ঢিলেঢালা পোশাকেই আরাম বেশি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢিলেঢালা পোশাকেই আরাম বেশি
মডেল : মৌসুমী মৌ পোশাক : আইকনিক ও বিশ্বরঙ ছবি : মোবারক ফয়সাল স্থান: পামপাস

এখনকার তরুণীরা ঢিলেঢালা পোশাকেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তাই ডিজাইনাররাও মনোযোগ দিয়েছেন এমন পোশাকে। বিশেষ করে ফ্রকের কাট ও প্যাটার্নে এসেছে বেশি বৈচিত্র্য। ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন আতিফ আতাউর

এখন তরুণীরা শুধু ফ্যাশনে সন্তুষ্ট নন, তাঁরা ফ্যাশনের সঙ্গে আরাম চান।

পোশাকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ডিজাইনারদের চেষ্টার কমতি নেই। শিফন, সুতি, ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক, লিনেন, মসলিনের মতো শুধু আরামদায়ক কাপড়ই নয়, সঙ্গে জুতসই কাট ও প্যাটার্নেও মনোযোগ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে আরামের কথা মাথায় রেখে জোর দিচ্ছেন ঢিলেঢালা প্যার্টানে।

দেশীয় কিংবা পাশ্চাত্য সব পোশাকের কাটছাঁটে এই প্যার্টান বজায় রাখছেন ডিজাইনাররা।

গরমের পোশাকে তরুণীদের পছন্দ ছোট হাতার লম্বা ফতুয়া, হাতাকাটা কামিজ বা ছোট হাতার শার্ট। ফতুয়া, কামিজ, ব্লাউজেও গরমে আরামের জন্য চারকোনা, পানপাতা ও ভি-আকৃতির গলার দেখা মিলছে বেশি। ফ্রক ও টপ সাধারণত ছোট মেয়েরাই বেশি পরে। তবে সেই ধারায়ও বদল এসেছে।
তরুণীরাও এখন ফ্রক বা টপে সাবলীল। ফ্রকের কাটিংয়ে এমনিতেই ঢিলেভাব। তাতে কাটছাঁট ও প্যাটার্নে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। কোনো কোনো ফ্রকের সামনের দিকের ঝুল হাঁটু পর্যন্ত থাকলেও পেছনের ঝুল নেমে গেছে পা পর্যন্ত। ফ্রকের কোমরে ফিতার ব্যবহার, গলা ও হাতার কাজে বৈচিত্র্য এসেছে এবার।
টপের ওপর থাকছে আলাদাভাবে বসানো বিভিন্ন আকৃতির কলার। টপের ডান দিকে বেশি ঝুলে গেলে বাঁ দিকটা রাখা হয়েছে ওপরের দিকে। স্লিভলেস, ম্যাগি ও ক্যাপ স্টাইল হাতায়ও এসেছে নানা পরিবর্তন।

\"kalerkantho\"

বিশ্বরঙের স্বত্বাধিকারী ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা জানালেন, ‘গরমে এখনকার তরুণীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরতেই বেশি অভ্যস্ত। আমরাও পোশাকে সেই ধারা তুলে ধরেছি। পোশাকটি আবার যেন তাদের সঙ্গে মানিয়ে যায় এবং ফ্যাশনেবল হয় সে জন্য গলা ও হাতার ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। কামিজ, টপ, কুর্তি, গাউন, কাফতানের বোতাম, ফিতায় আলাদা মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। তরুণীরাও এমন ঢিলেঢালা পোশাক সুন্দরভাবে ক্যারি করছেন।’

\"kalerkantho\"

তরুণীদের পোশাক ঢিলেঢালা রাখার আরেকটি কারণ, এমন পোশাকে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। গরম বা রোদে গেলে অসুবিধা পোহাতে হয় না। সহজে ঘাম শুষে নেয়, তাপ থেকে সুরক্ষা দেয়। পোশাকটিও টেকসই হয়।

