একজন জান্নাতি নারী জান্নাতে কাকে স্বামী হিসেবে পাবে, তা নির্ভর করবে দুনিয়ায় চলে যাওয়া তার চার অবস্থার ওপর। কারণ একজন নারী পৃথিবীতে সাধারণত ছয়টি অবস্থার যেকোনো একটি অবস্থায় অবশ্যই থাকবে। এর বাইরে নয়। অবস্থাগুলো হলো—১. হয়তো সে বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণ করবে।
দুনিয়ার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পরকালে কেমন হবে
মাওলানা আ. জ. ম. ওবায়দুল্লাহ

আর এসবের প্রতিটির জন্যই জান্নাতে স্বতন্ত্র হুকুম ও অবস্থা আছে। বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ একজন জান্নাতি নারীর ছয়টি অবস্থা তুলে ধরা হলো—
১. বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণকারিণী জান্নাতি নারী : যদি ইহকালে কোনো জান্নাতি নারীর বিয়ে না হয়ে থাকে, তবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দুনিয়ার এমন একজন পুরুষ অথবা এমন একজন অবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেবেন, যা দেখে তার চোখ জুড়িয়ে যাবে। কেননা জান্নাতের নিয়ামত ও সুখসম্ভার শুধু পুরুষের জন্য নয়, বরং তা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য।
এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন যে প্রথম দল জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল। তারপর যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের চেহারা হবে আকাশে প্রজ্বলিত নক্ষত্রের মতো। তাদের প্রত্যেকের জন্য দুজন করে স্ত্রী থাকবে, যাদের গোশতের ওপর দিয়েই তাদের পায়ের গোছার ভেতরের মগজ দেখা যাবে। আর জান্নাতে কোনো অবিবাহিত থাকবে না।
২. যে জান্নাতি নারী মৃত্যুবরণ করবে তালাকের পর অন্য কারো সঙ্গে বিয়ের আগেই। তার অবস্থাও এই প্রথম অবস্থার মতোই হবে।
৩. যে জান্নাতি নারীর স্বামী জাহান্নামি : যে জান্নাতি নারী বিবাহিতা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তবে তার স্বামী যদি জাহান্নামি হয়, তখন সে জান্নাতে প্রবেশের পর সেখানে অনেক পুরুষ দেখতে পাবে, যারা বিয়ে করেনি অথবা বিয়ে করেছে; কিন্তু তাদের স্ত্রী জাহান্নামি। তাদের থেকে পছন্দমাফিক একজনকে স্বামী হিসেবে বেছে নিতে পারবে। (মাজমু ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েলে ইবনে উসাইমিন : ২/৩৮)
৪. বিয়ের পর মৃত্যুবরণকারিণী জান্নাতি নারী : যে নারী বিয়ের পর মৃত্যুবরণ করেছে আর তার স্বামী যদি জান্নাতি হয়, তাহলে এ অবস্থায় সে তাকেই স্বামী হিসেবে পাবে, যার কাছ থেকে সে ইহলোক ত্যাগ করেছে। কেননা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘জান্নাতে প্রবেশ করো তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীরা সানন্দে।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭০)
এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, হুজায়ফা (রা.) তাঁর স্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যদি তোমাকে এই বিষয়টি আনন্দিত করে যে তুমি জান্নাতে আমার স্ত্রী হিসেবে থাকবে, তাহলে আমার পর আর বিয়ে কোরো না। কেননা জান্নাতে নারী তার দুনিয়ার সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে থাকবে। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীদের জন্য অন্য কারো সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম করা হয়েছে। কেননা তাঁরা জান্নাতে তাঁরই স্ত্রী হিসেবে থাকবেন।’ (বায়হাকি, সুনানে কুবরা, হাদিস : ১৩৮০৩)
৫. যে জান্নাতি নারীর স্বামী মারা গেল আর সে আমৃত্যু বিয়ে ছাড়াই রইল। তার অবস্থাও চতুর্থ অবস্থার মতোই হবে।
৬. স্বামীর মৃত্যুর পর অন্যত্র বিবাহিতা জান্নাতি নারী : কোনো নারীর স্বামী মারা গেছে, এরপর সে অন্য পুরুষকে বিয়ে করে। আর আগের-পরের উভয় স্বামীই জান্নাতি। এমতাবস্থায় সে যত বিয়েই করুক না কেন, জান্নাতে সর্বশেষ স্বামীকেই সে পাবে। কারণ আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন নারী তার সর্বশেষ স্বামীর জন্যই থাকবে।’ (জামে সাগির : হাদিস : ৬৬৯১, সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস : ১২৮১)
তবে এই অবস্থার ক্ষেত্রে ভিন্ন মতও আছে। অনেক আলেম অন্য একটি হাদিসকে দলিল হিসেবে এনে বলেছেন, নারীরা চাইলে যেকোনো একজন স্বামীকেই বেছে নিতে পারবে। উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কোনো নারী দুনিয়ায় একাধিক স্বামীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে আর নারীর মৃত্যুর পর জান্নাতে প্রবেশ করে এবং তার স্বামীরা প্রত্যেকেই জান্নাতে প্রবেশ করে, তাহলে তাদের মধ্যে কে ওই নারীর স্বামী হবে? রাসুল (সা.) বলেন, হে উম্মে সালামা! ওই নারী নিজের পছন্দমতো তার স্বামীদের থেকে যে কাউকে বেছে নিতে পারবে। আর নিঃসন্দেহে সে উত্তম চরিত্রের স্বামীকেই বেছে নেবে। ওই নারী আল্লাহর কাছে আরজ করবে, ‘হে আল্লাহ! এ ব্যক্তি দুনিয়ায় আমার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো আচরণ করেছে। অতএব তার সঙ্গেই আমায় বিয়ে দিন।’ হে উম্মে সালামা! উত্তম চরিত্র দুনিয়া ও আখিরাতের সব কল্যাণের মাঝে উত্তম। (তাবরানি)
লেখক : মুহাদ্দিস, ছারছীনা দারুস সুন্নাত জামেয়ায়ে নেছারিয়া দীনিয়া
দারুস সুন্নাত, নেছারাবাদ, পিরোজপুর
সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা
- পর্ব : ৭৪৯

