<p>গোড়ালির নিচের দিকে বা পেছন দিকে ব্যথা হলে তাকে প্লান্টার ফাসাইটিস বলে। এতে পায়ের তলায়, বিশেষ করে হিল বা গোড়ালিতে খোঁচা দেওয়ার মতো ব্যথা অনুভূত হয়। সকালবেলা ব্যথা বেশি থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কিছুটা কমে। ক্যালকেনিয়াম বা গোড়ালির হাড়ে এবং পায়ের তলার মাংসপেশিতে সমস্যা হলে সামান্য থেকে মারাত্মক ধরনের ব্যথা হয়। যেহেতু শরীরের সব চাপ পড়ে গোড়ালি ও পায়ের পাতার ওপর, তাই গোড়ালিতে ব্যথা হলে গোড়ালিতে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতে কিংবা কোনো কাজকর্ম করতে রোগী অসমর্থ হয়। ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যার ঝুঁকিতে থাকে।</p> <p><strong>ঝুঁকি কাদের বেশি?</strong></p> <p>-   যাদের ওজন বেশি।</p> <p>-   যারা খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত।</p> <p>-   ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ কম করে এমন ব্যক্তি।</p> <p>-   ডায়াবেটিক রোগী।</p> <p>-   যাদের পায়ের পাতা জন্মগতভাবে ফ্ল্যাট বা খুব বেশি খাঁজ থাকে।</p> <p>-   যারা সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করে না।</p> <p>-   যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করে। যেমন—ট্রাফিক পুলিশ।</p> <p>-   মেয়েরা, যারা নিয়মিত হাই হিলের জুতা পরে।</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>-   জুতা ব্যবহার করলে, হাঁটলে, বিশেষ করে খালি পায়ে শক্ত জায়গায় হাঁটলে ব্যথা বাড়ে।</p> <p>-   সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাটিতে পা দিলেই ব্যথা হয় এবং কিছুক্ষণ হাঁটাচলার পর ব্যথা কমে যায়।</p> <p>-   কিছু ব্যথা সারা দিন থাকে না, কিন্তু রাতে ঘুমানোর সময় বাড়ে।</p> <p>-   ব্যথার কারণে কখনো গোড়ালি ফুলে যায় ইত্যাদি।</p> <p><strong>যা করা যাবে না</strong></p> <p>অনেকক্ষণ হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলুন; হাই হিল বা আঁটসাঁট জুতা ব্যবহার করবেন না। শক্ত চপ্পল বা স্লিপার ভালো নয়; খালি পায়ে বা শক্ত বা উঁচু-নিচু জায়গায় হাঁটা যাবে না।</p> <p><strong>চিকিৎসা</strong></p> <p>-   পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন এবং কিছু ব্যায়াম করবেন।</p> <p>-   পেছনে খোলা থাকে এমন জুতা পরবেন।</p> <p>-   নিচু হিলের জুতা পরবেন।</p> <p>-   প্রদাহ কমাতে আপনার গোড়ালির পেছনে বরফ দেবেন।</p> <p>-   চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন।</p>