গরমে একটু হালকা রঙের পোশাকই বেশি আরামদায়ক। হালকা রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম। তা ছাড়া এমন রং চোখে প্রশান্তিদায়ক। প্যাস্টেল শেড যেমন ফিকে হলুদ, হালকা সোনালি, বাসন্তী, জলপাই সবুজ, বেবি পিংক, আকাশি নীল, লাইট চকোলেট এবং সাদা রঙের পোশাক এই সময়ে বেশি উপযুক্ত।

\"kalerkantho\"

আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার তাসলিমা মলি জানালেন, ‘গরমে ছোট হাতার বা স্লিভলেস জামায় বেশি স্বস্তি পাওয়া যায়। অনেকেই আবার এমন হাতায় অভ্যস্ত নন। তাঁদের জন্য পোশাকে লম্বা হাতা রাখা হলেও ঢিলেঢালা কাটিং দেওয়া হয়েছে। হাতার ওপরের দিক একটু সরু হলেও নিচের দিকে ফাঁপা রাখা হয়েছে আরামের জন্য। এ ছাড়া পোশাকটি যেন ফ্যাশনেবল হয় এ জন্য কাঁধের দুই পাশে হাতা ফুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢিলেঢালা কাটিংয়েও যেন তাঁদের স্মার্ট লাগে সে জন্যই পোশাকের ডিজাইনে আমাদের এমন প্রয়াস।’

গরমে সারা দিন পরার জন্য ছোট হাতার ঢিলেঢালা টপ, ফ্রিল দেওয়া স্কার্টও বেশ চলছে। ফ্রক ও ম্যাক্সি ধাঁচের কামিজেও থাকছে এমন ধারা। পোশাকের নকশায় পশ্চিমা মোটিফ, গয়না, ফুল, লতাপাতার মোটিফ তুলে ধরেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।

ফ্লেয়ার্ড ক্রপ টপ বেশ কিছুদিন ধরে তরুণীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। এর কারণও আরামদায়ক কাট। দেখতে ঢিলেঢালা কিন্তু স্টাইলিশ। এসব টপের হাতার শেষে আছে বাঁধার সুবিধাও। কামিজে হাতের কাজ, রং, কাট, নকশা সব কিছু মিলিয়ে গরমের কথা ভেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে আরাম।

\"kalerkantho\"

করোনার পর থেকেই পোশাকে ঢিলেঢালা ভাব বিশ্বজুড়ে। সালোয়ার-কামিজগুলোতে চলছে এই ধারা। কিছু কিছু ফ্যাশন হাউস সোজা কাটের কামিজে অতিরিক্ত ঢিলা বা ওভার সাইজ কাট নিয়ে এসেছে। ফ্রক কাটের কামিজে কুঁচি ব্যবহারে আনা হয়েছে ভিন্নতা। আনারকলির মতো ঢিলেঢালা পোশাক আগের মতোই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। ঘেরেও এসেছে নানা বৈচিত্র্য। এসব পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবস্থান ধরে রেখেছে ঢিলেঢালা পালাজ্জো, সারারা  ও প্যান্ট।

ঢিলেঢালা পোশাকের মিছিলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কাফতান। গরমের কারণে এখন তরুণীদের গায়ে গায়ে কাফতান। রং-নকশার পাশাপাশি অভিনব কাটও দেখা যাচ্ছে কাফতানে। লম্বা কাফতানের পাশাপাশি খাটো কাফতানও চলছে বেশ। আরাম আর ফ্যাশনেবল হওয়ায় বাড়িতে পরার পাশাপাশি ঘোরাঘুরি, দাওয়াত, বন্ধুদের আড্ডা, অফিসেও এখন মানানসই পোশাক এটি।

ব্লাউজ একসময় আঁটসাঁটই দেখা যেত। এখন বদল এসেছে সেখানেও। ঢিলেঢালা ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ি পরছেন নারীরা। হাফ ও ফুলস্লিভ ব্লাউজেও দেখা মিলছে বর্ণিল কাট ও প্যার্টান। বিশেষ করে ব্লাউজের হাতা, গলা ও পেছনে ফিতার কাটিংয়ের বৈচিত্র্য এসেছে বেশি।