আয়াতের অর্থ : ‘যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা বলে, আমাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন? তারা তো তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা সীমা লঙ্ঘন করেছে গুরুতররূপে। যেদিন তারা ফেরেশতাদের দেখবে সেদিন অপরাধীদের জন্য সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবে, রক্ষা করো, রক্ষা করো। আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব। সেদিন হবে জান্নাতবাসীদের বাসস্থান উত্কৃষ্ট এবং বিশ্রামস্থল মনোরম।
(সুরা : ফোরকান, আয়াত : ২১-২৪)
আয়াতগুলোতে অবিশ্বাসীদের পরকালীন পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. দ্বিন সম্পর্কে অবান্তর প্রশ্ন করা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। কেননা তা নিজের ব্যাপারে অহমিকা ও আল্লাহর প্রতি ধৃষ্টতার শামিল।
২. মৃত্যুর সময় মানুষ জান কবজকারী ফেরেশতাকে দেখতে পায়।
৩. ফেরেশতারা মৃত্যুর সময় অবিশ্বাসীদের বলবে, এই অপরাধীদের সুখ-শান্তির পথ চিরতরে রুদ্ধ।
৪. অবিশ্বাসীরা যেসব কাজ নেক মনে করেছে পরকালে তাও ধূলিকণার মতো মূল্যহীন হয়ে যাবে।
৫. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জান্নাতিরা জান্নাতে দুপুরে আহার শেষে বিশ্রাম গ্রহণের পরই কিয়ামত দিবসের অর্ধেক গত হবে।
(জাদুল মাসির : ৬/৮২)

জিজ্ঞাসা
হাজি নাকি আলহাজ
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আমি রাকিব উদ্দিন। বাড়ি কুষ্টিয়ার ইসলামপুর এলাকায়। আমাদের এলাকার একজন ব্যক্তি বলল, যে ব্যক্তি একবার হজ করে তাকে হাজি এবং যে একাধিকবার হজ করে তাকে আলহাজ বলা হয়। তার এই কথা কি ঠিক? হজকারী ব্যক্তির জন্য হাজি ও আলহাজ উভয় শব্দের ব্যবহারই কি সঠিক।
প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, হজকারীকে বোঝাতে এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হাজি ও আলহাজ উভয় শব্দের ব্যবহার শুদ্ধ। সাধারণত উর্দু ও বাংলা ভাষায় হাজি বলা হয়। আর আলহাজ শব্দটি মূল আরবি শব্দের নিকটবর্তী। আরবরা হাজিদের বোঝাতে ‘হাজ্জু’ বা ‘আলহাজ্জু’ শব্দ ব্যবহার করেন।
আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।

