলাপগুলোও মনে ধরেছে।’
সাদিকুর নাঈম নামের একজন লিখেন, ‘গল্পটা বাংলাদেশের প্রান্তিক প্রেক্ষাপটে বেশ রিয়েলিস্টিক মনে হয়েছে। গল্পের উপস্থাপনও বেশ প্রাসঙ্গিক লেগেছে। সজলের অভিনয় ছিল অনবদ্য ও উপভোগ্য। একের পর এক চোখ ধাঁধানো দৃশ্য।’
ফারহান সোহেল নামের এক দর্শক লিখেন, ‘সজল ভাই, অসাধারণ আপনি। কি যে করলেন আপনি, পুরো সিনেমাতে বসিয়ে রাখলেন। অনেক দিন মনে থাকবে আপনার পারফরম্যান্স।’
চলচ্চিত্র গ্রুপে আরেকজন দর্শক লিখেন, ‘সজল নূরের অভিনয় চোখে পড়ার মতো।তার ডায়লগ ডেলিভারি, লুক সেট, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, এক্সপেশন চোখ ধাঁধানো। সজলকে যে অদৃশ্য শক্তি আক্রমণ করে সেই সিনগুলো ভয়ংকর।’
আফফান মিতুল লিখেন, ‘অভিনয়ের ইন্সটিটিউট বলা যেতেই পারে সজল ভাইকে। পুরো সিনেমাটা একা এক হাতে টেনেছেন সজল ভাই, এরপর বাচ্চা ছেলেটা। এছাড়া বাকি সবাই ছিলেন শো-পিস।’
আরেকজন দর্শক লিখেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তানিয়া আহমেদ ও সজল নূরের অভিনয়। তাদের চমৎকার পারফরম্যান্স এর জন্য চোখ সরানো যাচ্ছিলো না। বিশেষ করে শেষ দৃশ্যে তানিয়া আহমেদের অভিনয় চমৎকার ছিল। একজন মা তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য কি না করতে পারে! আর সজল নূর আপনি একটা জিনিস। ছবির দ্বিতীয়ার্ধে আপনার অভিনয় মনে হয় গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। অসাধারণ! সজল নূর, স্যালুট আপনাকে!’
প্রসঙ্গত, জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘মা: জ্বীন ৩’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান।
আজ ওপার বাংলায় মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখার্জির নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’। এতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কৌশানি মুখার্জি অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে দুজনের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা বলেছেন কৌশানি মুখার্জি।
কৌশানী জানান, নির্মাতা সৃজিত সিনেমাটিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শুট করা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। দৃশ্যটি যেন ঠিকঠাক শুট করা যায়, ছবির পাত্র–পাত্রীরা যেন অস্বস্তিতে না ভোগেন এ জন্য মুম্বাই থেকে আস্থা নামে একজন ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর নিয়ে আসা হয়। ছবির পরিচালকসহ অভিনয়শিল্পীরা এ নিয়ে সেশন করেছিলেন। তবে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের আগে নিজের প্রেমিক ও পরিবারের সঙ্গেও আলোচনা করে নেন কৌশানি।
সাক্ষাৎকারে কৌশানির প্রেমিক অভিনেতা বনিকে নিয়েও আলোচনা হয়। তখনই এসব কথা জানান নায়িকা। কৌশানি জানান, শুধু বনিই নন, পরিবারের সবাই কৌশানীর পাশে রয়েছে।
এরপরই প্রসঙ্গ ওঠে, চুম্বন দৃশ্যের আগে বনির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন কি না কৌশানি।
নায়িকা আরও বলেন, ‘আমরা দুইজনে সম্পর্কে থাকার পর এটাই প্রথম ‘আইস-ব্রেক’ মোমেন্ট। আগে বনির ‘বরবাদ’-এ একটা লিপ কিস ছিল। কিন্তু তখন আমি ওর জীবনে ছিলাম না। তবে এটা প্রথম তেমন দৃশ্য যখন আমি ওর জীবনে রয়েছি। ফলে একটু সময় লেগেছিল। তবে চরিত্রের জন্য এটা অ্যাকসেপটেবল’- স্পষ্ট উত্তর অভিনেত্রীর।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘হেমলক সোসাইটি’। এতে অভিনয় করেছেন পরমব্রত ও কোয়েল মল্লিক। দর্শকদের কাছে প্রশংসা কুড়ায় সিনেমাটি। দীর্ঘ বিরতির পর সেই সিনেমারই সিকুয়েল ‘কিলবিল সোসাইটি’ বানিয়েছেন সৃজিত।