মন্তব্য

কাপড় কাচলেই রং ফিকে হয়ে যায়? উপায় কী

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কাপড় কাচলেই রং ফিকে হয়ে যায়? উপায় কী
সংগৃহীত ছবি

শখের জামা কাপড় কাচতেই গেলেই বিপদ। সুতি বা যেকোনো কাপড়, ভালো করে কাচতে গেলেই রং উঠে যায়। রং ওঠেই ক্ষান্ত হয় না। হালকা রঙের অন্য পোশাকেও সে সব লেগে যায়।

কাপড় হাতেই কাচুন বা মেশিনে, অনেক সময় গাঢ় রঙের পোশাক থেকেও রং বের হতে থাকে হু-হু করে। এক বার কাচতেই তা ফিকে হয়ে যায়। বিশেষত নতুন পোশাক কাচতে গেলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতেই হয়। এর সহজ সমাধান আছে হাতের কাছেই।

কাপড় কাচার যন্ত্র বা ওয়াশিং মেশিনে কাপড় কাচার সময় শুধু মিশিয়ে নিতে হবে রান্না ঘরের একটি উপাদান। সেটি হচ্ছে সামান্য একটু লবণ।

আরো পড়ুন
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

 

লবণে কী কাজ হবে

সৈন্ধব লবণ বা হিমালয়ান রক সল্ট নয়, বাড়িতে রান্নায় ব্যবহার করা সাদা লবণেই কাজ হবে। এতে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড।

পোশাকের রং ধরে রাখতে এটি সাহায্য করে। লবণের ব্যবহারে রং যে একেবারেই উঠবে না তা নয়। তবে তার পরিমাণ কিছুটা কমে যাবে।

তা ছাড়া বার বার কাচতে কাচতে পোশাকের রং ফিকে হয়ে যায়। লবণের ব্যবহারে এই সমস্যার সমাধান হবে।

কিভাবে ব্যবহার করবেন

  • ওয়াশিং মেশিনে আধ কাপ লবণ যোগ করুন। তার পর যোগ করুন ঘরের তাপমাত্রায় থাকা পানি।
  • গরম পানিতে ময়লা যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনই কাপড়ের ক্ষতি হয়, রং চটে যায়।
  • কাপড় কাচার সময় সেটি উল্টো করে নিন। এতেও রঙের ঔজ্জ্বল্য চট করে নষ্ট হবে না।
  • কাপড়ের মান অনুযায়ী মৃদু সাবান ব্যবহার করুন। যেমন লিনেন, সোয়েটার, ভালো মানের কাপড়ের জন্য অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ক্ষতিকর হতে পারে।
  • কাপড় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শুকালেও তার রং নষ্ট হতে পারে। এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন।
আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 
  • কখনো লবণ দিয়ে কাপড়ের রং ধরে রাখার কৌশল ব্যবহার হয় বয়নশিল্পেও। কাপড়ের তন্তুর সঙ্গে রং ধরে রাখতে সাহায্য করে লবণে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড। ফলে যে কাপড় বা পোশাক থেকে রং উঠতে পারে বলে মনে হয়, সেটি কিছুক্ষণ লবণপানিতে ভিজিয়ে রাখলেও লাভ হবে।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

ডায়াবেটিস হলে কি পান্তাভাত খাওয়া যায়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিস হলে কি পান্তাভাত খাওয়া যায়?
সংগৃহীত ছবি

গরমকালে অনেকের কাছেই পান্তাভাত অত্যন্ত প্রিয়। আগের দিনের ভাতে পানি ঢেলে সেটিকে ভিজিয়ে রাখা হয় আর পরেরদিন কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ভর্তা দিয়ে খাওয়া হয় পান্তা ভাত। শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টির দিক থেকেও পান্তাভাত অসাধারণ।

