ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে মুজাহিদ হাসান ফাহিম তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন, যার মূল্য পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইকটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ পাঁচ লাখ টাকার চেক দেয়।

 

আরো পড়ুন
বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

 

তবে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করেন। আসামিদের কথা বিশ্বাস করে তিনি চেকটি ব্যাংকে জমা দেননি। কিন্তু পরবর্তীকালে বাদী টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তবে তারা কোনো টাকা তাকে ফেরত দেননি।

এর পর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কাজ হয়নি। এ ঘটনায় মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : প্রধান বিচারপতি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবোত্তর দেশের বিচার বিভাগ নতুন যাত্রা শুরু করেছে এবং জনগণ বিচার বিভাগের ওপর তাদের হারানো আস্থা ফিরে পাবে।

শনিবার সকালে খুলনার হোটেল সিটি ইন-এর কনফারেন্স রুমে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ এবং তার ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতির তুলে ধরেন। বিশেষ করে তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপের বিভিন্ন অনুষঙ্গের সফল বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয়তার কারণেই দ্রুততম সময়ে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে।

আর বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপের সফল বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

বিশেষ করে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধান বিচারপতি।

সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় বিভিন্ন স্তরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারকের পদ তৈরি হয়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে মামলাজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ 

এছাড়া, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

আর কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট দ্রুত চালুর বিষয়ে দু’টো বিশেষ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।

দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারগুলো থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এবং সেমিনারগুলোর মতামতসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে অচিরেই বিচার বিভাগের সার্বিক আধুনিকায়নে একটি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের জন্য স্ট্রাটেজিক প্লানের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জুলাই বিল্পবোত্তর বিচার বিভাগ যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে তার পূর্ণতা পাবে এবং জনগণ বিচার বিভাগের ওপর তাদের হারানো আস্থা ফিরে পাবে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতায় ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপকে যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস।

সেমিনারে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সেমিনারে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত নেত্রী আফরিন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত নেত্রী আফরিন কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সহায়তায় গঠন করা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত নেত্রী দিল শাদ আফরিন পিংকিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে বলেন, আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ। মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানে না। তাকে হয়রানি করার জন্য আটক করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের যে কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার জামিনের প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

প্রতারণা করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল অফিসার ফাতেমা আফরিন পায়েল রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।

এ মামলার পর রাতে রমনা থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে বুলবুল সিকদার, রকিবুল সিকদার জুলাই বিপ্লবে আহত হিসেবে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন। তাদের কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় জুলাই ফাউন্ডেশনে তথ্য প্রদানের জন্য আসতে বলা হয়। ২১ মার্চ তারা ফাউন্ডেশনে উপস্থিত হলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত না হওয়া সত্ত্বেও দিল শাদ আফরিন ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র সত্যায়ন করার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে গুরুতর আহতদের তালিকায় রকিবুলের নাম তালিকাভুক্ত করতে ৫০ হাজার এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জনা আরো ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।

জুলাই বিপ্লবে শহীদ আহসান কবির শরিফের স্ত্রী হাদিসা আক্তার হ্যাপিকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আড়াই লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। এছাড়া আরো কয়েক জনের কাছ থেকেও টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনার পর গত ৮ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে দিল শাদ আফরিন পিংকিকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

মন্তব্য

যে আইনে মডেল মেঘনা আলম কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে আইনে মডেল মেঘনা আলম কারাগারে

মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটনোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। 

আজ শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

এ নিয়ে মেঘলা আলমের আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মেঘনা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। এমন অভিযোগ পেয়ে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।

মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

বলেন, তার (মেঘনা আলম) আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত এ আদেশ দেন। 

জানা গেছে, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন।

আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটকাদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করা।

ক্ষতিকর আরো কাজ হচ্ছে, জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার এ আয়োজন করা হয়।
 
 

মন্তব্য

‘ক্রিম আপা’ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘ক্রিম আপা’ কারাগারে
শারমিন শিলা। ফাইল ছবি : সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক টানতে সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিনাত জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন শারমিন শিলাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক কারাগারে আটক আবেদন করেন।

তবে শুনানিতে শারমিন শিলার পক্ষে একাধিক আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন গ্রহণ না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, বুধবার আশুলিয়া থানায় শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শারমিন শিলা একজন বিউটিশিয়ান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ক্রিম আপা’ নামে পরিচিত। তিনি মূলত মেকআপের জন্য কাজ করেন এবং বিভিন্ন রকম ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন। তার পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তিনি ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট দেন। গত ৩ মার্চ বিকেল ৪টায় তার ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন তার মেয়েকে জোর করে মুখে খাবার দিচ্ছেন। মেয়েটি খেতে না চাইলে এক হাতে মুখে চাপ দিয়ে অন্য হাতে কেক জাতীয় খাবার মুখে ঢোকাচ্ছেন তিনি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, শারমিন শিলা মাতৃসুলভ আচরণ না করে সন্তানদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করছেন, যা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন আচরণ শিশু আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ গত ৬ এপ্রিল ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে শারমিনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। পরে জেলা প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। আলোচনার মুখে পড়ে শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান এবং জানান, ভবিষ্যতে এমন ভিডিও আর করবেন না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ক্ষমা চাইলেও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