যুদ্ধাক্রান্ত গাজায় নারীদের দুর্বিষহ জীবন
আলেমা হাবিবা আক্তার

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দ্বিতীয় দফা গাজায় সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আবারও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মুখে পড়েছে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা। যুদ্ধের ভয়াবহতা গাজার নারীদের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে। বাস্তুচ্যুতি, ধ্বংস ও স্বজন হারানোর বেদনার পাশাপাশি নারীদের দেহে বাসা বাঁধছে নানা ধরনের রোগব্যাধি, বিশেষ করে গাজার প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন নারী এন্ডোমেট্রিওসিস, ফাইব্রয়েড, সিস্ট ও পিসিওএসের মতো স্ত্রীরোগের যন্ত্রণা সহ্য করছে।
গত মার্চের শুরু থেকে গাজায় কোনো ধরনের চিকিৎসা উপকরণ প্রবেশ করাতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে এন্ডোমেট্রিওসিস, ফাইব্রয়েড ও পিসিওএসে আক্রান্ত নারীরা যেসব ব্যথানাশক ও ওষুধ ব্যবহার করে তা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওষুধ ও উপকরণের অভাবে গাজার হাসপাতালগুলো নারীদের অস্ত্রোপচার করতে পারছে না।
৫৭ বছর বয়সী সাআদা আহমেদ একজন বিধবা নারী এবং ৯ সন্তানের জননী। তিনি এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত। দ্বিতীয় দফায় গণহত্যা শুরু হওয়ার পর তাঁর অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন হয়।
উত্তর গাজার আল আউদা হাসপাতালে সাআদার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল।
খালিদা আল সাওয়ার বয়স ৫০ বছর। তিনি সাত সন্তানের মা। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর জরায়ুর ফাইব্রয়েড অপসারণের জন্য গাজার আল শিফা হাসপাতালে হিস্টেরেক্টমি হওয়ার কথা ছিল। ৭ অক্টোবরের হামলার কারণে তা সম্ভব হয়নি। কেননা গাজার সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। খালিদা তাঁর অপারেশনের জন্য মরিয়া ছিলেন। তাই তিনি উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় যেতে অস্বীকার করেন। তিনি বারবার আল শিফা হাসপাতালের নারী ও প্রসূতি বিভাগে যান। যেন কোনোভাবে তাঁর অস্ত্রোপচারটি হয়। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে বলা হয়, আমরা যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। এখন প্রসবের মতো অতি জরুরি সেবা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার সুযোগ নেই। তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয় গাজার বাইরের কোনো বেসরকারি হাসপাতালে যেতে। কেননা এখানে খালিদার চিকিৎসাসেবা পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে খালিদা কোথায় যাবে? গত বছরের এপ্রিল মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে আল শিফা কমপ্লেক্স পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে খালিদার হিস্টেরেক্টমি গ্রহণের শেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়।
চিকিৎসক ঘাসান আবু আল কুম্বুজ গাজার একজন সুপরিচিত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি আল শিফা কমপ্লেক্সের মহিলা ও প্রসূতি হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি মিসরে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা, চিকিৎসা উপকরণ ও ওষুধের অভাব এবং অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতালের ওপর নির্ভর করার কারণে গাজার মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আছে। মানসিক চাপের ফলে পিসিওএসে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপুষ্টি ও ভিটামিন ডি-এর অভাবে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জরায়ু ফাইব্রয়েডে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্ত্রীরোগ, জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত নারী রোগীদের মৃত্যুর হার ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তুর্কি হাসপাতালটি ছিল একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এটি ধ্বংস হওয়ার পর থেকে, স্ত্রীরোগসংক্রান্ত টিউমারগুলো প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা অপসারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দ্য নিউ আরব অবলম্বনে

অহেতুক অনুমান ক্ষতিকর
মুহাম্মদ তাকরিম

মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা, সব কিছুতে ঝামেলা খোঁজা এবং মানুষকে দোষারোপ করা নিন্দনীয় কাজ। এতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, পরস্পর সৌহার্দ্য নষ্ট হয়, মানসম্মান হানি হয়। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অহেতুক সন্দেহ করতে বারণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো।
(সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)
কোনো কারণ ছাড়া অহেতুক সন্দেহ থেকে বহু মিথ্যা ধারণার সৃষ্টি হয়, এই উদ্ভট ধারণাগুলো একসময় অন্তরকে মিথ্যা বিশ্বাস দ্বারা আবৃত করে রাখে। ফলে সন্দেহকারী সত্য থেকে দূরে থাকে। নিছক মিথ্যা ধারণাকে পরম সত্য ভেবে অন্যের ও নিজের ক্ষতি করে বসে, যা বড় ধরনের শত্রুতায় রূপ নেয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা কারো প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ কোরো না। কেননা, খারাপ ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। একে অপরের দোষত্রুটি খুঁজিও না, একে অন্যের ব্যাপারে মন্দ কথায় কান দিয়ো না এবং একে অপরের প্রতি শত্রুতা পোষণ কোরো না, বরং ভাই ভাই হয়ে যাও। (বুখারি, হাদিস : ৫১৪৩)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে তোমরা দূরে থাকো।
এ ছাড়া অধিক পরিমাণে অহেতুক ধারণা থেকে একসময় মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়, যা মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও ফেলে দেয়।
তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হলো, অহেতুক অনুমান, মন্দ ধারণা থেকে বিরত থাকা। যেগুলো নীরবে আমাদের ঈমান-আমলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।