পুষ্টিগুণে ভরপুর পান্তাভাত
গবেষণায় দেখা গেছে, সদ্য রান্না করা ভাতে প্রতি ১০০ গ্রামে আয়রন থাকে ৩.৪ মিলিগ্রাম।

কিন্তু যদি সেই ভাত ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়, তবে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া পান্তাভাত হজমেও সাহায্য করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায় পান্তাভাত।

ডায়াবেটিস ও পান্তাভাত—সতর্কতা ও উপকারিতা
অনেকেই মনে করেন পান্তাভাত ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং পান্তাভাতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে ফ্যাট জমার প্রবণতা কমায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে প্রতিদিন পান্তাভাত না খাওয়াই ভালো ডায়াবেটিক রোগীদের।

পান্তাভাতেও সাধারণ ভাতের মতোই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড বেশি।

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিক রোগীর প্লেটের চার ভাগের এক ভাগ হবে পান্তাভাত। বাকি অংশে থাকবে ডাল, শাকসবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। সঠিক পরিমাণে পান্তাভাত খেলে গরমে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে এবং ডায়াবেটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

মন্তব্য

মুখে ঘা হলে করণীয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মুখে ঘা হলে করণীয়
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মাঝেমধ্যে মুখের ভেতরে ঘা দেখা যায়। মুখে ঘা হলে খাওয়া-দাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ খাবারের সংস্পর্শে ঘা এর জায়গায় জ্বালাভাব ও ব্যথা অনুভূত হয়।

প্রথম দিকে মুখের ঘা খুব একটা বোঝা যায় না, ফলে অনেকেই গুরুত্ব দেন না।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘা বেড়ে যায়, জ্বালাভাব বাড়তে থাকে ও মাঝে মাঝে রক্তপাত হতে পারে। তবে ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় মেনে চললে মুখের ঘা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন, জেনে নিই।

কেন হয় মুখের ঘা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ঘা সাধারণত শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-এর অভাবে হয়।

এসব ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষগুলোর সুস্থতা বজায় রাখে।

সমাধানে যা খাবেন:                                                                                                                                    লেবুর রস: এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ঘা শুকাতে সাহায্য করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

জিংকসমৃদ্ধ খাবার: কুমড়ার বীজ, বিট, সূর্যমুখীর বীজ, কাজুবাদাম ইত্যাদি শরীরে জিংকের ঘাটতি পূরণ করে। যা ঘা সারাতে সহায়ক।

গরম দুধ: অনেক সময় গরম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা মুখের ঘা হলে আরাম দিতে পারে।

ঘি ও নারকেল তেল: ঘা এর জায়গায় ঘি বা নারকেল তেল লাগালে ব্যথা ও জ্বালা কমে এবং ঘা দ্রুত শুকায়।

পরামর্শ:
ঘা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা ঘনঘন ফিরে এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে যে সবজি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে যে সবজি
সংগৃহীত ছবি

আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। এটি হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো নানা সমস্যা।

সাধারণভাবে ডিম, মাছ, বাদাম, ছোলা, পালং শাক এবং ড্রাই ফ্রুটস—এসব খাবারকেই আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে ধরা হয়। তবে অনেকেই জানেন না, আমাদের চারপাশে থাকা একটি খুব পরিচিত সবজি কুমড়া আয়রনের চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে পালং শাকের থেকেও বেশি কার্যকর।

কেন কুমড়া এত উপকারী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়াতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, জিংক, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এ ছাড়া কুমড়ায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে মুক্ত র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কুমড়া। চোখের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এমনকি হৃদরোগ প্রতিরোধেও কুমড়া ও এর বীজ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীজে প্রায় ৮.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে একই পরিমাণ পালং শাকে ২.২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

ফলে রক্তাল্পতা বা আয়রন ঘাটতিজনিত সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য কুমড়া ও এর বীজ হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক সমাধান।

সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